Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমেরিকা, ভারত ও চীনের কাছে বাংলাদেশের ভূকৌশলগত গুরুত্ব বিপুলভাবে বৃদ্ধি

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০২১, ১২:০৪ এএম

সত্তর দশকের প্রথমার্ধে আমি অধুনালুপ্ত ‘মর্নিং সানের’ খন্ডকালীন সহকারী-সম্পাদক বা অ্যাসিস্ট্যান্ট এডিটর হিসাবে কাজ করতাম। আমার প্রধান কাজ ছিল পলিটিক্যাল কলাম লেখা। আমার কলামটির নাম ছিল, Of pains and pangs. এই উপলক্ষে একদিন আমি মার্কিন দূতাবাসের একজন অফিসারের সাথে সাক্ষাৎ করি। আমি ঐ কূটনীতিককে জিজ্ঞাসা করি যে, আমেরিকার কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব কতখানি। অফিসারের টেবিলের পেছনে টাঙ্গানো ছিল ভ‚মন্ডলের একটি বিশাল মানচিত্র। তিনি হাতে একটি ছড়ি নিলেন। অতঃপর তার রিভলভিং চেয়ার ঘুরিয়ে মানচিত্র মূখী হলেন এবং বললেন, ‘দেখো তো, দূর থেকে বাংলাদেশ দেখা যায় কিনা?’ আমি দেখলাম, আয়তন ছোট হওয়ায় চট করে দেশটি স্পষ্টভাবে চোখে পড়ে না। তখন তিনি ছড়িটি বাংলাদেশের ওপর সুনির্দিষ্টভাবে স্থাপন করলেন। বললেন, ‘আমেরিকা থেকে বাংলাদেশ অনেক দূরে। স্পষ্ট করে না দেখলে দেখা যায় না।’ আমি উত্তর পেয়ে গেলাম। আমেরিকার কাছে বাংলাদেশ তখন ততটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।

কিন্তু সেই অবস্থা আজ আর নাই। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর উপমহাদেশে অর্থাৎ দক্ষিণ এশিয়ায় ক্ষমতার ভারসাম্যে বিরাট পরিবর্তন ঘটে। পাকিস্তানের টোটাল ডিফিটের পর ভারত প্রশ্নাতীতভাবে শ্রেষ্ঠ আঞ্চলিক শক্তির মর্যাদায় অধিষ্ঠিত। পশ্চিমারা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য দেখতে চাইলেও ’৭১ এর পর ভারত আঞ্চলিক সুপার পাওয়ার রূপে আবিভর্‚ত হয়। সেইসাথে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশ ভারতের অভিন্ন হৃদয় মিত্র হওয়ায় ভারত পরাশক্তি হওয়ার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। ১৯৪৭ সালে ভারত পারমাণবিক বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। ফলে ভারতের সামরিক শক্তিতে নতুন পালক যুক্ত হয়।

বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিমন্ডলে ভারতের গুরুত্ব বাড়লেও বাংলাদেশের গুরুত্বও বৃদ্ধি পায়। কারণ, বাংলাদেশ ভারতের ভূকৌশলগত সীমান্তে (Geo strategic frontier) অবস্থিত। দ্বিতীয়ত: বাংলাদেশের সাথে চীনের অভিন্ন সীমান্ত না থাকলেও এই বিশাল দেশটি বাংলাদেশের অত্যন্ত কাছাকাছি অবস্থিত।

বাংলাদেশের ভূকৌশলগত গুরুত্ব বাড়িয়েছে দেশটির ভৌগোলিক অবস্থান। আমাদের তিন দিকই ভারত বেষ্টিত হলেও পূর্বাঞ্চলে ১৭২ মাইল অভিন্ন সীমান্ত রয়েছে বার্মা তথা মিয়ানমারের সাথে। আরো স্পষ্ট করে বলতে গেলে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশের (ভূতপূর্ব আরাকান) সাথে। দক্ষিণের সমগ্রটাই বঙ্গপোসাগর। এই সীমান্তে বাংলাদেশ শেয়ার করছে ভারত ও মিয়ানমারের পানিরাশির সাথে। হিমালয়দুহিতা নেপাল ও ভুটানকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে মুরগীর কণ্ঠের মত ছোট্ট এক টুকরা ভূমি। ভূমিটির নাম শিলিগুড়ি করিডোর। মুরগীর গলার মত বলে এর নাম চিকেন নেক। দৈর্ঘ আনুমানিক ৪০ মাইল এবং প্রস্থ আনুমানিক ১৪ মাইল। এই শিলিগুড়ি করিডোর ভারত, বাংলাদেশ ও চীনের নিকট অসাধারণ গুরুত্ব বহন করে। ভারতের ভৌগোলিক সংহতির সবচেয়ে দুর্বল স্থান হলো এই শিলিগুড়ি করিডোর।

