জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ কর্মসূচি থেকে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার, হামলা, লাঠিচার্জ এবং শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎবার্ষিকী উপলক্ষে গত ৩১ মে শেরপুরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি ও আহতদের আশু সুস্থতা কামনা করেছেন।

বুধবার (০২ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, মঙ্গলবার ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে ছাত্রদলের কর্মসূচিতে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাডারদের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত তাৎক্ষণিক শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে গতকাল পুলিশের অতর্কিত হামলা, গ্রেফতার ও বেধড়ক লাঠিচার্জ করে। পুলিশ মিছিল থেকে তেজগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা রিয়াজুল ইসলাম, রতন ও মিরপুর থানা শাখার নেতা আলাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে এবং বেধড়ক লাঠিচার্জের মাধ্যমে ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ফখরুল ইসলাম রবিন, মিরপুর থানা শাখার আহবায়ক ফিরোজ আহমেদ, কাফরুল থানা শাখার আহবায়ক ইকবাল হোসেন, নিউমার্কেট থানা শাখার আহবায়ক খান মনির, কদমতলী থানা শাখার যুগ্ম আহবায়ক রাকিবুল্লাহ, সদস্য মো. জাহাঙ্গীর আলম, নিউমার্কেট থানা শাখার সদস্য মো. ইকবাল হোসেন, মো. শিপন এবং তেজগাঁও থানা শাখার নেতা সাইফুর রহমান সোহেলকে গুরুতর আহত করে।

৩১ মে শেরপুরে ছাত্রদলের উদ্যোগে শহীদ জিয়ার শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা ও মিলাদ মাহফিল শেষে জেলা ছাত্রদল সভাপতি শওকত হোসেন, সহ-সাধারণ সম্পাদক পাপন মাহমুদ, শহর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক হৃদয় হাসান, জেলা যুবদলের দফতর সম্পাদক রেজাউল করিম বাবু, ছাত্রদল কর্মী মেহেদী ও মানিককে পুলিশ গ্রেফতার করে।

বিবৃতিতে বিএনপি মির্জা ফখরুল বলেন, সরকার দমন-নিপীড়নের মাধ্যমে বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল ও শেরপুর জেলা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ওপর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হামলা ও গ্রেফতার সেটিরই ধারাবাহিকতা। সরকার কর্তৃত্ববাদী শাসন প্রতিষ্ঠিত করতে রাজনীতির পথকে কঠিন করে তুলেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে-নিজেদের একচ্ছত্র ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করতে রাজনীতি করার অধিকার কেবল আওয়ামী লীগেরই রয়েছে, অন্য কারো নয়। তিনি বলেন, বিরোধীদল, মত ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ভূলুণ্ঠিত করে দেশে ফ্যাসিবাদী রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। তবে জনগণ আওয়ামী বর্বর শাসন থেকে দেশকে রক্ষা করতে এখন আরও বেশী ঐক্যবদ্ধ। যেকোন মূহুর্তে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনের যবনিকাপাত ঘটবে।