মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ব্রেক্সিট চুক্তি অনুসারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) নাগরিকরা ভ্রমণের উদ্দেশ্যে ৯০ দিনের জন্য কোনো প্রকার ভিসা ছাড়াই ইউনাইটেড কিংডময়ে (ইউকে) প্রবেশ করতে পারবে। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম কয়েকমাসে তিন হাজার ২৯৪ জন ইইউ নাগরিককে ইউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। যা গতবছরের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি। ব্রিটিশ হোম অফিস এর কারণ হিসেবে করোনা মহামারির কথা উল্লেখ করেছেন। যাদের ইউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি তাদের মধ্যে ৭৩৮ জন ইইউ নাগরিককে বর্ডার থেকেই ফিরিয়ে দেয়া হয়েছে। বাকিদেরকে বহিষ্কারের আগে ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হয়। আর কাউকে সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হওয়ায় এয়ারপোর্টে দীর্ঘক্ষণ আটকে থাকতে হয়। এমনকি অনেককে এয়ারপোর্টেই রাত কাটাতে হয়। ইউকে বর্ডার সার্ভিস বলছে, ইইউ নাগরিকরা ব্রেক্সিট পরবর্তী ইউকেতে ভ্রমণের জন্য সঠিক নিয়ম না জানায় এই সমস্যার হয়েছে। তবে হোম অফিস তাদের বর্ডার ফোর্সকে নির্দেশ দিয়েছে, যারা ব্রেক্সিট পরবর্তী নিয়ম না মেনেই ইংল্যান্ডে প্রবেশ করেছে তাদেরকে যেন ডিটেনশন সেন্টারে আটক না রেখে জামিন দেয়া হয়। ফ্রান্সের নাগরিক ডি’এলবার্টি স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য ইংল্যান্ডে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাকে ইউকেতে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়নি। ইউকে সীমান্তে তার সাথে খারাপ আচরণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাকে সাত ঘণ্টা পোর্টে আটক রাখা হয়। তারা আমাকে বলেছে আমি যে ব্যাংক স্টেটমেন্ট দেখিয়েছি তা সন্তোষজনক নয়। আমার ফান্ডে (চার হাজার ৫০০ ইউরো) পর্যাপ্ত টাকা নেই যা দিয়ে চলতে পারবো। আমি হয়তো সেখানে গেলে বেনিফিট ক্লেইম অথবা কাজ করবো। তিনি বলেন, আমার সাথে যে আচরণ করা হয়েছে তাতে আমি অসন্তুষ্ট এবং বিরক্ত হয়েছি। আমি আমার জীবনে এত অপমানিত হইনি। আমি আর কখনো ইউকে যাব না। আমার ডায়রি থেকে ইউকে দেশটি ডিলেট করে দিয়েছি। আমার শব্দভাÐারে এই দেশটি আর নেই। এমন অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন ডেনমার্কের নাগরিক পেস্ট্রি শেফ ‘শোলে’ । তিনিও তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে দেখা করতে ইংল্যান্ডে যেতে চেয়েছিলেন। তাহাকেও হিথ্রো এয়ারপোর্টে ৫ ঘন্টা আটক রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার ব্যাগ এমনভাবে তল্লাশি করা হয় যেন তিনি একজন ক্রিমিনাল। সারারাত তিনি এয়ারপোর্ট কান্না করে কাটিয়েছেন এবং নিজে নিজেকে প্রশ্ন করেছেন কেনো আমি ইংল্যান্ডে আসতে গেলাম? অভিবাসন নিয়ম অনুসারে ইইউ নাগরিক ইউকে ভ্রমনের আগে আবেদনকারীকে অবশ্যই নিশ্চিত করা উচিত যে তিনি এই সফরের পরে ইউকে ত্যাগ করবেন। এবং তার ভ্রমনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত এবং সেখানে থাকা অবস্থায় কোনো প্রকার অপরাধম‚লক কাজে জড়িত হবেন না বলে নিশ্চয়তা প্রধান করতে হয়। আবেদনকারীকে সেখানে থাকা অবস্তায় যাবতীয় খরচের তহবিলের সাথে সম্ভাব্য জরুরি চিকিৎসার পর্যাপ্ত তহবিলও থাকতে হয়। শেনঝেনভিসা ইনফো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।