বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে গুলি করে এক নারী, তার শিশু ছেলে এবং এক যুবককে হত্যার অভিযোগে আটক এএসআই সৌমেন মিত্রকে নিযে খুলনা পুলিশে রীতিমত তোলপাড় চলছে। সৌমেন চাকরিতে থেকে ছুটি না নিয়ে খুলনা থেকে কুষ্টিয়ায় এসে হত্যাকাণ্ড ঘটান। সৌমেন মিত্র খুলনার ফুলতলা থানায় কর্মরত।
স্থানীয়রা জানান, আজ রোববার বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের কাস্টমস মোড়ে নারী ও শিশুসহ তিনজনকে গুলি করেন সৌমেন। স্থানীয়রা তাকে পিস্তলসহ হাতেনাতে ধরে পুলিশে তুলে দেয়। নিহতরা হলেন, কুমারখালী উপজেলার সাওতা গ্রামের মেজবার খানের ছেলে বিকাশকর্মী শাকিল খান (২৮), একই গ্রামের আসমা খাতুন (৩৪) ও তার ছেলে রবিন (৪)। আসমা এএসআই সৌমেনের স্ত্রী। আসমার এটা দ্বিতীয় বিয়ে। আসমার আগের ঘরের সন্তান রবিন।
সূত্র জানিয়েছে, এএসআই সৌমেন মিত্র আজ রোববার সকাল থেকে লাপাত্তা ছিলেন। সহকর্মীরা তার খোঁজ পাচ্ছিলেন না। তিনি ছুটিও নেননি। কুষ্টিয়ায় ট্রিপল হত্যায় আটক হওয়ার পর বিষয়টি জানাজানি হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান। তিনি বলেন, ‘কুষ্টিয়ায় আটক সৌমেন ফুলতলা থানার এএসআই। আজ সকাল থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। তিনি ছুটি না নিয়ে আন অফিশিয়ালি কুষ্টিয়ায় গেছেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ফুলতলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহাতাব শেখ জানান, ‘সকালে রোলকলের (হাজিরা) সময় এএসআই সৌমেন মিত্র অনুপস্থিত ছিলেন। তার নামে বরাদ্দ থাকা সরকারি পিস্তল ও গুলি নিয়ে তিনি বের হন। কিন্তু সৌমেন অত্যন্ত ঠান্ডা মাথায় থাকায় তারা কেউ তার মধ্যে এধরনের (হত্যার) বড় পরিকল্পনা কাজ করছে, সেটি বুঝতে পারেননি।’ সৌমেন মিত্র ২০২০ সালের ডিসেম্বর থেকে ফুলতলা থানায় কর্মরত আছেন বলে জানান ওসি। তার গ্রামের বাড়ি মাগুরা জেলায়।
ওসি মাহাতাব শেখ আরো জানান, হত্যাকাণ্ড ও আটকের খবর ছড়িয়ে পড়লে খুলনা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা থানায় এসে সৌমেনের খোঁজ নেন। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ নিচ্ছেন- উল্লেখ করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার অনুরোধ করেন ওসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।