গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
পরিবার, আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঈদের দিনও গ্রামে ছুটছে মানুষ। তবে সব শ্রেণির যাত্রীকেই গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। সেই সঙ্গে মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি।
শুক্রবার (১৪ মে) সকালে রাজধানীর গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা যায়, অনেকেই টার্মিনালে আসছেন। এখান থেকে কেউ পাটুরিয়া ফেরিঘাট, কেউ টাঙ্গাইলের পাকুটিয়া, নাগপুর পর্যন্ত বাসে যেতে পারছেন। একইভাবে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালেও ঘরমুখো মানুষ দেখা গেছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঈদের দিনেও পিকাপে করে মানুষজনকে গ্রামের দিকে যেতে দেখা গেছে।
সরেজমিন দেখা যায়, স্বাস্থ্যবিধি না মেনে গাবতলী বাস টার্মিনাল থেকে দুই সিটে যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে বসুমতি পরিবহন। ভাড়াও নিচ্ছে দ্বিগুণ। ২০০ টাকা করে জনপ্রতি নিচ্ছে তারা। গাবতলী থেকে পাটুটিয়া ফেরিঘাটে প্রাইভেটকার জনপ্রতি নিচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে। গাবতলী বাস টার্মনাল থেকে টাঙ্গাইলের পাকুটিয়া, নাগপুরের উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যাচ্ছে এসবি লিংক পরিবহন। তারা জনপ্রতি ভাড়া নিচ্ছে ২০০ টাকা।
যাত্রীরা বলছেন, স্বাভাবিক সময়ে পাকুটিয়া পর্যন্ত ১২০ থেকে ১৫০ টাকা করে ভাড়া নেয় এসবি লিংক। আজ তারা ২০০ টাকা করে নিচ্ছে।
গাবতলী থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে প্রাইভেটকার ও হায়েস গাড়িও ছেড়ে যাচ্ছে। এখান থেকে সিরাজগঞ্জ পর্যন্ত ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা করে ভাড়া নিচ্ছে হায়েস। বনপাড়া পর্যন্ত নিচ্ছে ১২০০ টাকা করে। এছাড়া রংপুর, রাজশাহী, কুষ্টিয়া, বগুড়াসহ দেশের উত্তরবঙ্গ, দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে প্রাইভেটকার ও হায়েস গাড়ি যাত্রী নিয়ে ছুটছে।
একইভাবে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা থেকে প্রাইভেটকারের করে মানুষ কুমিল্লা, ফেনী, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদীর দিকে যেতে দেখা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।