পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
বাংলাদেশ আয়তনে ছোট ও ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়া সত্ত্বেও সীমিত সাধ্য নিয়ে ১৩টি ক্ষেত্রে বিশ্বের দরবারে চমৎকার অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। এ খাতসমূহে বিশ্বের ১০টি দেশের তালিকায় স্থান করতে সক্ষম হয়েছে। এমন অবস্থান তৈরি করতে ১৯৭১ সালের পর থেকে প্রত্যেক সরকারের নীতি ও সিদ্ধান্ত যেমন ভূমিকা রেখেছে, তেমনি উদ্যমী সাধারণ মানুষ অবদান রেখেছে। দেশের শিল্প উদ্যোক্তাগণ শত বাধা-বিপত্তির মধ্যেও ব্যবসা বাণিজ্য ও শিল্প কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে তিল তিল করে গড়ে তুলেছে দেশের বেসরকারি-নির্ভর অর্থনীতি। এভাবে সবার প্রচেষ্টায় অর্থনীতির যে উত্থান ঘটেছে, তা আজ চোখ বড় করে দেখছে বিশ্ববাসী। কিছু কিছু খাতে বাংলাদেশ চীন ও ভারতকে পিছনে ফেলে এগিয়ে রয়েছে।
ভারতের সাবেক অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কৌশিক বসু এক নিবন্ধে বলেছেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাফল্য থেকে শেখার আছে।’ তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ‘বাংলাদেশের উত্থান মানে একই সঙ্গে সুচিন্তিত পরিকল্পনা সুযোগ যথাযথভাবে কাজে লাগানোর এক গল্প। দেশটির সফলতা অর্জনে প্রগতিশীল বেসরকারি সংস্থাগুলোর (এনজিও) বড় অবদান রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে নাম হলো ব্র্যাকের ফজলে হাসান আবেদ এবং গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহম্মদ ইউনুস।’ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) বাংলাদেশ ব্যাংক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এবং তথ্যও যোগাযোগ প্রযুক্তি ((আইসিটি) বিভাগের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায় বাংলাদেশ ১৩টি খাতে পৃথিবীর শীর্ষ দশের তালিকায় অবস্থান করছে।
১. ইলিশে প্রথম: সারাবিশ্বে মোট উৎপাদিত ইলেশের ৮৬ শতাংশ বাংলাদেশে হচ্ছে, যার পরিমাণ ৫ লক্ষ ৩৩ হাজার টন। ইলিশ উৎপাদন বৃদ্ধি করে ৭ লক্ষ টন করা যাবে বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা, চার বছর পূর্বে বিশ্বে বাংলাদেশের ইলিশ উৎপাদনের হিস্যা ছিল ৬৫ শতাংশ। ইলিশ মাছ উৎপাদনে ভারত দ্বিতীয়, মিয়ানমার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ, ভারত ছাড়া ইরান, ইরাক, কুয়েত ও পাকিস্তানে সামান্য পরিমাণ ইলিশ মাছ পাওয়া যায়।
২. পাট রপ্তানিতে প্রথম: ‘সোনালি আঁশ’ পাট উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়। মোট পাট উৎপাদিত হয় ১৩ লক্ষ ৪৫ হাজার টন, যা বিশ্বের মোট উৎপাদনের ৪২ শতাংশ। প্রায় ২০ লক্ষ টন উৎপাদন করে ভারত বিশ্বে প্রথম। বিশ্বের ৫৫ শতাংশ পাট ভারতে উৎপাদিত হচ্ছে। ৪৫ হাজার টন উৎপাদন করে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানিতে বিশ্বে বাংলাদেশ প্রথম। বাংলাদেশ পাট থেকে প্রায় ২৮৫ রকমের পণ্য তৈরি করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতি বছর রপ্তানি করছে।
৩. তৈরি পোশাকে দ্বিতীয়: তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মৌলিক চালিকাশক্তি। তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয়। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে বাংলাদেশ ২ হাজার ৭৫০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে, যা বিশ্বের মোট রপ্তানির ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। পৃথিবীতে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রথম হচ্ছে চীন। চীনের রপ্তানির হিস্যা হচ্ছে ৩০ দশমিক ৮ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভিয়েতনাম। তার রপ্তানির অংশ হচ্ছে ৬ দশমিক ২ শতাংশ।
৪. কাঁঠাল উৎপাদনে দ্বিতীয়: বিশ্বের মোট কাঁঠাল উৎপাদিত হয় ৩৭ লক্ষ টন। কাঁঠাল উৎপাদনে বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। বার্ষিক উৎপাদন হচ্ছে ১০ লক্ষ টন। ১৮ লক্ষ টন কাঁঠাল উৎপাদন করে বিশ্বে ভারত প্রথম স্থানে রয়েছে। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থান দখল করে আছে- ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড।