দুই
ভৌগোলিকভাবে ভারতের কাছে বাংলাদেশের যেমন অনেকগুলি মাইনাস পয়েন্ট রয়েছে, তেমনি বাংলাদেশের পক্ষে একটি বড় প্লাস পয়েন্ট হলো এই চিকেন নেক। অনুরূপভাবে চীনের কাছেও ভারতের দুর্বলতম স্থান হলো এই শিলিগুড়ি করিডোর। ভারতের পশ্চিম এবং উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের সাথে পূর্ব এবং উত্তর পূর্বাঞ্চলের একমাত্র সংযোগ পয়েন্ট হলো এই শিলিগুড়ি করিডোর। শিলিগুড়ি করিডোরে যদি অবরোধ আরোপ করা হয় তাহলে ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সাথে অবশিষ্ট ভারত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে। শিলিগুড়ি করিডোর হলো ভারতের এচিলেজ হিল (অপযরষষবং যববষ)।

শিলিগুড়ি করিডোর অবরুদ্ধ হলে ভারতের পশ্চিম ও পূর্বাঞ্চলের মধ্যে সংযোগের একমাত্র পথ হলো বাংলাদেশ। শিলিগুড়ি করিডোরের কি অসাধারণ কৌশলগত এবং সামরিক গুরুত্ব রয়েছে সেটি ভারত হাড়ে হাড়ে টের পায় ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধে। ঐ যুদ্ধে চীন আসামের তেজপুর পর্যন্ত দখল করে এবং হুমকি দেয় যে, উত্তর-পূর্ব ভারতকে অবশিষ্ট ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন করবে। আর এটি করবে নেফাকে (North East frontier Agency) বিচ্ছিন্ন করে। তখন অরুণাচলের নাম ছিল নেফা। আগেই বলেছি যে, চিকেন নেক অবরুদ্ধ হলে বাংলাদেশের ভ‚খন্ড ভারতের দুই অংশের মধ্যে যাতায়াতের করিডোর হিসাবে ব্যবহার করা ছাড়া ভারতের আর কোনো উপায় থাকবে না। ভারতের এই সবচেয়ে বড় দুর্বলতাটি বাংলাদেশের হাতে ছিল। এটি ছিল ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের ট্রাম্প কার্ড। এই কার্ডটি ব্যবহার করে বা এই তাসটি খেলে বাংলাদেশ ভারতের সাথে অনেক দরকষাকষি করতে পারতো। কিন্তু অত্যন্ত তাজ্জবের বিষয় এই যে, বাংলাদেশ কোন রকম দরকষাকষি ছাড়াই ভারতকে মহামূল্যবান ট্রানজিট বা করিডোর দিয়েছে। শুধুমাত্র করিডোর দেওয়া নয়, চট্টগ্রাম ও মংলা পোর্ট বিনা শর্তে ব্যবহার করতে দিয়েছে এবং ঐসব বন্দর থেকে খালস করা মালের ট্রান্সশিপমেন্টের সুবিধাও দিয়েছে। অথচ তার বিনিময়ে আমাদের যে ন্যায্য দাবি ও মৌলিক অধিকার, সেই তিস্তার পানি নিয়ে কোন দরকষাকষি করা হয়নি।

ভারতের আরেকটি রাজ্য হলো সিকিম। এটি পূর্বে ছিল দেশীয় রাজ্য। ১৯৭৫ সালে ভারত এটি দখল করে নেয়। সিকিমের সাথে চীনের তিব্বতের রয়েছে একটি সংযোগ কেন্দ্র। এটির নাম নাথুলা গিরিপথ। এই নাথুলা গিরিপথের সাথে কলকাতা বন্দর একটি পাকা রাস্তা দিয়ে সংযুক্ত। এই পাকা রাস্তা দিয়ে বাংলাদেশ সিকিম হয়ে চীনে প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু ভারত সেই অনুমতি দেয়নি। সিকিমের এই নাথুলা পাস ভারতের অপর একটি দুর্বল অংশ। যেদিক দিয়ে চীন সহজেই সিকিম দখল করে নিতে পারে।

