পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামীকাল সোমবার থেকে সারা দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলসহ বিভিন্ন ট্যাক্স ও চার্জ মওকুফের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থা। বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেছেন, যারা কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে ভাবছেন, তারা যদি ভালো মনে করেন এখন লঞ্চ চলাচলের সময় এসেছে অবশ্যই তারা ভেবেচিন্তে সে সিদ্ধান্ত দেবেন। গতকাল শনিবার রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনাল ভবনের নিচতলায় সংস্থার নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. বদিউজ্জামান বাদল বলেন, গত মার্চ মাস থেকে ২য় বারের মতো কোভিড-১৯ আমাদের দেশে হানা দেয়। সরকার পণ্যবাহী গাড়ি ও নৌযান ছাড়া গণপরিবহনসহ সব কিছু লকডাউনের আওতায় নিয়ে আসে। আমরা তা মেনে নিয়েছি। ফলে নৌ খাত এক ক্রান্তিকালের শরণাপন্ন ও একেবারে ধ্বংসের সম্মুখীন হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখলাম সরকার গার্মেন্টস, দোকানপাট, শপিংমল, হোটেল-রেস্তোরাঁ খুলে দিয়েছে। পাশাপাশি সব মহানগরী ও জেলা শহরগুলোতে গণপরিবহনসহ প্লেন চলার অনুমতি দেওয়া হয়। শুধু অবহেলিত লঞ্চ খাত। এই বৈষম্য কেন?
তিনি বলেন, আমরা সরকারকে অগ্রিম আয়কর, বিআইডব্লিউটিএকে অগ্রিম কঞ্জারভেন্স, ডিজি শিপিংকে অগ্রিম সার্ভে ও রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়ে যাচ্ছি। লঞ্চ চলুক আর না চলুক তাতে সরকার এক টাকাও মাফ করে না। আমরা বিভিন্নভাবে বলেছি যে অন্তত মাওয়া ও আরিচা যেহেতু পারাপার সার্ভিস সেহেতু ফেরিতে গাদাগাদি যাতে না হয়, সে জন্য লঞ্চগুলো চলাচলের ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু সরকার তা আমলে নেয়নি।
ভাইস প্রেসিডেন্ট বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সাধারণ মানুষের যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম হচ্ছে নৌপথ। সরকারের নিষেধাজ্ঞা থাকা শর্তেও মানুষ নাড়ির টানে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি যাওয়া বন্ধ করেনি। ঈদের সময় ঢাকা থেকে ২২০টি লঞ্চ দিয়ে আমরা যেখানে হিমশিম খাচ্ছি, সেখানে মাত্র গুটি কয়েক ফেরি দিয়ে লাখ লাখ যাত্রী পারাপার করা কোনো মতে সম্ভব নয়। ফলে আমরা দেখতে পরেছি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রশি বেয়ে গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে মানুষ। ১০০ টাকার ভাড়া এক হাজার টাকা দিতে হয়েছে। ৬ জন যাত্রীর অকাল মৃত্যুও হয়েছে। সবচাইতে বড় কথা হলো যে স্বাস্থ্যবিধির কারণে ‘লকডাউন’ দেওয়া হয়েছে কোথাও সেই স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা করা যাচ্ছে না। তবে কেন লঞ্চ বন্ধ রাখা হয়েছে।
আগামী ২৪ তারিখ থেকে যদি সরকার লঞ্চ চলাচলের অনুমতি না দেয়, তাহলে কি করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে কিছু করতে চাই না। ২৪ তারিখের পরে অবশ্যই আমাদের কর্মসূচি থাকবে। সেটা হলো সরকারের সঙ্গে দেন-দরবার। আর তা করেই আমরা আমাদের অধিকার আদায় করতে চাই। আমরা কোনো আন্দোলনে যেতে চাই না।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আগামী ২৪ তারিখ থেকে সারা দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগের মতো লঞ্চ চলাচলের অনুমতি দেওয়া। শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন বোনাস দেওয়ার জন্য সংস্থার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর মূখ্যসচিব, নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান বরাবর প্রণোদনার জন্য আবেদন করা হয়েছে- তা অনতিবিলম্বে মালিকদের মধ্যে বণ্টন করতে হবে।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেছেন, যারা কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিয়ে ভাবছেন তারা যদি ভালো মনে করেন এখন লঞ্চ চলাচলের সময় এসেছে অবশ্যই তারা ভেবে চিন্তে সে সিদ্ধান্ত দেবেন। গতকাল শনিবার রাজধানীর সদরঘাট বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনাল ভবনের ৩য় তলায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদের লঞ্চগুলো গণপরিবহন হিসেবে চিহ্নিত। সরকার যখন বুঝবেন এখন আমাদের গণপরিবহন চালুর সময় এসেছে এবং যখন নির্দেশনা দেবেন, আমরা তখন তাদের সহযোগিতা করব। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থা ২৪ তারিখ থেকে লঞ্চ চলাচলের সুযোগ দেওয়ার দাবি জানিয়েছে এ বিষয়টি আপনি কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণপরিবহন চলাচল বিষয়ের সঙ্গে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় বা বিআইডব্লিউটিএর কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সরকার যে কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে সিদ্ধান্ত ও বিধিনিষেধ দিচ্ছে তার একটি শর্ত হচ্ছে গণপরিবহন বন্ধ রাখা। আপনারা দেখেছেন প্রতিবেশী দেশের থেকে অনেক বেশি কোভিড সংক্রমণ রোধ করতে পেরেছি।
আমি মনে করি সরকার যেভাবে চিন্তা করছেন সেভাবে সবাইকে সহযোগিতা করা দরকার। সেক্ষেত্রে আমাদের লঞ্চগুলো গণপরিবহন হিসেবে চিহ্নিত। সরকার যখন বুঝবেন এখন আমাদের গণপরিবহন চালুর সময় এসেছে এবং যখন নির্দেশনা দেবেন আমরা তখন তাদের সহযোগিতা করব। এর আগে সকালে ২৪ মে থেকে সারা দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে লঞ্চ চলাচলসহ বিভিন্ন ট্যাক্স ও চার্জ মওকুফের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।