বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাড়ী যাওয়ার জন্য সব বাধা অতিক্রম করছে সাধারণ মানুষ। কোনো ধরণের ঝড়-বৃষ্টি কিংবা করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ কিছুই মানছেন না। দুরপাল্লার গণ-পরিবহণ বন্ধ থাকলেও বিকল্প পথে বাড়তি টাকা খরচ করে তারা বাড়ী যাচ্ছেন স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে।
করোনা সংক্রমণরোধে ঈদের ছুটিতে সরকারের পক্ষ থেকে মানুষকে ঢাকা ছাড়তে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। তবে কোনও বাধা কিংবা বিধিনিষেধই মানছে না ঘরমুখো মানুষ। যে যেভাবে পারছে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে। ফেরিঘাটে হাজারও মানুষের ঢল ঠেকাতে বিজিবি পর্যন্ত মোতায়েন করা হয়েছে। তবে যাত্রীদের ঢল সামলাতে বাহিনীটিকেও হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিজিবির বাধা সত্ত্বেও জোর করে যাত্রীদের ফেরিতে উঠতে দেখা গেছে।
মঙ্গলবার (১১ মে) মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ফেরিঘাটে ঈদে বাড়ি ফেরা মানুষদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
আন্তঃজেলার বাস বন্ধ, ফেরি বন্ধ, কিন্তু তারপরও ঈদে ঘরে ফেরা মানুষকে রোখা যাচ্ছে না। কোনও বাধাই কাজে আসছে না মানুষের কাছে। সরকারের সব নির্দেশনা অমান্য করে মানুষ ঢাকা ছাড়ছে। এদিকে যখনই যাত্রীবাহী অ্যাম্বুলেন্স বা লাশবাহী গাড়ি ঘাটে ভিড়ছে তখনই মানুষ আনন্দে চিৎকার দিয়ে উঠছে। ঘাটে আসা ফেরিতে করেই তারা পার হতে পারবেন এই ভেবে।
এদিকে সড়কপথের যাত্রীরাও কম যান না। ভেঙে ভেঙে বাড়ি ফিরছেন। খানিক পথ সিএনজি, খানিকটা মাইক্রোবাস আরো কত উপায় যে বের করছেন তারা। যত যাই হোক বাড়ি ফিরতেই হবে, অবস্থা এখন এমনই দাঁড়িয়েছে।
ঈদকে সামনে রেখে প্রতিবার গাবতলী বাস টার্মিনালে ঘরে ফেরা মানুষের ঢল লক্ষ্য করা যেতো। কিন্তু এবার নেই সেই চিত্র। তবে রাতে সুযোগ বুঝে ঠিকই বাস মাইক্রোবাসে করে মানুষ বাড়ি ফিরছে। এদিকে আমিন বাজার ব্রিজের পরেই হাজার হাজার মানুষকে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। চলছে কার, মাইক্রোবাস, মিনি ট্রাক, টাক্সিক্যাবসহ বেশ কিছু যানবাহন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।