Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় প্রাণ গেল দুইজনের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ মে, ২০২১, ১২:০০ এএম

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে সবুজবাগ থানার বাসাবো মায়াকানন এলাকায় মায়ের সঙ্গে অভিমান করে চাঁদনী আক্তার নামের এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। সে কমলাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টার দিকে খবর পেয়ে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। পরে সুরতহাল শেষে বিকেল সাড়ে ৪টায় ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

নিহতের চাচা নিহাদ জানান, চাঁদনীর বাবা আড়াই বছর আগে তার মাকে ছেড়ে চলে যান যায়। নিহতের মা ময়না আক্তার অনেক কষ্ট করে বাসা বাড়িতে কাজ করে মেয়েদের নিয়ে সংসার চালান। তিনি বলেন, গতকাল মায়ের কাছে ভালো ভালো খাবার চায় চাঁদনী এবং ভালো পোশাক পরতে চায়। কোথা থেকে দেবে তার মা। এসব নিয়ে তার মা বলে তোর বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেছে, আমিও তোর বাবার মতো চলে যাব। পরে সে ব্যাগটা গুছিয়ে ছোট মেয়েটিকে নিয়ে চলে যেতে চায়। এই কথা নিয়ে মায়ের সঙ্গে অভিমান করে সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। নিহতের চাচা আরও জানান, চাঁদনী সবুজবাগের ১৭নং মায়াকানন এলাকায় টিনশেড বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকত। তিন বোনের মধ্যে সে ছিল সবার বড়। তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলায়।

সবুজবাগ থানার এসআই প্রিয়তোষ চন্দ্র দত্ত বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। প্রাথমিকভাবে প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মায়ের সঙ্গে অভিমান করে রুমের দরজা বন্ধ করে চাঁদনী নামের ওই মেয়েটি গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।

এছাড়াও ফকিরাপুলের গরমপানি গলিতে প্রেসের মালিক মো. রশীদ খলিফার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, এটি আত্মহত্যা। গতকাল দুপুরে মতিঝিলের ফকিরাপুল গরমপানি গলির একটি বাসার তৃতীয় তলা থেকে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সন্ধ্যা ৬টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আনা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রশীদ খলিফার মামা মো. রোকন বেপারি জানান, তিনি একটা প্রেসের মালিক ছিলেন। যেহেতু নিজের প্রেস সেহেতু দেরি করে অফিসে যেতেন। গতকাল প্রেসে না যাওয়ায় অফিসের কর্মচারীরা তার খোঁজে বাসায় আসেন। বাসায় এসে তাকে জানালার গ্রিলের সঙ্গে গামছা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হয়। পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যায়। চিকিৎসকরা জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। তিনি আরও জানান, তার বাড়ী শরীয়তপুর জেলার পালং থানার গয়ঘর খলিফাকান্দি গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত বারেক খলিফা। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সবার বড়।

মতিঝিল থানার এসআই কৃষ্ণদাস বৈরাগী বলেন, দুপুর আড়াইটায় খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি, তিনি মানসিক রোগী ছিলেন। চিকিৎসাও চলছিল। তিনি একজন প্রেসের মালিক। তবে কী কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলেন- সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাজধানী

১৩ ডিসেম্বর, ২০২২
১৭ নভেম্বর, ২০২২
১১ অক্টোবর, ২০২২
২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