মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতকে শুধু কোভিডের মানবিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতিই বহন করতে হয়নি, কৌশলগত দিক থেকেও এর পরিণতি ছিল খারাপ। দক্ষিণ এশিয়াকে নেতৃত্ব দিতে ভারতের সীমাবদ্ধতা কোভিডের কারণে স্পষ্ট হয়ে গেছে। দেশটির প্রতিবেশি দেশগুলোতে চীনের অবস্থান এখন আরো দৃঢ়। দক্ষিণ এশিয়ার বড় শহরগুলোতেও দেখা গেছে রোগিদের জন্য যথেষ্ট চিকিৎসা সুবিধা নেই। এ অঞ্চলের স্বাস্থ্যখাতে যে সংকট তা এরমধ্য দিয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। কিন্তু এর থেকেও বড় বিষয় হচ্ছে, এ অঞ্চলের সবথেকে বড় রাষ্ট্র ভারতকে সংকট মোকাবেলায় সবথেকে ক্ষুদ্র রাষ্ট্র ভুটানের থেকেও সাহায্য নিতে হয়েছে। দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর জোট সার্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে দেখা গেছে, পাকিস্তান এখানে আঞ্চলিক সমস্যার তুলনায় ভারতের সঙ্গে নিজেদের সমস্যা সমাধানেই বেশি আগ্রহী। অপরদিকে ভারত এখানে শুধু নিজেকে দক্ষিণ এশিয়ার নেতৃত্বস্থানীয় দেশ হিসেবে দেখে এসেছে। কোভিডে ভারত ও পাকিস্তান উভয় রাষ্ট্রই খারাপভাবে ভুগেছে। দুই দেশেরই শহুরে এলাকাগুলোতে কোভিডে হাসপাতালগুলো উপচে পড়েছে। কোভিড ছড়িয়ে পরার দেড় বছর পার হয়েছে। বিশ্বে যত মানুষ কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন তার ১১ শতাংশের বেশি দক্ষিণ এশিয়ার। মৃতের ৬ শতাংশও এ অঞ্চলের। এ অঞ্চলের মানুষকে কোভিডের কারণে দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনৈতিক ক্ষতিতে পড়তে হয়েছে। দেশগুলোর স্বাস্থ্যখাতও এই মহামারি মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে। অপরদিকে চীন এই পরিস্থিতির সুযোগে দেশগুলোকে ভ্যাকসিন পাঠিয়েছে। ঋণ দিয়ে সাহায্যের চেষ্টা করেছে। প্রথম দিকে ভারত ভ্যাকসিন রপ্তানির মধ্য দিয়ে নিজের অবস্থা শক্তিশালী করতে পেরেছিল। কিন্তু মার্চ মাসে এসে দেশটির অবস্থা খারাপ হতে শুরু করলে ভ্যাকসিনের আভ্যন্তরীণ চাহিদা বৃদ্ধি পায়। কিন্তু মে মাস নাগাদ ভারত মাত্র এর মোট জনসংখ্যার ৩.১ শতাংশকে পুরোপুরি ভ্যাকসিন কার্যক্রমের আওতায় আনতে পেরেছে। এই হারে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলতে থাকলে দেশের বেশিরভাগ মানুষকে ভ্যাকসিন দিতে এক বছরেরও বেশি সময় লেগে যাবে। অপরদিকে কোভিড মোকাবেলায় পাকিস্তানের সরকারের তরফ থেকে তেমন কোনো পদক্ষেপই দেখা যায়নি। অন্য মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর মতো পাকিস্তান মসজিদে নামার পড়ার ক্ষেত্রে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি। ফলাফলে দেখা গেছে, মে মাস পর্যন্ত পাকিস্তানে ৮ লাখ ৮৬ হাজারেরও বেশি মানুষের কোভিড শনাক্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ২০ হাজার। দেশটি তার জনসংখ্যার মাত্র ০.৬ শতাংশকে ভ্যাকসিন দিতে পেরেছে। দেশটি এ জন্য নির্ভর করেছে চীনের দেয়া উপহারের ভ্যাকসিনের ওপরে। দ্যা প্রিন্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।