পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
অর্থমন্ত্রী গুণী চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট ও বড় ব্যবসায়ী, তাই বাজেটে তিনি মূলত ব্যবসায়ী ও উচ্চমধ্যবিত্তদের খুশি করেছেন। অর্থমন্ত্রীর পেশা ও শ্রেণিচরিত্রহেতু আমলা-তোষণ ও আমলাদের খুশি করতে পিছপা হননি। আমলারা এ দেশের সরকার চালায়। একেক সচিব ঢাকায় বসে জেলা নিয়ন্ত্রণ করেন নির্বাচিত রাজনীতিবিদদের বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে। ২০২১-২২ অর্থবছরে আমলাদের জন্য ব্যয় বরাদ্দ ১১.৮% এবং তাদের পেনশন বাবদ ৭.৭% রাখা হয়েছে। সর্বোচ্চ ব্যয় আমলাদের জন্য। চলতি বছরে আমলাদের জন্য ব্যয়িত হয়েছে ৫৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। আমলাদের গাড়ি কেনার জন্য বিনা সুদে ৩০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয় এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দেয়া হয় মাসিক বড় অংকের টাকা। ঋণের টাকায় কেনা গাড়ি ৬৫% সরকারি কর্মকর্তা ব্যবহার করেন না। উবারে ভাড়া খাটাতে পাঠিয়ে দেন অতিরিক্ত আয়ের জন্য। তারা একাধিক সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন। নিজে একটা এবং পরিবার-পরিজন অন্যটি ব্যবহার করে।
কিছু ভালো সিদ্ধান্ত : উপকৃত হচ্ছে মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত এবং ব্যবসায়ীরা। প্রথমত, ২ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে, বাড়ির নকশা অনুমোদন করতে, সমবায় সমিতির নিবন্ধনে এবং ডাকঘর সঞ্চয় স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য, মোটরসাইকেল, গাড়ি, জায়গাজমি, ফ্ল্যাট কিনতে হলে অবশ্যই ট্যাক্স আইডেনটিফিকেশন নম্বর (TIN) দেখাতে হবে। আরও নিয়ম করা প্রয়োজন যে, প্রত্যেক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির টিআইএন নম্বর থাকতে হবে, এমনকি আয়করযোগ্য আয় না থাকলেও কিংবা বেকার হলেও। এজন্য বছরে মাত্র ২০০ টাকা টিআইএন (TIN) রেজিস্ট্রেশন ফি দিতে হবে। গৃহকর্মীদের, রিকশা-ভ্যান, বেবিট্যাক্সি, মোটরগাড়ি চালকদের টিআইএনের জন্য বছরে ২০০ টাকা ফি দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দিতে হবে বাড়ির কর্ত্রী ও গাড়ির মালিকদের। কৃষিশ্রমিকদের রেজিস্ট্র্রেশন করাবেন জমির মালিকরা। এতে প্রায় নতুন ২ কোটি লোক ইনকাম ট্যাক্স নিবন্ধনের আওতায় আসবে, যারা আগামী পাঁচ বছরে ইনকাম ট্যাক্স দেওয়ার উপযুক্ততা অর্জন করবেন। ন্যূনতম ফি বাবদ বছরে আয় হবে ২০০ টাকা = ২ কোটি = ৪০০ কোটি। দ্বিতীয়ত, দেশে বর্তমানে টিআইএন গ্রহণকারী আছেন ৬১ লাখ। কিন্তু আয়কর রিটার্ন জমা দেন ২৫.৪৩ লাখ মাত্র।
বাংলাদেশ স্বল্প আয়ের দেশ থেকে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে কিন্তু মনোবৃত্তির পরিবর্তন হয়নি। জনগণের আয় বেড়েছে কিন্তু সরকারের মানসিকতার পরিবর্তন হয়নি। ফলে হয়রানি, তদবির ও দুর্নীতির ব্যাপক প্রসারে জনগণ আয়করের জন্য নিবন্ধিত হতে চায় না। ব্যক্তিগত আয় ৩ লাখের পরিবর্তে ৫ লাখ টাকা অবধি শূন্য আয়কর আওতা যুক্তিসংগত হবে এবং ব্যক্তিগত আয়কর ২০%-এর অধিক হওয়া উচিত নয়।
