বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দুর্নীতির মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালকে জামিনের আদেশ দিয়েছে উচ্চ আদালত। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মোহাম্মদ সেলিমের একক বেঞ্চ মঙ্গলবার তার জামিনের আদেশ দেন। এর ফলে কামালের কারামুক্তিতে আর কোন বাঁধা রইলনা। সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আহসান হাবিব কামালের ছেলে কামরুল আহসান রূপন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের দায়ের করা একটি মামলায় সাত বছর সশ্রম কারাদন্ড ও ১ কোটি টাকা জরিমানার দন্ডে দন্ডিত হয়ে আহসান হাবিব কামাল গত বছর ৯ নভেম্বর থেকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী। একই মামলায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খান মো. নুরুল ইসলাম, তৎকালীন পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইসাহাক, উপ-সহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার ও ঠিকাদার জাকির হোসেন একই দন্ডে দন্ডিত হয়ে কারান্তরীন হন। হাইকোর্টের একই বেঞ্চ মঙ্গ ঠিকদার জাকির হোসেননের জামিন আবেদনও মঞ্জুর করেছেন।
সাবেক মেয়র কামালের ছেলে কামরুল আহসান রূপম জানান, উচ্চ আদালতে আহসান হাবিব কামালের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, ব্যারিস্টার রূহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী জামিন শুনানী করেন। দুদকের পক্ষে ছিলেন একেএম ফারহান।
১৯৯৫-৯৬ সালে তৎকালীন বরিশাল পৌর এলাকায় সড়ক খননে টেলিফোন শিল্প সংস্থা পৌরসভাকে ৩৯ লাখ ৫০ হাজার ক্ষতিপুরন প্রদান করে। কিন্ত সড়ক সংস্কারের বাবদ প্রাপ্ত ১১ লাখ ১৯ হাজার ৩৭১ টাকা খরচ করে অবশিষ্ট ২৭ লাখ ৬০ হাজার ৬৩৯ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা দায়ের করে দুদক।
২০১১ সালের ১১ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেয় বরিশাল দুদক। ২০২০ সালের ৯ নভেম্বর আহসান হাবিবক কামাল সহ ৫ জনকে ৭ বছর করে কারাদন্ড এবং ১ কোটি টাকা জরিমানা করে রায় দেন বরিশাল বিশেষ আদালতের বিচারক মহসিনুল হক।
আহসান হাবিব কামাল ২০১৩ সাল থেকে ২০১৮ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচিত মেয়র ছিলেন। তিনি বিএনপির সাবেক কেন্দ্রীয় মৎস্যজীবী বিষয়ক সম্পাদক ও বরিশাল জেলা বিএনপি’র সভাপতিও ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।