আমরা এই লেখার শুরুতে মার্কিন কুটনীতিকের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছিলাম যে, আমেরিকার কাছে বাংলাদেশের গুরুত্ব তত বেশি নয়। সেটি ছিল সত্তর দশকের কথা। কিন্তু এই একবিংশ শতাব্দীতে পরিস্থিতি অনেক বদলে গেছে। এই শতাব্দীর দ্বিতীয় দশক থেকে বঙ্গপোসাগর নিয়ে তিনটি বৃহৎ শক্তির চলছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা। এই তিনটি বৃহৎ শক্তি হলো চীন, ভারত ও আমেরিকা। আমরা আগেই বলেছি যে, এই সাগরের পানিরাশিতে রয়েছে তিনটি দেশের অংশিদারিত্ব। দেশ তিনটি হলো বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার। বঙ্গপোসাগর নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভারত ও আমেরিকা এক জোট। অন্যদিকে আছে চীন। চীনের সাথে আছে মিয়ানমার। এখানে বাংলাদেশ একটি সুবিধাজনক স্থানে রয়েছে। কারণ, আমেরিকা ও ভারত যেমন বাংলাদেশকে কাছে পেতে চায়, তেমনি চীনও বাংলাদেশকে কাছে পেতে চায়। বাংলাদেশের উচিৎ নিরপেক্ষ থাকা এবং উভয় পক্ষের নিকট থেকেই সুবিধা আদায় করা। বাংলাদেশ এই মুহূর্তে বাহ্যিকভাবে নিরপেক্ষই রয়েছে। তবে যখন তখন ‘ভারতের সাথে রক্তের সম্পর্ক’, এই রকম কথা বলায় আমেরিকার দিকে না হলেও ভারতের দিকে বাংলাদেশ কিছুটা ঝুঁকে আছে বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহল মনে করে।

৯০ দশক থেকেই সোভিয়েট ইউনিয়ন ভেঙ্গে পাওয়ার পর আমেরিকা একমাত্র পরাশক্তি হওয়ায় বৈশ্বিক রাজনীতিতে মেরুকরণ শুরু হয়। একই সময় প্রথমে অর্থনৈতিকভাবে এবং পরে প্রযুক্তিগত ও সামরিকভাবে বৃহৎ শক্তি হিসাবে উত্থান ঘটে চীনের। সোভিয়েট ইউনিয়নের উত্তরাধিকার লাভ করলেও রাশিয়া পরাশক্তির মর্যাদা হারায়। রাশিয়ার স্থান দখল করে চীন। ১৯৬২ সালের চীন ভারত যুদ্ধের পর থেকেই চীন ও ভারতের মধ্যে যে সাপে নেউলে সম্পর্কের সৃষ্টি হয় সেটি আজও অব্যাহত আছে। চীন ভীতির কারণে ভারত আমেরিকার সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে না হলেও অনানুষ্ঠানিকভাবে গাটছড়া বেঁধেছে। এর ফলে ৬০ বা ৭০ দশকের মতো ইন্দো-সোভিয়েট বা ইন্দো-রুশ সম্পর্কের অবনতি না ঘটলেও দুটি দেশের মধ্যে কিছুটা হলেও দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে।
এই মুহূর্তে আমেরিকা ও ভারতকে এক বন্ধনীতে ফেলা যায়। ফর্মুলা মোতাবেক সেভাবে চীন ও রাশিয়া এক বন্ধনীতে আবদ্ধ হয়নি। তবে বিশ্ব রাজনীতির স্বাভাবিক গতিতে সেই সময়টি অনেক দূরে নয় যখন রাশিয়া ও চীনকে অনেক কাছাকাছি আসতে হবে। সেই আসন্ন মেরুকরণে বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়বে অসাধারণ। নিকট ভবিষ্যতে তাই বাংলাদেশকে ভারতের সাথে বিরাজমান বর্তমান ঘনিষ্ঠ সখ্যের পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের মাথায় এই চিন্তাটি থাকতে হবে যে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারতের সাতটি রাজ্যই হলো স্থল বেষ্টিত (Land locked)। সাগরে আসার জন্য এই সাতটি রাজ্যকে সংক্ষিপ্ত রুট হিসাবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে হচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করতে হবে।

