পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘ দিন পর বিমানের গর্জন শোনা গেল আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে। গতকাল তালেবানের সামরিক বিমানগুলো উড়ে বেড়ালো খুব নিচু দিয়ে। এর মাধ্যমে তালেবান শাসিত দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এদিন সম্প্রতি মেরামত করা হার্ডওয়্যার পরীক্ষা করেছে। এসব হার্ডওয়্যারের বেশিরভাগই এক বছর আগে তালেবান ক্ষমতা দখল করার পর বিদেশীরা রেখে গেছে।
একটি হেলিকপ্টার এবং কমপক্ষে একটি বিমানসহ বিমান বহর বিমানবন্দরের কাছে কাবুলের আকাশে উড্ডয়ন করে যার মধ্যে অন্তত একটি রাশিয়ান তৈরি এমআই-২৪ অ্যাটাক হেলিকপ্টার এবং দুটি আমেরিকান তৈরি বিমান ছিল।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইনায়াতুল্লাহ খোভারজমি রয়টার্সকে বলেছেন, তালেবানরা সম্প্রতি কিছু হেলিকপ্টার মেরামত করেছে এবং পরীক্ষামূলকভাবে উড্ডয়ন পরিচালনা করছে। তিনি সঠিক উৎপাদন বা প্রস্তুতকারক দেশের নাম নিশ্চিত করেননি, শুধু বলেছেন যে, ‘সব ধরনের বিমান’ পরীক্ষা করা হচ্ছে। হেলিকপ্টার মেরামতের প্রযুক্তিগত দক্ষতা কে দিয়েছে তা স্পষ্ট নয়।
তালেবান কর্মকর্তারা বলেছেন যে, আফগান ন্যাশনাল আর্মির প্রাক্তন পাইলট, মেকানিক এবং অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের তাদের নিরাপত্তা বাহিনীতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে আরো বলেছে যে, তার ইঞ্জিনিয়ারিং দল সম্প্রতি ৩৫টি ট্যাঙ্ক, ১৫টি হুমভি সাঁজোয়া যান এবং ২০টি মার্কিন তৈরি নাভিস্টার ৭০০০ সামরিক যান মেরামত করেছে। ২০২১ সালের আগস্টে তালেবানরা দেশটি দখল করার পর সব ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। সোমবার সমাবেশ এবং শূন্যে গুলি ছুঁড়ে তালেবানরা দেশটির শাসনভার গ্রহণের বার্ষিকী পালন করেছে।
মার্কিন সেনারা একটি বিশৃঙ্খল অভিযানের পর কাবুলের বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের আগে ৭০টিরও বেশি বিমান এবং কয়েক ডজন সাঁজোয়া যান এবং বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে যায়।
আফগানিস্তান পুনর্গঠনের জন্য বিশেষ মহাপরিদর্শকের মতে, ২০১৭ থেকে ২০০২ সালের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আফগান সরকারকে অস্ত্র, গোলাবারুদ, যানবাহন, নাইট-ভিশন ডিভাইস, বিমান এবং নজরদারিসহ ২৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের প্রতিরক্ষা সামগ্রী এবং সার্ভিলেন্স সিস্টেম হস্তান্তর করেছে।
কিছু বিমান এক বছর আগে আফগান সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর প্রতিবেশী মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে উড়ে গিয়েছিল, তবে তালেবানরা অবশিষ্ট বিমানগুলো উত্তরাধিকার সূত্রে পেয়েছিল যার কতগুলো সচল আছে তা স্পষ্ট নয়। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।