মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দেশের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির হার তলানিতে। খেতে পাচ্ছেন না বহু মানুষ। অর্থনীতির সূচক বাড়ছে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দাড়ি বাড়ছে প্রতিদিন। আর এই দৃশ্য ‘সহ্য’ করতে পারলেন না মহারাষ্ট্রের এক চা বিক্রেতা। নরেন্দ্র মোদিকে বেকারত্বের সমস্যা জানিয়ে চিঠি লেখার সঙ্গে সঙ্গে পাঠালেন ১০০ টাকা। সঙ্গে একটি বিশেষ বার্তা, ‘এই ১০০ টাকা দিয়ে দাড়ি কামিয়ে ফেলুন।’ ঘটনাটি ঠিক কী? মুম্বইয়ের স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবর সম্প্রতি শোরগোল ফেলেছে। জানা গেছে, অনীল মোরে নামক এক চা বিক্রেতা মোদিকে দাড়ি কামানোর জন্য ১০০ টাকা পাঠিয়েছেন। কিন্তু কেন হঠাৎ এই পদক্ষেপ নিলেন তিনি? দেশটির সংবাদমাধ্যম ‘এই সময়’ জানিয়েছে, ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা দেখে হতাশ অনীল। করোনা সংক্রমণের কারণে অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। মহারাষ্ট্রের ইন্দাপুর রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালের উল্টো দিকে চায়ের দোকান অনীলের। চোখের সামনে নিজের ব্যবসার পাশাপাশি বহু বন্ধু, প্রতিবেশীদের কাজ হারাতে দেখেছেন তিনি। অনীল বলেন, নরেন্দ্র মোদি তার দাড়ি বাড়িয়েছেন। কিন্তু তার দেশের অর্থনীতি বৃদ্ধির দিকে বেশি নজর দেওয়া উচিত ছিল। দেশের স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর উন্নতি, টিকাকরণে গতি আনার দিকে নজর দেওয়া উচিত ছিল। করোনার দুটি ঢেউ সাধারণ মানুষকে যে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে, তারা সেখান থেকে কীভাবে বেরিয়ে আসবে, তা দেখা উচিত ছিল প্রধানমন্ত্রীর। এখানেই শেষ নয়, এই চা বিক্রেতা আরও বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রীকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করি। কিন্তু আমি বাস্তব পরিস্থিতিটা বুঝতে পারছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে ১০০ টাকা পাঠাচ্ছি। এই টাকা দিয়ে উনাকে দাড়ি কামিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। আমি প্রধানমন্ত্রীকে অসম্মান করতে চাইছি না। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতিতে দেশের গরিব মানুষরা যেভাবে সমস্যায় ভুগছেন, তিনি সেই বিষয়ে বিন্দুমাত্র খোঁজ রাখছেন না। তাই তার দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া চিঠিতে অনীল আরও লিখেছেন, যেসব পরিবার করোনায় পরিজনকে হারিয়েছেন তাদের পাঁচ লাখ টাকা করে আর্থিক সাহায্য করা উচিত কেন্দ্রের এবং যে সমস্ত পরিবার লকডাউনের জন্য আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে তাদের তিন লাখ টাকা দেওয়ার দাবি করেছেন তিনি। টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।