মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
চীন একটি অপ্রতিরোধ্য শক্তি হিসাবে বেড়ে উঠছে এবং আফগানিস্তানের বিষয়ে তার কৌশলগত অবস্থান প্রকাশ করেছে। গত ১৭ মে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি আফগান প্রতিরক্ষা উপদেষ্টার সাথে বৈঠকে তাকে আশ্বাস দিয়েছেন যে, আফগানিস্তানে একটি বিস্তৃত ও অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক সমাধান খোঁজার লক্ষ্যে চীন ‘আফগান নেতৃত্বাধীন, আফগান-নিয়ন্ত্রণাধীন নীতি’ সমর্থন করছে। ইয়ি এও আশা প্রকাশ করেছেন যে, ভবিষ্যতের আফগান সরকারগুলো সহনীয় মাত্রার ইসলাম অনুসরণ করবে, যা নিশ্চিতভাবে তালেবান ধাঁচের বিপরীত।
তবে, এর মধ্যেই আফগানিস্তানের পরাক্রমশালী প্রতিবেশী চীনের অর্থনৈতিক সমর্থন এবং রাজনৈতিক স্বীকৃতি নিয়ে উদ্বিগ্ন তালেবান প্রতিনিধিরা আফগানিস্তানের শহরগুলোর মধ্যে মোটরওয়ে নির্মাণের চীনা পরিকল্পনার অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া, তারা বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ তামার খনি তৈরির জন্য কাবুলের নিকটে চীনা অর্থায়নে পরিচালিত একটি প্রকল্পকে সমর্থনের দাবি করেছে। প্রকল্পের স্থানে থাকা প্রাচীন বৌদ্ধ ধ্বংসাবশেষ নিয়ে উদ্বেগ এবং জঙ্গি হামলার আশঙ্কা থাকায় প্রকল্পটি বছরের পর বছর ধরে স্থগিত ছিল। চীনা বিশেষজ্ঞগণ এবং দেশটির সরকারি গণমাধ্যম বহু বছর ধরে মার্কিন বাহিনীকে আল-কায়েদা নির্মূল করার মূল লক্ষ্য থেকে দূরে সরে যাওয়ার এবং আফগানিস্তানে পাশ্চাত্য ধাঁচের জাতি গঠনের উদ্দেশ্যে তাদের মধ্যে অশান্তি ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ করে আসছে।
সম্প্রতি কাবুলের স্কুলছাত্রীদের হত্যার জন্য চীনের মুখপাত্র হুয়া চুনইং আমেরিকাকে দায়ী করেন। তিনি অভিযোগ করেন যে, আমেরিকা আফগানিস্তান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করার আকস্মিক ঘোষণার ফলে সারা দেশে একাধিক বিস্ফোরক হামলার ঘটনা ঘটেছে। তিনি বিদেশী সৈন্যদের একটি দায়িত্বশীল উপায়ে বেরিয়ে আসা এবং আফগান জনগণের উপর আরো বেশি অশান্তি ও দুর্ভোগ পোহাতে না দেয়ার আহ্বান জানান।
যদিও কয়েক বছর আগে চীন ও আমেরিকা যৌথভাবে আফগান কূটনীতিক এবং পুলিশ বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল, তবে বর্তমানে চীন তার বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্ব আরোপ করেছে। চীনের অবকাঠামো-নির্মাণ প্রকল্পটি পাকিস্তানের মাধ্যমে আফগানিস্তানকে সমুদ্র সাথে সংযুক্ত করে দিয়ে দেশটিতে উন্নয়ন এবং স্থিতিশীলতা এনে দিতে পারে। চীন আফগানিস্তান যদি গৃহযুদ্ধের দারপ্রান্তে উপস্থিত হয়, তাহলে চীন দেশটিতে আঞ্চলিক বা জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোকে সমর্থন করতে পারে। এভাবেই চীন দেশটি থেকে ধীরে ধীরে আমেরিকার প্রভাব কমিয়ে একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক বলয় তৈরির পথ প্রশস্ত করছে। সূত্র : দ্য ইকোনোমিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।