গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
রাজধানীর এয়ারপোর্ট-উত্তরা রোডে গত কয়েকদিন ধরেই যানজটে নাকাল মানুষজন। সকালে অফিসগামী মানুষদের ভোগান্তির যেন শেষ নেই। তার ওপর আষাঢ়ের বৃষ্টি ভোগান্তির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সকাল থেকে মহাখালী-মিরপুর বা বাড্ডার দিক থেকে উত্তরা-আব্দুল্লাপুর-টঙ্গীগামী সব যানবাহনকে দীর্ঘ যানজটে পড়তে হয়েছে। আর এর প্রভাব পড়েছে উল্টো দিকের সড়কেও।
রাজধানীর ইসিবি চত্বর থেকে উত্তরায় অফিসগামী রাকিবুল হক নামে এক ব্যক্তি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসে লিখেছেন, ইসিবি চত্বর থেকে উত্তরা পর্যন্ত (১২.২ কিলোমিটার) রাস্তা পার হতে ৩ ঘণ্টা ২০ মিনিট লেগেছে।
ভুক্তভোগী আব্বাস আলী জানান, আমরা আসলে খুবই অসহায়। হাতে অতিরিক্ত নিয়ে বের হওয়ার পরেও সঠিক সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারি না। সরকারের কোনো চিন্তাতেই নেই আমরা এমন কষ্ট করি রাস্তায়। আসলে কিছু বলার নাই।
জানা গেছে, ভোরের দিকে টঙ্গীতে একটি মিনি ট্রাক রাস্তার গর্তে আটকে যাওয়ায় এ পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে রাস্তার উন্নয়ন কাজ এবং বৃষ্টির কারণে পানিবদ্ধতায় আব্দুল্লাপুর অংশের রাস্তায় গর্ত তৈরি হয়েছে। এজন্য গাড়ির ধীরগতিও যানজটের অন্যতম কারণ বলে মনে করছেন এ পথে চলাচলকারী যাত্রীরা।
মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল থেকেই এমন যানজটের ভোগান্তি পড়ে অনেককে বাধ্য হয়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দিতে দেখা গেছে।
রাজধানীর মহাখালী থেকে আব্দুল্লাহপুরগামী এবং আব্দুল্লাহপুর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করা সব পরিবহনই যানজটে নাকাল অবস্থা। একে তো বৃষ্টি তারওপর যানজট। দুই মিলিয়ে বেশ বেকাদায় যাত্রীরা।
সাইফুল নামের একজন জানান, রাস্তায় শুধু গাড়ি আর গাড়ি। কোন সময়ে গাড়ি একটু সামনের দিকে যাচ্ছে, আবার থেমে যাচ্ছে। অফিসের সময় রাস্তাতেই শুরু হয়ে গেল, কিন্তু অফিসে আর পৌঁছাতে পারা গেল না। শুধু প্রধান সড়কে নয়, উত্তরার বিভিন্ন সংযোগ সড়কেও বেশ যানজট দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে শুরু হওয়া যানজট বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আরও দীর্ঘ হচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে গাড়ি থেকে নেমে হাঁটা শুরু করেছে।
সঠিক সময়ে অফিসের পৌঁছানোর উদ্দেশে হেঁটে রওনা দিয়েছেন একটি বেসরকারি ব্যাংকের কর্মী সাইদুল ইসলাম। তিনি বলেন, এ এক অদ্ভূদ বিড়ম্বনায় পড়েছি। সকাল সকাল উঠে অফিসে ঠিক সময়ে পৌঁছানোর জন্যে বের হয়ে রাস্তায় আটকে গেছি। গাড়ি তো আর নিজে ঠেলে নিয়ে যেতে পারি না। তাই হেঁটেই যতটুকু যাওয়া যায়।
যনজটের কারণ হিসেবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তরা) সাইফুল হক বলেন, আজ সকাল থেকেই এ সড়কে যানজট তৈরি হয়েছে। মূলত আব্দুল্লাহপুর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কের কাজ হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে রাস্তায় কাঁদাযুক্ত ও সরু হয়ে গেছে। ফলে এ সড়কে যানজটটা দেখা দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।