Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সমুদ্রে আরও প্রভাব বিস্তারের পথে চীন

তাইওয়ানের আকাশে চীনের রেকর্ড সংখ্যক যুদ্ধবিমান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০২১, ১২:০২ এএম

চীনের নৌবাহিনীর একটি ইউনিট স¤প্রতি প্রশান্ত মহাসাগরে এক মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ মহড়া সম্পন্ন করেছে। এ ঘটনা জল্পনা উস্কে দিয়েছে যে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) তার নিকটবর্তী এলাকা থেকে দ‚রে মনোযোগ প্রসারিত করার কাজ করছে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট (এসসিএমপি) অনুসারে, পিএলএ-র সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ড জানিয়েছে, তাদের একটি বহর গত এক মাসে ৬,৭০০ নটিক্যাল মাইলেরও বেশি পথ অতিক্রম করেছে, যা ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপাইনের মধ্যে এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্য দিয়ে গেছে। এটি প্রমাণ করে, চীনা নৌবাহিনী আবারও তার কার্যক্রমের ক্ষেত্র স¤প্রসারণের প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে তারা এমন প্রচেষ্টা করে আসছে। এসসিএমপি জানিয়েছে, গত বছর সাউদার্ন থিয়েটার কমান্ডের অধীনে একটি নৌবহর প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ৪১ দিনের মহড়া শেষ করে, ১৪,০০০ নটিক্যাল মাইল ভ্রমণ করে এবং বেশ কয়েকটি যুদ্ধ ও উদ্ধার মিশন পরিচালনা করে। চীন গত কয়েক মাস ধরে দক্ষিণ চীন সাগর এবং প‚র্ব চীন সাগর উভয় ক্ষেত্রেই তাদের সামুদ্রিক কার্যক্রম বৃদ্ধি করছে। চীন-মার্কিন উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে এই অঞ্চলে ক্রমবর্ধমান মার্কিন সামরিক উপস্থিতি নিয়ে এটা বেইজিংয়ের উদ্বেগের প্রতিক্রিয়া। দক্ষিণ চীন সাগরে মার্কিন সামরিক উপিস্থিতি নিয়ে চীনের বক্তব্য হলো, যুক্তরাষ্ট্র সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করছে এবং সংঘাতের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। এদিকে চীনা জাহাজগুলি বিতর্কিত সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের আশেপাশের পানিসীমায় ১১২বার অনুপ্রবেশ করেছে বলে টোকিও দাবি করেছে। জাপান উপক‚লরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে, চীনা জাহাজগুলো প‚র্ব চীন সাগরের দ্বীপগুলির চারপাশে সংলগ্ন অঞ্চল দিয়ে টানা ১১২তম দিন যাত্রা করে। বেইজিং একটি নতুন আইনও বাস্তবায়ন করেছে যা দেশটির আধা-সামরিক বাহিনীকে বিদেশি জাহাজের বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবহারের অনুমতি দেয়। এএনআই এ খবর দিয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, রেকর্ড সংখ্যক যুদ্ধবিমান নিয়ে তাইওয়ানের আকাশে হাজির হয়েছে চীন। মঙ্গলবার তাইওয়ানের আকাশ সীমায় অন্তত ২৮টি যুদ্ধবিমান নিয়ে হাজির হয় চীন। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি পরমাণুবাহী যুদ্ধবিমানও রয়েছে। এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। এদিন চীনের যেসব যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের সীমান্তে প্রবেশ করেছে, তার মধ্যে রয়েছে জে-১৬, জে-১১ ও এইচ-৬ বোমারু বিমান। এই যুদ্ধবিমানগুলো পারমাণবিক অস্ত্র, সাবমেরিনবিধ্বংসী ও ইলেকট্রনিক অস্ত্র বহন করতে সক্ষম। তাইওয়ানের আকাশসীমায় এর আগে এতগুলো যুদ্ধবিমান কখনো প্রবেশ করেনি বলে রয়টার্স জানিয়েছে। এর আগে গত বছরের ১২ এপ্রিল চীনের সর্বোচ্চ ২৫টি যুদ্ধবিমান তাইওয়ানের আকাশসীমায় প্রবেশ করেছিল। তাইওয়ানে এমন সময়ে এই অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটল, যখন শীর্ষ সাত দেশের জোট জি-৭ চীনের সমালোচনা করে চলতি সপ্তাহে সম্মেলন শেষে বিবৃতি দিয়েছে। তারা বলেছে, তাইওয়ান প্রণালির শান্তি ও স্থিতিশীলতা উপেক্ষা করছে চীন। যদিও চীন জি-৭-এর এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। তাইওয়ানকে চীন নিজের আলাদা একটি প্রদেশ হিসেবে দেখে থাকে। তবে গণতান্ত্রিক সরকারের অধীনে থাকা তাইওয়ান নিজেকে একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে। এএনআই, বিবিসি।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