বৈশ্বিক রাজনৈতিক রঙ্গমঞ্চ স্থানান্তরিত হয়েছে। প্রথমে সেটা ছিল ইউরোপে। ইউরোপে থাকা অবস্থাতেই সেই মঞ্চের সম্প্রসারণ হয় মধ্যপ্রাচ্যে বা সেন্ট্রাল এশিয়ায়। এখন ইউরোপের রঙ্গালয়টি স্থানান্তরিত হয়েছে এশিয়ায়, বিশেষকরে দক্ষিণ চীন সাগর কেন্দ্রিক এলাকায়। শত্রু মিত্রও বদলে গেছে। আমেরিকা দিব্যদৃষ্টিতে দেখছে যে, স্নায়ু যুদ্ধকালীন সময়ে তার প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী ছিল সোভিয়েট ইউনিয়ন। সোভিয়েট ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর তার উত্তরসূরী রাশিয়া অর্থনৈতিক ও সামরিক উভয় ক্ষেত্রেই হীনবল হয়ে পড়ে। এই মধ্যবর্তী সময়ে অর্থনৈতিক ও সামরিক উভয় ক্ষেত্রে বিপুলভাবে শক্তিশালী হয়েছে চীন। তাই আমেরিকার প্রধান প্রতিদ্ব›দ্বী এখন চীন।

আমেরিকা থেকে চীন অনেক দূরে। এই চীনকে মোকাবেলা ও ঘেরাও করতে হবে সমুদ্র পথে। সি পাওয়ার (ঝবধ ঢ়ড়বিৎ) বা নৌশক্তিতে আমেরিকা অপ্রতিদ্বন্দ্বী। চীন এটা বুঝতে পেরেছে। তাই চীনও নৌশক্তি বৃদ্ধি করছে। ইতোপূর্বে তার কোনো বিমানবাহী জাহাজ ছিল না। এর মধ্যেই দুটো বিমানবাহী জাহাজ সাগরে ভাসানো হয়েছে। আরেকটি দ্রুত নির্মাণের পথে।

স্থলপথে ভারত এবং চীনের মধ্যে রয়েছে সুদীর্ঘ-সুবিস্তৃত সীমান্ত। এবং এই সীমান্ত নিয়ে রয়েছে প্রচন্ড বৈরিতা। নৌপথ নিয়ন্ত্রণ এবং সীমান্ত বিরোধ উভয় ক্ষেত্রেই বাংলাদেশকে পাশে চায় আমেরিকা এবং ভারত। বঙ্গপোসাগর নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ভারত মহাসাগর নিয়ন্ত্রণ করা যায়। আগেই বলেছি, এই উপসাগরে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমারের মালিকানা। মিয়ানমার চীনের সাথে আছে। এখন বাংলাদেশকেও পাশে চায় চীন। আমেরিকা চীন-ভারত বৈরিতার সুযোগ নিয়ে স্থলপথে ভারতকে দিয়ে চীনকে মোকাবেলা করাতে চায়। এজন্য বাংলাদেশকে আমেরিকা ও ভারতের খুব প্রয়োজন। আবার একই কারণে চীনেরও খুব প্রয়োজন বাংলাদেশকে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠতা চীনের অজানা নয়। ভারত কোয়াডের সদস্য। তাই চীন বাংলাদেশকে হুঁশিয়ার করে বলেছে যে, বাংলাদেশ যদি কোয়াডের সদস্য হয় তাহলে চীনের সাথে সম্পর্ক যথেষ্ট খারাপ হবে। বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লী স্থাপনে চীন বিপুল আগ্রহ দেখিয়েছে। এই আগ্রহ ও সম্ভাব্য চীনা সহযোগিতা ভারতের পছন্দ নয়।

এই আলোচনা থেকে এটি স্পষ্ট প্রতীয়মান হয় যে ভৌগোলিক অবস্থান একবিংশ শতাব্দীতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও কৌশলগত গুরুত্ব বিপুল বৃদ্ধি করেছে।
E-mail: [email protected]



 