৫. আউটসোর্সিংয়ে দ্বিতীয়: আমাদের দেশের তরুণ-তরুণীরা ফ্রিল্যান্স বা আউটসোর্সিংকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছে। বিজ্ঞানে শিক্ষিত ছেলেমেয়েরা এগিয়ে এসেছে। ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি করে, সেই কাজ শেষ করে অনলাইনের মধ্যে পৌঁছে দেওয়াই হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। বাংলাদেশে ফ্রিল্যান্সিং সংখ্যা ৬ লক্ষ, যা বিশ্বের প্রায় ২৭ শতাংশ। বাংলাদেশ এই খাতে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ভারত রয়েছে প্রথম অবস্থানে।
৬. ছাগলের দুধ উৎপাদনে দ্বিতীয়: ২০১৪ সালে বিজেপি সরকার ক্ষমতা আসার পর ভারত বাংলাদেশে গরু রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। আমাদের যুব সমাজ ছাগল ও গরু পালনে এগিয়ে আসে। অসংখ্য খামার দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে ওঠে। মানুষ ঘরে ঘরে গরু ও ছাগল পালন করতে থাকে। ছাগলের সংখ্যা, মাংস ও দুধ উৎপাদনে বাংলাদেশ বেশ ভালো করে আসছে। আমাদের দেশে ছাগলের দুধ উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। আর ছাগলের সংখ্যা ও মাংস উৎপাদনে বিশ্বে চতুর্থ। ছাগল উৎপাদনে বিশ্বের শীর্ষ দুই দেশ হচ্ছে ভারত ও চীন।
৭. সবজিতে তৃতীয়: বাংলাদেশ সবজি উৎপাদনে বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। বছরে মোট সবজি উৎপাদিত হয় ১ কোটি ৬০ লক্ষ টন। এই ক্ষেত্রে প্রথম অবস্থানে রয়েছে চীন, দ্বিতীয় অবস্থানে ভারত। বেসরকারি সংস্থাগুলো সারা বছর চাষের উপযোগী হাইব্রিড বা উচ্চ ফলনশীল (উফশী) বীজ উদ্ভাবন এবং তা বাজারজাত করার ফলে সবজি চাষে সাফল্য এসেছে। দেশে বর্তমানে ৬৫০ ধরনের সবজি উৎপাদিত হয়।
৮. মিঠাপানির মাছে তৃতীয়: মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের তৃতীয় অবস্থানে। নদ-নদী আমাদের প্রায় ভরাট। নদী প্রবাহ শ্লথ। ৫৪টি নদী আজ ভারতের আক্রমণে শিকার। নদীতে পানি নেই। তারপরও এফএওর মতে, দেশে মিঠাপানির মাছ উৎপাদন হয় বিশ্বের মোট উৎপাদনের ১০ শতাংশ। মিঠা পানির মাছ উৎপাদনে ২১ শতাংশ নিয়ে চীন প্রথম, ১৪ শতাংশ নিয়ে ভারত দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এফএও জানাচ্ছে, ২০২২ সালে নাগাদ বিশ্বের যে চারটি দেশ মাছ চাষে সাফল্য অর্জন করবে তাতে বাংলাদেশ হবে প্রথম। তারপর থাকবে থাইল্যান্ড, ভারত ও চীন। বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশে মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৩ শতাংশ। রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ শতাংশ।
৯. ধান উৎপাদনে চতুর্থ: বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। বাংলাদেশে আবাদি জমি অনেক কমে যাওয়ার পরও ধান উৎপাদনে আমরা এখন প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ধান উৎপন্ন হয় ৫ কোটি ২৬ লক্ষ টন, যা বিশ্বে চতুর্থ সর্বোচ্চ। চীন ১৪ কোটি ৮৫ লক্ষ টন চাল উৎপন্ন করে প্রথম স্থানে রয়েছে। আর ভারত ১১ কোটি ৬৪ লক্ষ টন উৎপাদন করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
১০. আলু উৎপাদনে ষষ্ঠ: আলু উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ ষষ্ঠ। ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার এক বছর পূর্বে দেশে আলু উৎপাদন হয়েছিল ৯ লক্ষ টন। বিগত ৫০ বছরে আলু উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ গুণ। এফএওর হিসাব অনুযায়ী, গত অর্থবছরে আলু উৎপাদিত হয়েছে ১ কোটি ২ লক্ষ টন। চীন ৯ কোটি ১৪ লক্ষ টন আলু উৎপাদন করে বিশ্বে প্রথম। ভারত ৪ কোটি ৯৭ লক্ষ টন উৎপাদন করে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে।
১১. প্রবাসী আয়ে অষ্টম: জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশে প্রবাসী আয় হওয়া উচিৎ ছিল আরও অনেক বেশি। কিন্তু অদক্ষ, আধা দক্ষ প্রবাসীদের আয় হয় কম। ফলে এক্ষেত্রে আমাদের স্থান অষ্টম। বিগত অর্থবছরে প্রবাসীদের মাধ্যমে দেশে অর্থ এসেছে ২ হাজার কোটি ডলার। একই বছর ভারত অর্জন করেছে ৭ হাজার ৮ শত কোটি ডলার। তাতে ভারত প্রথম। চীন ৬ হাজার ৭০০ কোটি ডলার আয় করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।
