Inqilab Logo

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিআইডব্লিউটিএ-তে নারী লাঞ্ছনা

সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০০ এএম

নিজ দপ্তরে দুই ঠিকাদারকে দিয়ে নারী সহকর্মীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) যান্ত্রিক ও নৌ প্রকৌশল (এমএমই) বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী নেছার উদ্দীন খানের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানিয়েছেন সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারিরা।

পাশাপাশি কর্মস্থলে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি করেছেন তাঁরা। গতকাল রোববার নেছার উদ্দীন খান ও তার সহযোগী এক প্রকৌশলীর দীর্ঘদিনের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তের জন্য উচ্চপর্যায়ের কমিটি গঠনের দাবি জানানো হয়েছে।

মামলার এবং অভিযোগের অনুলিপি নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এবং নৌ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, নৌসচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ও বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কাছে জমা দেয়া হয়েছে। সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের পক্ষে রাজধানীর লালমাটিয়া জসিম উদ্দীন পাটোয়ারী স্বাক্ষর করেন।নেছার উদ্দীনের নামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গত ১৭ অক্টোবর বিকালে বিআইডব্লিউটিএর অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী নেছার উদ্দীন খানের কক্ষে তাঁর উপস্থিতিতে দু’জন ঠিকাদারের হাতে একই বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জরিনা খানম লাঞ্ছিত হন।

ঘটনার পরপরই সব বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর এম মাহবুব উল ইসলাম। অনাকাঙ্খিত ঘটনার পেছনে নেছার উদ্দীন খানের প্রত্যক্ষ প্ররোচনার অভিযোগ ওঠায় তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত এবং ঘটনার প্রকৃত তথ্য উদঘাটনের জন্য সংস্থার পরিচালক (নিরীক্ষা) সিদ্দীকুর রহমানের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এছাড়া নারী প্রকৌশলীকে মারধর ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে সংস্থার পক্ষে উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. সিরাজুল ইসলাম ভুঁইয়া ওইদিন সন্ধ্যায় দুই ঠিকাদারকে আসামী করে মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তার এক আসামী এখন জেলহাজতে আছেন, অন্যজন এখনও পলাতক।

নৌ প্রতিমন্ত্রীকে দেয়া অভিযোগে বলা হয়, নেছার উদ্দীন খান বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বিআইডব্লিউটিএ ইউনিটের সিনিয়র সহসভাপতি ও বিআইডব্লিউটিএ অফিসার্স এসোসিয়েশনের সহসভাপতির দাপট খাটিয়ে এমএমই বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী হাসান মাহমুদ তারেককে ডিঙিয়ে এককভাবে সকল কর্তৃত্ব করে আসছেন। বিআইডব্লিউটিএর দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানে তাঁর বিনিয়োগ রয়েছে। যে কারণে এমএমই বিভাগের সিংহভাগ প্রকল্পের কাজ দীর্ঘদিন ধরে ওই দুটি প্রতিষ্ঠান পেয়ে আসছে। প্রকৌশলী নেছার উদ্দীন গত ১০ বছর সীমাহীন অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। এই বিভাগে তাঁর ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. রবিউল ইসলাম।

পন্টুন তৈরি ও রিপিয়ার, জলযান রিপিয়ার ও জলযানের জন্য বার্ষিক বরাদ্দ জ্বালানি খরচের টাকা আত্মসাত ছাড়াও এমএমই বিভাগের বিভিন্ন নৌযানের শ্রমিক-কর্মচারিদের বদলি এবং সুবিধাজনক স্থানে পদায়নের জন্য জনপ্রতি মোটা অংকের টাকা নিতেন তিনি। বিভিন্ন প্রকল্পের পিডি নিযুক্ত করার ক্ষেত্রে তিনি সব সময়ে রবিউল ইসলামের পক্ষে সুপারিশ করতেন। রবিউল ইসলাম বর্তমানে ড্রেজিং বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্বরত।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বিআইডব্লিউটিএ

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