Show all comments
  • কামরুজ্জামান ১ জুন, ২০২১, ৫:৫২ এএম says : 0
    পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক তৈরীর ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে অনেক কৌশলী হতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • নাজিম উদ্দিন ১ জুন, ২০২১, ৫:৫৩ এএম says : 0
    কূটনৈতিক দূরদর্শিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ চাইলে নিজেদেরকে একটা শক্ত অবস্থানে নিয়ে যেতে পারে
    Total Reply(0) Reply
  • শামীম সারোয়ার ১ জুন, ২০২১, ৫:৫৪ এএম says : 0
    আশা করি বাংলাদেশে এই গুরুত্ব বুঝে বিভিন্ন দেশের সাথে ওদের সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটাবে
    Total Reply(0) Reply
  • নজরুল ইসলাম ১ জুন, ২০২১, ৫:৫৬ এএম says : 0
    আশা করি দেশের নীতিনির্ধারণী মহল এই গুরুত্বপূর্ণ বুজে বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্ক উন্নয়নের কথা চিন্তা করবেন
    Total Reply(0) Reply
  • তানভীর আলম ১ জুন, ২০২১, ৫:৫৬ এএম says : 0
    অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা লেখক ও দৈনিক ইনকিলাবকে মোবারক জানাচ্ছি
    Total Reply(0) Reply
  • কামরুল ইসলাম ১ জুন, ২০২১, ৬:০২ এএম says : 0
    ভারত বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ। বর্তমান সময়ের আলো চীনের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন জরুরি। সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে যেতে হবে
    Total Reply(0) Reply
  • খোরশেদ আলম ১ জুন, ২০২১, ৬:০৪ এএম says : 0
    বাংলাদেশ যদি কোয়াডের সদস্য হয় তাহলে চীনের সাথে সম্পর্ক যথেষ্ট খারাপ হবে। বাংলাদেশে পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লী স্থাপনে চীন বিপুল আগ্রহ দেখিয়েছে। এই আগ্রহ ও সম্ভাব্য চীনা সহযোগিতা ভারতের পছন্দ নয়। বাংলাদেশ পরেছে এখন উভয় সংকটে
    Total Reply(0) Reply
  • H M Al Amin ১ জুন, ২০২১, ৬:৫০ এএম says : 0
    ভারতকে বিনা শুল্কে চট্টগ্রাম স্থল বন্দর ব্যবহার করতে দেওয়া ঠিক হয়নি, শিলিগুড়ি হয়ে চীনের সাথে সড়ক পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা করতে হবে, পক্ষপাতিত্ব করে কোন দেশই লাভবান হতে পারবে না, নিরপেক্ষ থেকে সব দেশকে সমান গুরুত্ব দিয়ে উন্নয়ন করা উচিৎ, এশিয়ার দেশ সমূহের একজোট হওয়া উচিৎ, কেননা অন্যান্য মহাদেশ থেকে এশিয়া অনেক পিছিয়ে আছে।
    Total Reply(0) Reply
  • MD FOKHRUL ISLAM ১ জুন, ২০২১, ৬:৫২ এএম says : 0
    ভারতের সঙ্গে আমাদের রয়েছে বিশাল সীমান্ত। চীনকেও বলা যায় নিকটের প্রতিবেশী। দুই দেশের কোনোটির দিকে না ঝুঁকেই আমাদেরকে তাদের সঙ্গে সমদূরত্বের কূটনীতি চালিয়ে যেতে হবে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এ ছাড়া অন্য কোনো পন্থা নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Faruque Ahmed ১ জুন, ২০২১, ৬:৫৩ এএম says : 0
    কোয়াড একটি আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। যুক্তরাষ্ট্র তার ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির আওতায় এর বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখছে। নৌ মহড়া করছে। ইদানীং ফ্রান্স ও নিউজিল্যান্ডকেও যুক্ত করতে চাইছে তারা। আমাদের উচিত হবে এ ধরনের কোনো সামরিক বা নিরাপত্তাগত ব্লকের সঙ্গে যুক্ত না হওয়া। তবে কোয়াড কী করছে, তা আমাদের পর্যবেক্ষণ করা উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Baadshah Humaun ১ জুন, ২০২১, ৬:৫৩ এএম says : 0
    আমি মনে করি, বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্রবেষ্টিত রাষ্ট্র। বিশেষ করে বঙ্গোপসাগর যে কৌশলগত বা ভূরাজনৈতিক অবস্থানে রয়েছে, সেটা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায়, বাংলাদেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড এবং মার্কিন নেতৃত্বাধীন ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি, কোয়াডের সমুদ্রমুখী সক্রিয়তা, দক্ষিণ চীন সমুদ্রে উত্তরোত্তর উত্তেজনা ও প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি, এমনকি সংঘাতের বাস্তব আশঙ্কার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের মর্যাদা খুবই স্পর্শকাতর এবং গুরুত্বপূর্ণ।