রাজস্ব বৃদ্ধির সহজ উপায়: বিদেশে বিশেষত যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী বসবাসকারী বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে লব্ধ টাকা ‘হুন্ডির মাধ্যমে’ বিদেশে স্থানান্তর করে। অধিকাংশ ছেলেমেয়ে সরকারকে ন্যূনতম একটা ট্যাক্স দিয়ে বৈধ পথে বিদেশে-আমেরিকায় টাকা নিতে আগ্রহী, কিন্তু কোনো নিয়ম নেই। সম্পত্তি বিক্রয়লব্ধ অর্থ ১০% ট্যাক্স দিয়ে বৈধ পথে বিদেশ নেওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়া যেতে পারে।
অর্থমন্ত্রী ছোট ব্যবসার বিনিয়োগকারী নারীদের ৭০ লাখ টাকা পর্যন্ত আয়করমুক্ত করে ভালো প্রণোদনা দিয়েছেন। মধ্যবিত্তের গৃহস্থালি ও বসবাসে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির উৎপাদনকে ১০ বছর ‘ট্যাক্স হলিডে’ দিয়ে স্বচ্ছ চিন্তার পরিচয় দিয়েছেন। তবে ভ্যাট প্রত্যাহার ভুল সিদ্ধান্ত। স্মরণ করা প্রয়োজন, মূল রাজস্ব আসে ভ্যাটের মাধ্যমে, যা মোট রাজস্বের ৩৮.৭%। দ্বিতীয়ত, আয়কর থেকে আসে ৩১.৮%। ব্যবসায়ীদের মিষ্টি কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে উভয় ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২৫% রাজস্ব বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া উচিৎ।
সব মেডিকেল যন্ত্রপাতি ও সামগ্রীর (অ্যানালাইজার, ক্যাথ ল্যাব, ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাম, ডিফিবরিলেটর, ভেন্টিলেটর, কার্ডিয়াক মনিটর, সিটি অ্যাপারাটাস হাসপাতাল শয্যা, ব্লাড ব্যাংক, সিরিঞ্জ পাম্প, সার্জিক্যাল স্টেরাইল গ্লাভস, বায়োসেফটি কেবিনেট প্রভৃতি) ওপর সকল প্রকার শুল্ক, অগ্রিম ইনকাম ট্যাক্স (TIN)এজেন্সি ট্যাক্স (AT) প্রত্যাহার করা আবশ্যক। সব আমদানি থেকে অগ্রিম ইনকাম ট্যাক্স প্রত্যাহারের জন্য ব্যবসায়ীদের দাবিও বিবেচ্য। হেমোডায়ালাইসিসের প্রত্যেক রোগীর জন্য একটি ব্লাড টিউবিং ব্যবহার করতে হয়, তার ট্যাক্স ছিল ২৫%। তা কমিয়ে ৫% করার জন্য অর্থমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। কারও বিকল কিডনি সমস্যা হলে ব্যয়বহুল চিকিৎসা করাতে গিয়ে রোগী সর্বস্বান্ত হয়ে যায় তিন বছরের মাথায়। এজন্য সব দরিদ্র বিকল কিডনি রোগীকে প্রতি হেমোডায়ালাইসিসের জন্য ১ হাজার টাকা ভর্তুকি দেওয়া উচিত। বর্তমানে সরকার ভারতীয় কোম্পানি ‘স্যানডর’কে প্রতি রোগীর হেমোডায়ালাইসিসের জন্য ২ হাজার ২০০ টাকা ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে পাঁচ বছর ধরে। বিকল কিডনির সর্বোত্তম চিকিৎসা হচ্ছে কিডনি প্রতিস্থাপন। দেশে প্রয়োজন প্রতি বছর ১০ হাজার কিডনি প্রতিস্থাপন, কিন্তু দেশে প্রতিস্থাপন হয় ২০০-এর অনধিক। বেশির ভাগ রোগী একজনকে সঙ্গে নিয়ে