১২. আমে অষ্টম স্থান: বাংলাদেশে বছরে আম উৎপাদিত হয় ২৪ লক্ষ টন। বিশ্বে আম উৎপাদনে বাংলাদেশ অষ্টম। ১০ বছর পূর্বে আম উৎপাদনে ছিল দশম স্থান, উৎপাদিত আম ছিল ২২ লক্ষ ৫৫ হাজার টন। দেড় কোটি টন উৎপাদন নিয়ে বিশ্বে ভারত প্রথম। আম উৎপাদনে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে চীন।
১৩. পেয়ারায় অষ্টম: বাংলাদেশ পেয়ারা উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম। বছরে ১০ লক্ষ ৪৭ হাজার টন পেয়ারা উৎপন্ন হয়। ভারত পেয়ারা উৎপাদন করছে ১ কোটি ৭৭ লক্ষ টন। প্রথম অবস্থানে ভারত। ৪৪ লক্ষ টন উৎপাদন করে চীন রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। এক সময় শুধু দেশীয় জাতের পেয়ারা উৎপন্ন হতো।
দেশের কৃষি ও কৃষিজাত পণ্যের চাহিদা পূরণের জন্য সরকার নানা পকিল্পনা গ্রহণ করে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। করোনাকালে যে কোনো দেশের কৃষি ও কৃষিপণ্য উৎপাদন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যে দেশ খাদ্যসহ নানা প্রয়োজনীয় পণ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, সে দেশ অর্থনীতিতে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। চীন ও ভারত এই ক্ষেত্রে বিশ্বে বড় উদাহরণ। বেশ কিছু উদ্যোগের প্রতি সরকার ও বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বেশি বেশি নজর দেয়া প্রয়োজন।
এক. বর্তমান করোনাকালীন বিশ্বসহ বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত। তবুও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে কৃষিখাতে আমাদের অগ্রগতি অব্যাহত রয়েছে। এগিয়ে থাকা তেরটি খাতের মধ্যে অধিকাংশ খাত কৃষিভিত্তিক। এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে সরকারকে কৃষিভিত্তিক খাতসমূহকে আরও বেশি নীতিগত সহযোগিতা দিতে হবে। বিশেষ করে, জাতীয় বাজেটে কৃষিখাতের বরাদ্দ অনেক বেশি বৃদ্ধি করতে হবে। কৃষিপণ্যের সংরক্ষণ, বিপণন ও প্রসেসের জন্য প্রকল্প প্রণয়ন করতে হবে।
দুই. আমাদের বড় আয়ের ক্ষেত্র এখনও তৈরি পোশাক শিল্পখাত। দেশের পুরো অর্থনীতির চাকা এখনও এই খাতনির্ভর। এই অবস্থার পরিবর্তন প্রয়োজন। তাছাড়া তৈরি পোশাক শিল্পকে আরও বেশি শক্তিশালী করার জন্য এই খাতের বড় আকারে ব্যাকওয়ার্ড ও ফরওয়ার্ড শিল্প স্থাপন খুবই জরুরি। বিশেষ করে তুলা উৎপাদন ও তুলা আমদানি ক্ষেত্রে স্পিনিং খাতের আরও বেশি নীতি, কর, ভ্যাট সহযোগিতা প্রয়োজন। নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস ও বিদ্যুৎ সবরাহ নিশ্চিত করা দরকার।
তিন. তৈরি পোশাক শিল্পের পর আমরা প্রবাসীদের আয়ের উপর নির্ভরশীল। কিন্তু অদক্ষ ও আধা দক্ষ কর্মী বিদেশে বেশি হওয়ায় আমাদের আয় কম। দক্ষ কর্মী হলে বর্তমানের তুলনায় ১০ গুণ বেশি আয় সম্ভব হবে। তাই এই খাতের উন্নয়নের জন্য সরকারকে বড় আকারে পরিকল্পনা ও বাজেট নিয়ে অগ্রসর হতে হবে। দক্ষ শ্রমিক সৃষ্টির জন্য প্রতিটি উপজেলায় ১টি করে ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট ও ১টি করে পলিটেকনিক্যাল কলেজ স্থাপন করতে হবে।
চার. পৃথিবী আজ আইটিনির্র্ভর হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে করোনা আক্রমণের ফলে সব ধরনের কার্যক্রম আইটিনির্ভর হয়ে দেখা দিয়েছে। আমাদের দেশের শিক্ষিত তরুণ-তরুণীরা এখন ফ্রিল্যান্স বা আউটসোর্সিংকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করেছে। তাই এই খাতে আমরা পৃথিবীর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছি। আমাদের দেশে প্রচুর শিক্ষিত বেকার। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী ভারত এই খাতে অধিক অর্থ উপার্জন করে প্রথম স্থান দখল করে আছে। আমরাও পারি। তাই সরকারকে এই ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
লেখক: প্রতিষ্ঠতা চেয়ারম্যান ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি, ইসলামিক ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্ট লি., অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ, সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম, সাবেক সিনেট সদস্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।