বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গ্রামমুখী মানুষের স্রোত থামছে না বরং বাড়ছে। লকডাউনের ঘোষণার পর থেকে যে যেভাবে পারছে সেভাবে ছুটছে গ্রামের দিকে। পুলিশ বলছে যেভাবে মানুষ ছুটছে তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।
সাত জেলায় চলা কঠোর লকডাউন মধ্যে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে মাদারীপুরের বাংলাবাজার পর্যন্ত নৌপথে ফেরিতে উপচেপড়া ভিড়। জীবনবাজী রেখে মানুষ যাচ্ছে বাড়ী।
গণপরিবহন বন্ধ থাকায় দুই ঘাটেই ঢাকা ও দক্ষিণবঙ্গগামী যাত্রীরা রোববার ভোর থেকে ফেরিতে নদী পারি দিচ্ছেন।
সরকার সোমবার থেকে সারা দেশে শাটডাউনের ঘোষণা দেয়ায় বাড়ি ফিরতে মানুষ ফেরিতে ভিড় শুরু করে শুক্রবার থেকেই। শনিবার রাতে নতুন ঘোষণায় শাটডাউনের শুরু পিছিয়ে বৃহস্পতিবার করা হলেও সোমবারকে মাথায় রেখে বাড়ি ফিরতে প্রস্তুত যাত্রীরা ঘাটে ভিড় করছে।
জরুরি ও পণ্যবাহী যান পারাপারের জন্য ফেরি চালু রাখা হলেও তাতে যাত্রীর চাপে যানবাহনই উঠতে পারছে না। কিছু ব্যক্তিগত গাড়িও উঠছে ফেরিতে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন করপোরেশনের (বিআইডাব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) শাফায়েত আহমেদ জানান, ‘এই নৌপথে এখন চলছে ১৫টি ফেরি। সকাল থেকে যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। তবে গাড়ির চাপ নেই।
‘নিয়ম অনুযায়ী লকডাউনের আওতামুক্ত গাড়ি পারাপারের কথা থাকলেও যাত্রীরা ঘাটে আসছে। যাত্রী নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব আমাদের নয়। জোর করে প্রতিটি ফেরিতে যাত্রীরা উঠে যায়।’
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক জাকির হোসেন জানান, লকডাউনের নির্দেশনা মানতে যাত্রীদের আহ্বান জানানো হচ্ছে। কিন্তু যাত্রীরা বিভিন্নভাবে ঢাকা থেকে ঘাটে আসছেন। আবার বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসা যাত্রীরা ঢাকা যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।