যায় ভারতে, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, আমেরিকায়। এতে প্রায় হাজার কোটি টাকা বিদেশে ব্যয়িত হয়। এজন্য মূলত দায়ী স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়। তারা গত দুই বছর ধরে হাইকোর্টের নির্দেশ পালন করছে না। হাইকোর্ট একটি যুগান্তকারী রায় দিয়েছে যে নিকটাত্মীয় ছাড়াও অনাত্মীয় ব্যক্তি বা বন্ধুর জন্য যে কেউ স্বেচ্ছায় কিডনি দান করতে পারবে। ফোয়ারার যন্ত্রপাতির ট্যাক্স ৫% থেকে কমিয়ে ১% করা ঠিক হয়নি, প্রকৃতপক্ষে এটা ১০% হওয়া উচিত।
চোরে না শোনে ধর্মের কাহিনি: অন্য একটি ভালো কাজ করেছেন অর্থমন্ত্রী স্থানীয়ভাবে ওষুধশিল্পের প্রায় সব কাঁচামালের (Active Pharmaceutical Ingredient-API) রেয়াতি সুবিধা দিয়ে। দেশে অচও উৎপাদন হলে সব ওষুধ কোম্পানিকে স্থানীয় অচও কোম্পানি থেকে কাঁচামাল কেনা বাধ্যতামূলক করুন। অন্য কোথাও থেকে আমদানি করা যাবে না। এর ওপর প্রত্যেক অচও কোম্পানিকে রপ্তানির জন্য আগামী পাঁচ বছর ২৫% নগদ প্রণোদনা (Cash Incentive) দেওয়া প্রয়োজন বিশেষত ভারত ও চীনের উৎপাদক কোম্পানির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার সামর্থ্য অর্জনের জন্য। বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্রসহ ৯২টি দেশে ওষুধের কাঁচামাল রপ্তানির যে তথ্য দিয়েছেন তা সঠিক নয়। বাংলাদেশ ওষুধ রপ্তানি করে, ওষুধের কাঁচামাল রপ্তানি করে না।
মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ক্যান্সার ও হৃদ রোগের কতক ওষুধে রেয়াতি সুবিধা দিয়েছেন। এতে ওষুধ প্রস্তুতকারকরা লাভবান হবেন। কিন্তু ওষুধের দাম কমবে না। ফলে সরকারের সৎ উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। ওষুধের মূল্য জনগণের ক্ষমতার মধ্যে আনতে হলে ১৯৮২ সালের জাতীয় ওষুধ নীতি অধ্যাদেশের মূল্য নিয়ন্ত্রণ নিয়মাবলি যথাযথভাবে প্রয়োগ করতে হবে। বর্তমানে ১১৭টি ওষুধ, ভ্যাকসিন, পরিবার পরিকল্পনার সামগ্রী ছাড়া অন্য সব ওষুধের মূল্য ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিসমূহ নিজেরা সরাসরি স্থির করে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরকে জানিয়ে দেয়। ঔষধ প্রশাসন কেবল মূসক (ভ্যাট) যুক্ত করে ওষুধের মূল্য ঘোষণা করে। এটি মূল্য নির্দেশক (Indicative Price) পদ্ধতি হিসেবে পরিচিত। ১৯৮২ সালের জাতীয় ওষুধনীতি যথাযথভাবে প্রয়োগ করলে ওষুধের খুচরা মূল্য (Maximum Retail Price) ন্যূনপক্ষে ৫০% কমে আসবে। তিনটি শুল্ক দরের পরিবর্তে একটি শুল্ক স্থির করুন, দুর্নীতি কমবে।
