মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দক্ষিণ চীন সাগর থেকে শুরু করে তাইওয়ান নিয়ে সংঘাত। চীনের সঙ্গে ক্রমে যুদ্ধের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফলে দুই দেশের মধ্যে বাড়ছে অস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা। এবার নাকি কমিউনিস্ট দেশটি জোরকদমে একটি গোপন হাতিয়ার তৈরি করছে। যাকে কার্যত চীনাদের ‘যুদ্ধের দেবতা’ বলা হচ্ছে।
সোভিয়েত পরবর্তী যুগে ‘আঙ্কেল স্যাম’কে কড়া টক্কর দিচ্ছে ‘ড্রাগন’। এমন পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে যে, একটি অত্যাধুনিক স্টেল্থ বোমারু বিমান তৈরি করছে যা প্রশান্ত মহাসাগরে গুয়াম দ্বীপে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে আণবিক বোমাবর্ষণ করতে সক্ষম হবে। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশ করেছে চীনের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা ‘নোরিনকো’। সেখান থেকেই একটি নতুন বোমারু বিমান তৈরির কাজ শুরু হওয়ার কথা জানা গিয়েছে।
স্টেল্থ প্রযুক্তি অর্থাৎ রাডারে অদৃশ্য এই বিমানটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘জিয়ান এইচ-২০’। তৈরি হলে বিমানটি গুয়াম দ্বীপে মার্কিন সেনাঘাঁটিতে আণবিক বোমা ফেলতে পারবে বলেই খবর। বিশেষজ্ঞদের মতে, চীনের বোমারু বিমানটি অনেকটাই মার্কিন বিমান বাহিনীর ‘বি-২ স্পিরিট’ যুদ্ধবিমানের মতো। ফলে বিশ্লেষকদের একাংশের ধারণা, কোনওভাবে মার্কিন প্রযুক্তি হস্তগত করেই চীন নতুন বিমানটি তৈরি করছে। তবে চীনের হাতে এহেন হাতিয়ার এলে আমেরিকার বিপদ যে বাড়বে তা স্পষ্ট।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই ওয়াশিংটন সাফ জানিয়েছিল, তাইওয়ানে হামলা চালাতে পারে চীন। আর যুদ্ধ শুরু হলে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে মদত দেবে আমেরিকা। এর জন্য লালফৌজকে ঘিরে ফেলতে জাপানের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা হয়ে গিয়েছে মার্কিন কর্তাদের বলে খবর। সম্প্রতি, আগামী বছর ছয়েকের মধ্যেই তাইওয়ান দখল করতে হামলা চালাবে চীন দাবি করেছেন এক শীর্ষ মার্কিন সেনাকর্তা।
এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের মার্কিন সেনাকর্তা অ্যাডমিরাল ফিলিপ ডেভিডসনের বক্তব্য, ‘২০৫০ সালের মধ্যে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আমেরিকার নেতৃত্বকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো ক্ষমতা অর্জন করতে চায় চীন। তারা আন্তর্জাতিক আইন সেই অর্থে মানে না। এই বিষয়ে আমি উদ্বিগ্ন। আমার মনে হয়, আগামী ছয় বছরের মধ্যে তাইওয়ান দখল করতে হামলা চালাবে চীন।’ ফলে দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি যে অত্যন্ত উদ্বেগজনক তা স্পষ্ট। সূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।