Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মুসলিম আইনে আসমাকে বিয়ে করেন সৌমেন রায়

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০২১, ৬:০০ পিএম

মুসলিম আইন মেনে আসমাকে বিয়ে করেন পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক সৌমেন রায়।পরকীয়ার জেরে কুষ্টিয়া শহরে প্রকাশ্যে ২য় স্ত্রী, সৎ ছেলে ও এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে এএসআই সৌমেন রায়। নিহত আসমা মুসলিম এবং সৌমেন ছিলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের। কুমারখালি থানায় কর্মরত অবস্থায় একটি মামলাকে কেন্দ্র করে আসমার সঙ্গে সৌমেনের পরিচয় হয়। এরপর থেকে প্রেমের সম্পর্ক। সৌমেন মুসলিম বিধান মেনে আসমাকে বিয়ে করেন। সৌমেন সে সময় নিজের নাম বদলিয়ে রাখেন মো. সুমন হোসেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ত্রৈধ খুনের ঘটনায় নিহত আসমার মা হাসিনা বেগম।

নিহত আসমা খাতুনের মা হাসিনা বেগম জানান, কুমারখালী থানায় দায়িত্ব পালনকালে এএসআই সৌমেনের সঙ্গে একটি মামলাকে কেন্দ্র করে আসমার পরিচয় হয়। তারপর আমার পরিবারের সঙ্গে সৌমেনের গভীর সম্পর্ক হয়। সৌমেন-আসমা প্রেমের সম্পর্কে জড়ান। সে সময় সৌমেন তার নাম মো. সুমন হোসেন রাখেন এবং সুমন নামেই মুসলিম বিধান মতে আসমাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই কুষ্টিয়ার আড়ুয়াপাড়ায় একটি ভাড়া বাসায় তারা বাস করছিল।

এদিকে ত্রৈধ খুনের মামলায় দণ্ডবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযুক্ত এএসআই সৌমেন কুমার রায়। সোমবার (১৪ জুন) বিকেলে কুষ্টিয়া জ্যৈষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. এনামুল হকের আদালতে তিনি এ স্বীকারোক্তি দেন। দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে তাকে আদালতে হাজির করা হয়।

দুপুর ১টা ৫ মিনিটের দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল তাকে আদালতে হাজির করে। পরে বিকেল ৪টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত। জবানবন্দি গ্রহণ শেষে ৪টা ৩০মিনিটে তাকে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুষ্টিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নিশিকান্ত সরকার বলেন, নিহত আসমা খাতুনের মা হাসিনা খাতুন বাদী হয়ে রোববার হত্যা মামলা করেছেন। আসামি সৌমেনকে দুপুরে আদালতে নেওয়া হয়। তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত রিমান্ড নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এদিকে এএসআই সৌমেন রায়কে রোববার বিকেলে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় খুলনা রেঞ্জ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। খুলনা রেঞ্জের দু'জন পুলিশ কর্মকর্তাসহ কুষ্টিয়ার এক পুলিশ কর্মকর্তাকে তদন্ত কমিটির সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার খায়রুল আলম বলেন, ঘটনা জানার পর সৌমেন রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এরপর তদন্ত শেষে তার বিরুদ্ধে সর্বশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পুলিশ সূত্র জানায়, সৌমেন রায় ২০১৫ সালে কনস্টেবল থেকে এএসআই পদে উন্নীত হন। পরে ২০১৬ সালে কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানায় যোগ দেন। সেখান থেকে জেলার অন্যান্য থানায়ও কর্মরত ছিলেন। সর্বশেষ মিরপুর থানার হালসা ক্যাম্পে ছিলেন। এরপর বাগেরহাট হয়ে খুলনার ফুলতলা থানায় যোগ দেন।

তবে সৌমেন রায় নাম পাল্টে সুমন হোসেন হলেও ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছে কি-না সে বিষয়টি এখনো সুস্পষ্ট নয়।

 



 

Show all comments
  • মোঃ+দুলাল+মিয়া ১৫ জুন, ২০২১, ৬:০৮ পিএম says : 0
    বিষয়টি এলো মেলো হিন্দু আবার নাম বদলী মুসলিম হইলেন না কি শুধু নাম বদলি আবার। পুরা পুরি বিষয় জানতে চাই।
    Total Reply(0) Reply
  • হেদায়েতুর রহমান ১৫ জুন, ২০২১, ১০:০৫ পিএম says : 0
    ওর ফাঁসি হওয়া দরকার
    Total Reply(0) Reply
  • হাবীব ১৫ জুন, ২০২১, ১০:০৫ পিএম says : 0
    বিচারের নামে সময় ক্ষেপন করার কোন মানে হয় না
    Total Reply(0) Reply
  • মমতাজ আহমেদ ১৫ জুন, ২০২১, ১০:০৮ পিএম says : 0
    সে কি তার ধর্ম পরিবর্তন করেছে নাকি শুধু নামটাই পরিবর্তন করেছে ?
    Total Reply(0) Reply
  • সঞ্জয় ১৫ জুন, ২০২১, ১০:০৯ পিএম says : 0
    এসব বিষয় যত ঘটা হবে ততই গন্ধ বের হবে। এর চেয়ে ভালো ওকে ফাঁসি দিয়ে দিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রিপল মার্ডার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