    Total Reply(0) Reply
  • Kamrul Hassan ১ জুন, ২০২১, ৬:৫৪ এএম says : 0
    চীন ও ভারত এই দুই উদীয়মান পরাশক্তির ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ভারত মহাসাগর খুবই গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশকে খুবই সাবধানে পা ফেলতে হবে। আমরা যাতে কোনো দেশ বা ব্লকের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে পড়ি। ভারত মহাসাগর যেন পরাশক্তির দ্বন্দ্বের লীলাক্ষেত্রে পরিণত না হয়। তাই বাংলাদেশকে অবশ্যই মেরিটাইম স্ট্র্যাটেজিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Nazera Zahir Chowdhury ১ জুন, ২০২১, ৬:৫৬ এএম says : 0
    আমেরিকা চেয়েছিল ভারতের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ার রাষ্ট্রগুলি কে নিয়ন্ত্রণ করতে কিন্তু এখানেও আমেরিকা ও ভারত ব্যর্থ, এই দুই পক্ষের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ।ভারত আমাদের কাছের প্রতিবেশী রাষ্ট্র হলেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে তেমন কোন অবদান রাখতে পারে নাই যে অবদান রাখতে পারছে চায়না, বর্তমানে বাংলাদেশের ভূ রাজনীতির যে অবস্থা বাংলাদেশের ইচ্ছা করলেই চায়নাকে বাদ দিয়ে দিল্লি দরবারে হাজির হতে পারবে না,অতি সম্প্রতি আমরা দেখেছি তিস্তা নদী নিয়ে চায়না বাংলাদেশের চুক্তির কথা চলা অবস্থায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশের ঝটিকা সফরে এসেও বাংলাদেশের কাছ থেকে তেমন কোনো সদুত্তর পায়নি বলে আমরা মনে করি। আবার বঙ্গোপসাগরে রয়েছে বিশাল অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এবং সামরিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এক পজিশন, চায়না যদি ভারতের সাথে কোন যুদ্ধে বঙ্গোপসাগরের যুদ্ধজাহাজ বা সাবমেরিন মোতায়েন করতে পারে তাহলে ভারতের জন্য দুঃস্বপ্নের কারণ হয়ে যাবে, কিংবা আমেরিকা যদি চায়নার সাথে কোন যুদ্ধে জড়িয়ে যাই তাহলে বঙ্গোপসাগর থেকে চায়না সাউদার্ন রিজনে এখান থেকে আক্রমণ করতে পারবে অথবা ভারত যদি নিঃশর্তভাবে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করতে পারে তাহলে তাদের সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলির বিচ্ছিন্ন কামিদের সহজে দমন করতে পারবে। তাই ভারত চাইবে যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশের ভূমিকে নিজেদের করাতো রাখতে। এই মুহূর্তে রাশিয়ার জন্যও বাংলাদেশ আরো গুরুত্বপূর্ণ কারণ ঢাকার ওপর যদি রাশিয়ার প্রভাব থাকে তাহলে মস্কো ভারত-পাকিস্তান চায়নার উপর কিছু না কিছু প্রভাব রাখতে পারবে। আমরা জানি আমেরিকার অর্থনৈতিক অবকাঠামো শক্ত অবস্থানে থাকে অস্ত্র ব্যবসার উপর নির্ভর করে তাই বাংলাদেশকে চীনের প্রভাব থেকে মুক্ত করার জন্য আমেরিকা বাংলাদেশকে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্যাটিস্টিক বিবেচনা করে রেখেছে গত 14 থেকে 16 অক্টোবর ঢাকা সফরে আসেন মার্কিন উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন বিগান তিনি এ অঞ্চলের ভূ-রাজনীতি কৌশল বিশ্লেষণ করে বর্তমানে বাংলাদেশের উপরে তাদের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারই প্রেক্ষিতে তিনিঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ ও ইউএসএ সরাসরি বিমান চালানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে অতিসম্প্রতি।
    Total Reply(0) Reply
  • নূরুল ইসলাম ২৭ নভেম্বর, ২০২১, ১২:৪১ এএম says : 0
    চীন ও ভারত এই দুই উদীয়মান পরাশক্তির ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ভারত মহাসাগর খুবই গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে। সে কারণে বাংলাদেশকে খুবই সাবধানে পা ফেলতে হবে। আমরা যাতে কোনো দেশ বা ব্লকের সঙ্গে যুক্ত না হয়ে পড়ি। ভারত মহাসাগর যেন পরাশক্তির দ্বন্দ্বের লীলাক্ষেত্রে পরিণত না হয়। তাই বাংলাদেশকে অবশ্যই মেরিটাইম স্ট্র্যাটেজিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাংলাদেশ


আরও
আরও পড়ুন