গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
বাড়ির পাশেই নির্মাণাধীন একটি আবাসিক প্রকল্প। রাতের বেলা প্রায়ই সেখান থেকে গায়েবি কান্নার শব্দ ভেসে আসে। কয়েকদিন চেষ্টা করেও রহমান সাহেব (কল্পিত নাম) জানতে পারেননি বিষয়টি। রহমান সাহেব থাকেন রাজধানীর মিরপুরে। ঘটনাটি মিরপুর ২ নম্বর সেক্টরে তার বাসার পাশেই।
বাংলাদেশ পুলিশ ফেসবুক পেজের তিনি ঘটনাটি বর্ণনা করে ইনবক্স। পরে পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও একজনকে গ্রেফতার করে। পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) মো. সোহেল রানা এসব তথ্য জানান। পুলিশ সদর দফতর জানায়, তার বার্তাটি পেয়ে মিরপুর মডেল থানার ওসি মো. মোস্তাজিরুর রহমানকে সাদা পোশাকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়। এরই প্রেক্ষিতে ওসি থানার দুই এসআইয়ের নেতৃত্বে সাদা পোশাকের একটি টিম ঘটনাস্থলে প্রেরণ করেন।
দু’দিন রাতের বেলা সম্ভাব্য কয়েকটি ভবন ও আশপাশের এলাকায় খোঁজ নিয়ে রহস্যের জট খুলতে সক্ষম হয় পুলিশ। জানা যায়, একটি হাউজিং কমপ্লেক্সের ভেতরে নির্মাণাধীন ও বর্তমানে পরিত্যক্ত একটি ভবনে মো. জাহাঙ্গীর নামে এক ব্যক্তি তার দুই শিশু সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে বসবাস করছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানায়। মিরপুরে নির্মাণাধীন কমপ্লেক্সের যে পরিবেশে তিনি থাকতেন সেখানকার পরিবেশটা বেশ ভুতুড়ে। সেখানে প্রতিদিন রাতে তিনি তার সন্তানদেরকে হাত-পা বেঁধে মারপিট করতেন। সন্তানদের কান্নার চিৎকার শোনা যেত অনেক দূর থেকে। অবশেষে স্ত্রী ও বাচ্চাদের অভিযোগের ভিত্তিতে নির্যাতনকারী পিতাকে আটক করে পুলিশ। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।