বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোর মাদক নিরাময় ও পূনর্বাসন কেন্দ্রে চাঞ্চর্যকর মাহাফুজুর হত্যাটি যে পরিকল্পিত তা কেন্দ্রেরই ৩জনের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছে। তাকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। অপরাধ ছিল উচ্ছৃঙ্খলতা।
আটক ১৪জনের মধ্যে ৩জন স্বীকারোক্তি দেওয়ায় তাদের আর জিজ্ঞাসাবাদের দরকার নেই। বাকি ১১জনের রিমান্প আবেদনের শুনানি হবে ২৭মে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের ইন্সপেক্টর মোঃ রোকিবুজ্জামানএ ফশফন দৈনিক ইনকিলাবকে সয়মড়ঠযভা জানান, হত্যাকান্ডের ব্যাপারে পরিস্কার এটা ধারণা পাওয়া গেছে।
মামলায় তিন আসামি আদালতে ন্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি ব্যক্তিরা হলেন, চৌগাছা উপজেলার বিশ্বাসপাড়া গ্রামের মশিয়ার রহমানের ছেলে রিয়াদ, মনিহার নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার আব্দুর রশিদ মিয়াজীর ছেলে রেজাউল করিম রানা ও ঝিনাইদহ জেলার কোটচাদপুর উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের সাবদার রহমানের ছেলে শাহিনুর রহমান। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন, মাহাদী হাসান ও মামুনুর রহমান পৃথক তিন আদালতে এ তিন আসামির জবানবন্দি গ্রহণ শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্র ও পুলিশ জানায়, জবানবন্দিতে ওই তিন আসামি মাহাফুজুকে মারপিট করে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তারা জানিয়েছেন, নিহত মাহফুজুর বিভিন্ন সময়ে উচ্ছৃঙ্খলা করতেন। ঘটনার দিন ২২ মে সকালে তেমনটি শুরু করেন। পরে তারা একত্রিত হয়ে বেধড়ক মারপিট করে। একপর্যায় মাহাফুজ অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। পরে তার গায়ে মুখে পানি ঢালা হয়। এরপর তাকে তার বেডে রেখে আসে। পরে অসুস্থ্য হয়ে পড়লে হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে হত্যাকান্ডের ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানের পরিচালকসহ ১৪ জনের নামে ২৩ মে রোববার মামলা করেছেন নিহতের পিতা মনিরুজ্জামান। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৪ জনকেই আটক করে। একই সাথে সিসি ফুটেজে মারামারি চিত্র উঠে আসে। অন্য আসামিরা হলেন, প্রতিষ্ঠানের দুই পরিচালক বারান্দী মোল্লাপাড়া এলাকার আবুল হাসেমের ছেলে মাসুদ করিম ও বারান্দীপাড়া বটতলা এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে আশরাফুল কবির, একই গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে আরিফুজ্জামান, শহরের কাজীপাড়া মসজিদের পাশের বাসিন্দা কামরুজ্জামানের ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান, আরবপুর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে অহিদুল ইসলাম, হুসতলা বকচর এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে আল শাহরিয়ার রোকন, বেনাপোল পোর্ট থানার শাখারীপোতা গ্রামের মুকুল হোসেনের ছেলে ইসমাইল হোসেন, অভয়নগর উপজেলার বুইকারা গ্রামের আসর আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম, বেজপাড়া টিবি ক্লিনিক এলাকার এসএম জি মুক্তাদির ছেলে এসএস সাগর আজিজ, শেখহাটি হাইকোর্ট মোড় এলাকার মৃত ফজর আলীর ছেলে নুর ইসলাম, সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার বামখালী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ওয়াহিদুজ্জামান ওরফে সাগর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।