মোপেড ও অ্যাম্বুলেন্সের আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে মধ্যবিত্তদের খুশি করেছেন। তবে এসব ক্ষেত্রে একাধিক শুল্কের পরিবর্তে সব ক্ষেত্রে ২০% বা ২৫% একদর স্থির করুন। সব প্রয়োজনীয় মেডিকেল যন্ত্রপাতিযুক্ত ২০০০/৩৫০০ সিসির শীততাপ নিয়ন্ত্রিত অ্যাম্বুলেন্স আমদানিতে শুল্ক কমিয়ে ২০% স্থির করুন। শিল্পের কাঁচামালের একাধিক রেয়াতি শুল্ক ০%, ৫%, ১০%, ১৫% প্রভৃতি থাকায় ব্যবসায়ীদের প্রতি কনসাইনমেন্ট খালাসের সময় হয়রানি, দুর্নীতি ও আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রতা ও অফিসারদের সঙ্গে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের দরাদরির সুযোগ থাকছে। সহজ সুরাহা হলো এক শুল্ক দর করে দেওয়া ৫% বা ১০%। ফ্লোমিটারযুক্ত অক্সিজেন সিলিন্ডারে সকল প্রকার অগ্রিম আয়কর, শুল্ক সম্পূরক ও অন্যান্য সব করমুক্ত করে ব্যাপক আমদানির সুবিধা করে দিন।
মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক ভাতা বৃদ্ধি: লাখ অনধিক মুক্তিযোদ্ধার মাসিক ভাতা ১২ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা করে আপনি ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী তাদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তবে দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, মুক্তিযোদ্ধারা যখন দেখবেন করোনার কারণে চাকরি, ব্যবসাচ্যুত তার পাশের বাড়ির দরিদ্র পরিবার সপ্তাহের কোনো না কোনো দিন প্রায় অনাহারে দিনপাত করছে, তখন কি মুক্তিযোদ্ধা আহার গ্রহণ করতে পারবেন? কৃষকের প্রতি নজর দিন। কালবৈশাখী ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১ লাখ কৃষকের জন্য ২৫ কোটি টাকা রেখেছেন। মনটা বড় করুন। নিদেনপক্ষে ৫ লাখ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষককে ২৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিন। বিলুপ্তপ্রায় উদ্ভিদ সংরক্ষণ, কফি, কাজুবাদাম, হলুদ, আদা পাহাড়ি এলাকায় চাষাবাদ প্রণোদনা বাবদ ১০০ কোটি টাকার বরাদ্দ দিন। দেশি উৎপাদন থেকে শিশুখাদ্য উৎপাদন ও কৃষিযন্ত্র উৎপাদনকারী শিল্পকে ১০ বছরের করমুক্ত সুবিধার প্রস্তাব করেছেন। অথচ সরাসরি কৃষকের পানি সেচ, সার, বীজে পর্যাপ্ত ভর্তুকি, কৃষি উৎপাদন ও বাজারজাত করার জন্য সমবায় সৃষ্টি করে সিন্ডিকেট ভাঙার কোনো পদক্ষেপের উল্লেখ নেই।
বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন প্রস্তাবিত বাজেটকে ‘ব্যবসা ও বিনিয়োগ বান্ধব’ বলেছেন। অর্থমন্ত্রী বিড়ি-সিগারেট, মদ, গুলে ট্যাক্স না বাড়ানোয় এবং করপোরেট ট্যাক্স কমানোয় ব্যবসায়ীরা খুশি হয়েছেন। এনার্জি পানীয়তে ৫০% ও মদে ২০০% শুল্ক ধার্য করা ন্যায়সংগত হবে। সিগারেটের স্তর অনুসারে ১০ শলাকার মূল্য ৬০ থেকে ২০০ আর বিড়ি ২৫ শলাকার মূল্য ৫০ টাকা স্থির করুন, সঙ্গে একই সম্পূরক শুল্ক ৬৫%। বাজার, লঞ্চঘাট, স্টেশন, পার্ক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আদালত প্রাঙ্গণ এবং সব পাবলিক প্লেসে ধূমপান শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে আইন করতে হবে, ন্যূনতম জরিমানা ১ হাজার টাকা অনাদায়ে সাত দিন জেল হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, আদালত ও অন্যসব পদে ধূমপায়ীদের নিয়োগ আইন করে রহিত করা বাঞ্ছনীয়।
লেখক: ট্রাস্টি, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।