বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অবিলম্বে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া ও বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর আরোপিত ১৫% ট্যাক্স বাতিলের দাবিতে আজ (রোববার) সকাল ১১টায় নগরীর চৌহাট্টায় অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সিলেটের শিক্ষার্থীরা। এসময় বক্তব্য রাখেন এমসি কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম, শাবিপ্রবি শিক্ষার্থী সাত্ত্বিক বন্দোপাধ্যায়, মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল নেত্রী তানজিনা বেগম, মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী মনীষা ওয়াহিদ, মদন মোহন কলেজের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা, মেট্রোপলিটনের শিক্ষার্থী তারেক চৌধুরী, সিলেট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী কাজী পলাশ, জুমায়েল বক্স প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতির অজুহাতে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধদীর্ঘ ১৫ মাস ধরে। হাট-বাজার, অফিস আদালত, শপিং মল সবকিছুই চালু। অথচ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে সরকারের এই সতর্কতার বাণী কার্যত পরিণত হয়েছে ব্যর্থততায়। ১৫ মাসে কোন সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না করে, বারে বারে ছুটি বাড়িয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যা ক্রমশই শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবনকে করছে ধ্বংস। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় ছাত্রদের অসংগঠিত অবস্থার সুযোগ নিয়ে প্রস্তাবিত বাজেটে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর ১৫% ট্যাক্সের বোঝা চাপিয়ে দেয়া হয়েছে এবার। বিগত সময়েও বারে বারে চেষ্টা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর করের বোঝা চাপানোর। কিন্তু প্রতিবারই ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের মুখে ব্যর্থ হয়েছে তা। এবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর বিগত সময়ের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণ ট্যাক্স প্রস্তাব করা হয়েছে, তা নানা কৌশলে ছাত্রদের কাছ থেকে করা হবে আদায়। সরকার ক্যাম্পাস বন্ধ রেখে বিভিন্ন সময় ছাত্রদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কথা বললেও এক্ষেত্রে ছাত্রদের আর্থিক সুরক্ষার দিকটি বিবেচনা করেনি। ফলে এটি অত্যন্ত স্পষ্ট যে, অনির্দিষ্টকাল ধরে ক্যাম্পাস বন্ধ রাখা কোনভাবেই ছাত্রদের স্বার্থে নয় বরং ছাত্রদের উপর বিভিন্ন অন্যায় অন্যায্য সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়ার স্বার্থেই করা হচ্ছে। আবার এটি শুধু বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সমস্যা নয়। আজ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর যেভাবে অন্যায় সিদ্ধান্ত চাপানো হল, সেরকম নানা অন্যায় সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতেও চাপানো হতে পারে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপর। ফলে বাধ্য হয়ে ‘ট্যাক্স নয় ক্লাস চাই’ এই দাবিতে রাস্তায় নেমেছি আমরা। দাবি না মানলে ছাত্র-আন্দোলন গণ আন্দোলনে রূপ নিবে বলে হুঁশিয়ারি দেন আন্দোলনকারীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।