Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাবুলে স্কুলে গাড়ি বোমা হামলায় নিহত বেড়ে ৫৮

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০২১, ২:০৭ পিএম

আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি স্কুলের সামনে গাড়ি বোমা ও মর্টার হামলায় মৃত বেড়ে ৫৮ জনে দাড়িয়েছে এবং আহত হয়েছে ১৫০ জনের বেশি। গতকাল শনিবারের এসব বিস্ফোরণে হতাহতদের অধিকাংশই ছাত্রী বলে জানিয়েছেন দেশটির কর্মকর্তারা। এ হামলার জন্য আইএসকে দায়ী করেছেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ গনি। রোববার দেশটির কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল শনিবার শিয়া অধ্যুষিত অঞ্চল দস্ত-ই-বার্চি অঞ্চলে এই হামলার ঘটনা ঘটে। একজন প্রত্যক্ষদর্শী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, নিহতদের মধ্যে ৭/৮ জন ছাড়া সকলেই ছাত্রী যারা স্কুল শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। মর্গ থেকে এখনও মরদেহ সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রথম দাফন ইতোমধ্যে শহরের পশ্চিমাঞ্চলে সম্পন্ন হয়েছে।
কিছু পরিবার এখনও তাদের স্বজনদের খোঁজ করছেন। হাসপাতালের দেয়ালে লাগানো তালিকা দেখে মর্গে খোঁজ করছেন তারা।
ওয়াশিংটন গত মাসে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন বাহিনী প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ার পর থেকেই কাবুলে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা চলছে। আফগান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষণার পর থেকে তালেবানরা দেশব্যাপী হামলা আরও বৃদ্ধি করেছে।
কোনো গোষ্ঠী এখন পর্যন্ত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে আফগানিস্তানের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় শিয়াদের ওপর ইসলামিক স্টেট (আইএস) অতীতে বহুবার হামলা চালিয়েছে। বিশেষ করে শনিবারের এই হামলার অঞ্চলে আইএস এর আগে একাধিকবার হামলা করেছে।
আফগানিস্তানের টোলোনিউজ টেলিভিশন চ্যানেলের ফুটেজে স্কুলটির সামনের রক্তস্নাত রাস্তার মধ্যে বই ও স্কুল ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা গেছে, হতাহতদের উদ্ধারে স্থানীয় বাসিন্দারা সেখানে জড়ো হচ্ছেন।
“এটি একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ছিল, স্কুলের প্রবেশ পথের সমানে এটি ঘটে,” রয়টার্সকে বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রত্যক্ষদর্শী।
সায়েদ উল শুহাদা স্কুলটি ছেলে ও মেয়েদের একটি যৌথ উচ্চ বিদ্যালয়, এখানে তিনটি শিফটে ক্লাস হয় এবং দ্বিতীয়টি নারী শিক্ষার্থীদের জন্য বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন আফগানিস্তানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাজিবা আরিয়ান।
আগামী ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সব সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছে ওয়াশিংটন। তারপর থেকে কাবুলজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করে উচ্চ সতর্কাবস্থা বজায় রাখা হয়েছে।
শেষ খবর পর্যন্ত শনিবারের হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো গোষ্ঠী। এ হামলার নিন্দা জানিয়ে তালেবান বিদ্রোহীরা এর সঙ্গে জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন গোষ্ঠীটির মুখপাত্র জাবিহউল্লাহ মুজাহিদ।
কাবুলের পশ্চিমাংশের শিয়া অধ্যুষিত এলাকায় হামলাটি হয়েছে। এর জন্য প্রেসিডেন্ট গনি তালেবানকে দায়ী করলেও গত কয়েক বছর ধরে এই এলাকাটিতে বার বার নৃশংস হামলা চালিয়েছে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) জঙ্গিরা। এর মধ্যে প্রায় এক বছর আগে একটি মাতৃসদনে চালানো হামলার ঘটনাও রয়েছে।
হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের আফগানিস্তান মিশন টুইটারে বলেছে, “কাবুলের দাস্ত-ই-বারচি এলাকায় ভয়ঙ্কর এ হামলা ঘৃণ্য সন্ত্রাসবাদী কাজ। একটি গার্লস স্কুলের প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের ওপর চালানো হামলাটি আফগানিস্তানের ভবিষ্যতের ওপর আক্রমণের শামিল।”



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফগানিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