পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আবারও হঠাৎ করে অস্থির হয়ে ওঠেছে পেঁয়াজের বাজার। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকা। আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো তথ্যে ডেস্ক রিপোর্ট-
বগুড়া ব্যুরো জানায়, গত সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত পেঁয়াজের কেজি প্রতি মূল্য ছিল ৪৫ টাকা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে তা ৬০ টাকায় উঠেছে। এক রাতের ব্যবধানে ১৫ টাকা মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে বগুড়া শহরের নাটাইপাড়া বৌ বাজারের কাঁচামালের দোকানি আব্দুল মান্নান বলেন, ঈদের পর থেকে আড়তে গিয়ে ৪০ টাকায় পেঁয়াজ কিনে ৪৫ টাকায় বিক্রি করতাম। গতকাল মঙ্গলবার সকালে ৫৫ টাকায় পেঁয়াজ কিনতে হয়েছে তাই ৫ টাকা লাভে ৬০ টাকায় বিক্রি করছি ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বগুড়ার বখশীবাজার, ফতেহ আলী বাজার, কালিতলা ও খান্দার বাজারসহ ছোটবড় সবগুলো বাজারেই বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। খুচরা দোকানিরা বলেন, সামনে পেঁয়াজের দাম আরো বাড়বে। বগুড়ার রাজাবাজার পাইকারি আড়তে গিয়ে দেখা গেছে, আড়তে পেঁয়াজের বিশাল স্তপ জমে আছে। অথচ আমদানি নেই, সরবরাহ কম ও আবহাওয়া খারাপের অজুহাতে বাড়ানো হয়েছে পেঁয়াজের দাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পাইকারি আড়তদার জানালেন, কাঁচামালের দর ওঠানামাতো করবেই। তাছাড়া সামনে কোরবানির ঈদ পেঁয়াজ মশল্লার দামতো একটু বাড়তেই পারে। তবে ক্রেতাদের বক্তব্য রাতারাতি পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি স্রেফ সিন্ডিকেটের কারসাজি। তাদের দাবি প্রশাসন খোঁজ নিয়ে দেখুক বগুড়ার পাইকারদের গোডাউনে কি পরিমাণে পেঁয়াজের মজুদ আছে, পাইকাররা সেগুলো কবে কার কাছ থেকে কত টাকায় কিনেছে। আমদানিইবা কবে করেছে। আমদানি মূল্য কত টাকা পড়েছে এটা করলেই পেঁয়াজের ন্যায্যমুল্য নির্ধারণ করে দিতে পারবে বগুড়ার প্রশাসন।
স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে জানান, উৎপাদন মৌসুম শেষ হতে না হতেই নরসিংদীতে পেঁয়াজের বাজার অস্থিতিশীল করার কারসাজি শুরু হয়ে গেছে। হঠাৎ করে মুনাফাখোর মসলা সিন্ডিকেটের থাবা পড়েছে পেঁয়াজের বাজারে। মূল্য অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কেজিপ্রতি পেঁয়াজের মূল্য বেড়েছে ২০ টাকা। ৪০ টাকা কেজির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে। ৩৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫৫ টাকা কেজি। বাজারে দেশি পেঁয়াজের প্রচুর আমদানি থাকা সত্ত্বেও এক লাফে মূল্য চল্লিশ থেকে ষাটের কোটায় চলে যাওয়ায় বাজারে হৈ চৈ পড়ে গেছে।
এক শ্রেণির ধনী গ্রাহক পেঁয়াজের মূল্য আরো বৃদ্ধির আশঙ্কায় এক কেজির স্থলে দুই কেজি, দুই কেজির স্থলে চার কেজি, চার কেজির স্থলে আট/দশ কেজি করে কিনে নিয়ে গেছেন। হঠাৎ করে পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সম্পর্কে খুচরা বিক্রেতাদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, তারা এ ব্যপারে বিস্তারিত কিছু জানেন না। পাইকারি বিক্রেতারা হঠাৎ করে দাম বাড়িয়ে দেয়ার কারণে তাদেরকে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারি বিক্রেতার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, দাম বাড়িয়েছে পেঁয়াজের আড়তের মালিকরা। এই অবস্থায় সচেতন ক্রেতারা জানিয়েছেন, পরপর কয়েক বছর ধরে মুনাফাখোর মসলা সিন্ডিকেট পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে বেপরোয়া মুনাফা লুটে নেয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।