পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
নাইজেরিয়ার নিজার প্রদেশের একটি মাদ্রাসা থেকে রবিবার শতাধিক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। সম্প্রতি দেশটির শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলার যে প্রবণতা তৈরি হয়েছে সে তালিকায় এটিই সর্বশেষ সংযোজন। নাইজার প্রদেশের কর্তৃপক্ষ বিবিসিকে নিশ্চিত করেছে যে, রবিবার তেজিনা শহরের একটি মাদ্রাসা থেকে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে বন্দুকধারীরা। একজন শিক্ষক বিবিসিকে জানিয়েছেন, কমপক্ষে ১৫০ শিক্ষার্থী নিখোঁজ রয়েছে। তবে অন্য প্রতিবেদনগুলোতে এই সংখ্যা প্রায় ২০০ বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। মুক্তিপণ আদায়ের জন্য অপহরণের ঘটনা ওই এলাকায় ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। গত ফেব্রুয়ারিতে জামফারা স্টেটের জাঙ্গেবে এলাকার একটি আবাসিক স্কুল থেকে প্রায় ৩০০ ছাত্রীকে অপহরণ করেছিল অস্ত্রধারীরা। তাদের বেশিরভাগকেই অবশ্য পরে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। সবশেষ ঘটে যাওয়া ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে দিস ডে নামে একটি খবরের ওয়েবসাইটে জানানো হয়, অস্ত্রধারীরা মোটরসাইকেলে করে পুরো শহর চষে বেড়ায় এবং এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। মানুষজন তাদের হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে যাওয়ার পর তারা স্কুলে ঢুকে শিক্ষার্থীদের অপহরণ করে। স্কুলটিতে ছয় বছর থেকে শুরু করে ১৮ বছর বয়সী মেয়ে ও ছেলে শিশুরা একসঙ্গে পড়াশোনা করতো। কর্তৃপক্ষ বলছে যে, হামলায় দুই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছে এবং এতে একজন মারা গেছে। এছাড়া গাড়িতে করে ঘুরছিলেন এমন বেশ কিছু লোকজনকেও অপহরণ করা হয়েছে। বিবিসি জানিয়েছে, গত ডিসেম্বর থেকে নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিম এবং মধ্যাঞ্চলে শিক্ষার্থীদের অপহরণের কমপক্ষে ছয়টি ঘটনা ঘটেছে। এতে আট শতাধিক শিক্ষার্থী ও কর্মীকে অপহরণ করা হয়। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।