নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আলিম পরীক্ষার্থী ছেলেকে হত্যার পর অভিযুক্ত মা নাসরিন আক্তার নরসিংদীতে আত্মহত্যা করেছেন। গত সোমবার বিকেলে নরসিংদী শহরের বাজিড়মোড়ের নিরালা নামে একটি আবাসিক হোটেলের কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর থানা পুলিশ। গতকাল সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ নরসিংদী গিয়ে তার লাশ সনাক্ত করে। এর আগে, গত সোমবার ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আলিম পরীক্ষার্থী সাকিব নাবিলকে গত ২৯ মে আহত করে পালিয়ে থাকা তার মায়ের ছবির সাথে অনেকটা মিল থাকায় নরসিংদী থানা পুলিশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে তারা গিয়ে লাশ সনাক্ত করে।
লাশ উদ্ধারের পর হোটেলে অবস্থানের আগে নিহতের পরিচয় হিসেবে রেজিস্ট্রারে নাম রেহানা আক্তার, পিতা- আবু তাহের, মা ফাতেমা জোহরা, গ্রাম- ডৌকাদি, নরসিংদী উল্লেখ থাকায় কিছুটা সমস্যায় পরে নরসিংদী থানা পুলিশ। পরে তার সাথে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম- নাসরিন আক্তার, পিতা- আবু তাহের, মাতা- ফাতেমা জোহরা, গ্রাম- ডৌকাদি, নরসিংদী দেখে অনেকটা নিশ্চিত হয়। এর আগে, সকালে নাসরিন আক্তারের রুমের দরজা খোলা না পেয়ে অনেক ডাকাডাকি করার পর কোন সাড়াশব্দ না দেয়ায় হোটেল কর্তৃপক্ষ পুলিশকে খবর দিলে দরজা ভেঙে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মশিউর রহমান জানান, নরসিংদীতে এক নারীর লাশ উদ্ধারের খবর পাই। বাবার নাম ও চেহারার মিল পেয়েছি। ইতোমধ্যে ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, এর আগে সিদ্ধিরগঞ্জে নাজমুছ সাকিব নাবিল নামে এক মাদরাসা ছাত্রের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। মৃত্যুর জন্য নিহতের মা নাসরিন আক্তারকে দায়ী করার পাশাপাশি তার স্ত্রী মানসিক বিকারগ্রস্ত বলেও জানান নিহতের বাবা সগির আহমেদ। পরে এ ঘটনায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় নাসরিন আক্তারকে আসামি করে একটি হত্যা মামলাও করেছেন।