বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বেগমগঞ্জ উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনায় ফজলুল করিম সোহেল (৩২) নামের এক প্রবাসীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এসময় হামলার শিকার হয়ে আহত হয়েছেন সোহেলের দুই ভাই।
বুধবার রাত সোয়া ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাইজদীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান সোহেল। এরআগে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টায় গোপালপুর ২নং ওয়ার্ডে নিজ বাড়ীতে হামলার শিকার হন সোহেল। নিহত ফজলুল করিম সোহেল ও আহত আলী হোসেন (৪২) এবং নূর হোসেন (৩৮) ওই ওয়ার্ডের আতার বাড়ীর আবু তাহেরের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, করোনাকালীন সময় লেবানন থেকে বাংলাদেশে আসেন প্রবাসী ফজলুল করিম সোহেল। মঙ্গলবার রাতে বৃষ্টির সময় পুকুর থেকে মাছ উঠে। এসময় নিজ বাড়ীর পুকুরের পাশের একটি বাঁশের ঝোপের মধ্যে মাছ ধরতে যান সোহেল। বিষয়টি দেখতে পেয়ে সোহেলকে মাছ ধরতে বাধা দেন একই বাড়ীর জয়নাল আবেদিনের ছেলে মহিন উদ্দিন। এনিয়ে তাদের উভয়ের মধ্যে বাকবির্তক হয়, একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে যান মহিনের ভাই মনির হোসেন। এরপর মহিন ও মনির দুজনে সোহেলকে মারতে শুরু করেন। পরে মহিন ও মনিরের মা রোকেয়া বেগম ঘর থেকে একটি চাপাতি নিয়ে ছেলেদের দিলে ওই চাপাতি দিয়ে সোহেলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে তারা। খবর পেয়ে সোহেলকে রক্ষা করতে এগিয়ে গেলে আলী হোসেন ও নূর হোসেনকেও পিটিয়ে জখম করে হামলাকারীরা।
নিহতের স্বজনরা জানান, ঘটনাস্থল থেকে রাতে সোহেলকে উদ্ধার করে প্রথমে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসা না পাওয়ায় তাকে মাইজদীর নোয়াখালী প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করলে বুধবার রাত সোয়া ৮টার দিকে ওই হাসপাতালে মারা যান তিনি।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি কামরুজ্জামান সিকদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মারামারির ঘটনায় নিহত সোহেলের পরিবারের পক্ষ থেকে বুধবার বিকেলে একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। সোহেলের মৃত্যুর ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।