পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টাস্ক ফোর্স কমিটি বৈঠক করে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে। কিন্তু কখন সেই বিক্রি শুরু হবে তা বলেনি। ফলে ভারতে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির খবর প্রচার করে সিন্ডিকেট সক্রিয়। ফলে দেশে পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা শুরু হয়েছে। মাত্র চারদিনের ব্যবধানে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা। হঠাৎ করে এমন দাম বাড়ায় বাড়তি পেঁয়াজ কিনে মজুদ করেছেন ক্রেতারা।
ভারত ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশে পেঁয়াজের রফতানি বন্ধ করলে দেশের বাজারে হু হু করে দাম বেড়ে পেঁয়াজের কেজি রেকর্ড ২৫০ টাকা পর্যন্ত উঠে। বিদেশ থেকে বিমানে করে পেঁয়াজ আমদানি করেও দান নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। এ কারণে ক্রেতারা বাড়তি পেঁয়াজ কিনেছেন। গতকাল রাজধানীর কয়েকটি বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কথাতে তেমন আভাসই পাওয়া গেছে।
যাত্রাবাড়ির একাধিক বাজারের বিক্রেতারা জানান, গত ৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়া শুরু হয়। এরপর শনি, রবি ও সোমবার তিন দিনেই খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। প্রথম দফায় শুক্রবার কেজিতে পেঁয়াজের দাম বাড়ে ১০ থেকে ১৫ টাকা। শনিবার বাড়ে ১৫ টাকা এবং রোববার কেজিতে আরও ৫ টাকা বাড়ে। তবে সোম-মঙ্গলবার নতুন করে পেঁয়াজের দাম বাড়েনি।
ব্যবসায়ীদের তথ্য অনুযায়ী, শুক্রবারের আগে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৪০-৪৫ টাকা। যা শুক্রবার বেড়ে ৫০-৬৫ টাকা হয়। শনিবার ও রোববার দাম বেড়ে তা এখন ৬৫-৭৫ টাকা দরে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। অপরদিকে আমদানি করা পেঁয়াজের কেজি শুক্রবারের আগে ছিল ২৫-৩০ টাকার মধ্যে। এখন তা ৬০ টাকা উঠেছে।
পেঁয়াজের দাম বিষয়ে শনিরআখড়ার ব্যবসায়ী মো. মনির হোসেন বলেন, প্রতি কেজি ৭০ টাকায় দেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছি। দাম বাড়ার খবরে শনিবার ও রোববার ক্রেতাদের মধ্যে পেঁয়াজ কেনার এক প্রকার হিড়িক পড়ে। দুই দিনে ১০ বস্তা পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। এর আগে দুই দিনে এতো বেশি পেঁয়াজ বিক্রি করিনি।
যাত্রাবাড়ি, ফকিরাপুল, মতিঝিল, দয়াগঞ্জের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বললে তারা বলেন, হুট করে দাম বাড়ায় মানুষ ভয় পেয়েছে। কারণ সিন্ডিকেট আওয়ামী লীগের লোকজন বেশি হওয়ায় সরকার কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছিল। আমরাই ২৫০ টাকা কেজি বিক্রি করেছি। এবারও সেই সেপ্টেম্বরে খবর ছড়িয়েছে ভারতে বৃষ্টিতে পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে এবং দাম বেড়েছে। এ কারণেই হয়তো আবার যেন গত বছরের পরিস্থিতির মুখে পড়তে না হয়, সে জন্য অনেকে বাড়তি পেঁয়াজ কিনেছেন।
তবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের টাস্ক ফোর্স কমিটির বৈঠকের পর পেঁয়াজের দাম প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব ড. জাফর উদ্দীন বলেছেন, আমরা পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে যথেষ্ট সচেতন। গতবারের মতো এবার পরিস্থিতি সৃষ্টির কোনো আশঙ্কা নেই। এবার আমরা খুব সতর্ক। এছাড়া আগামী সপ্তাহ থেকে নতুন পেঁয়াজ না ওঠা পর্যন্ত খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি। আশা করি যেটুকু বেড়েছে দু-একদিনের মধ্যে কমে যাবে। টিসিবিসহ দেশে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।