Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

পৃথিবীতে ধেয়ে আসছে চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ মে, ২০২১, ৩:১১ পিএম

পৃথিবীর ওপর যে কোনো সময় আছড়ে পড়বে চীনা রকেটের ধ্বংসাবশেষ। আগামী সপ্তাহের কোনো এক সময় সেটি পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ঠিক কখন ও পৃথিবীর কোন অংশে এটি আছড়ে পড়বে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

গত ২৯ এপ্রিল ‘লং মার্চ ৫বি’ নামের রকেটটি চীনের হাইনান দ্বীপ থেকে তিয়ানহে মডিউল নিয়ে পৃথিবীর কক্ষপথের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তিয়ানহে মডিউল চীনের নির্মাণাধীন স্থায়ী মহাকাশ স্টেশনের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। স্টেশনটির তিন ক্রুর বসবাসের কোয়ার্টার এই মডিউলটিতে করেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। মহাকাশ স্টেশন স্থাপনের জন্য কক্ষপথে মোট ১১টি মিশন পরিচালনা করবে চীন। এর প্রথমটিতেই ‘লং মার্চ ৫বি’ রকেটে করে তিয়ানহে মডিউল কক্ষপথে পাঠানো হয়।

লং মার্চ ৫বি এর ধ্বংসাবশেষের ওজন ২১ টন। এটি এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে ধসে পড়তে যাওয়া সবচেয়ে বেশি ওজনের ধ্বংসাবশেষ হতে যাচ্ছে। ধ্বংসাবশেষটি ৯৮ ফুট লম্বা এবং ১৬ ফুট চওড়া। সেটি বর্তমানে কক্ষপথ হয়ে পৃথিবীর দিকে ঘণ্টায় প্রায় ২৭ হাজার ৬০০ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসছে।
এর আগে ১৯৯০ সালে বিজ্ঞনীরা ইচ্ছাকৃতভাবে ১০ টন ওজনের একটি রকেট পৃথিবীর কক্ষপথে ছেড়ে দিয়েছিলেন। যেটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে।
বিবিসি সাইন্স এর জোনাথন আমোস বলেন, ধ্বংসাবশেষটি বিষুবরেখা উত্তর ও দক্ষিণে ৪১ ডিগ্রি এলাকার মধ্যে আছে। এটি উত্তরে নিউইয়র্ক, ইস্তাম্বুল ও বেইজিং এবং দক্ষিণে নিউ জিল্যান্ডের ওয়লিংটন ও চিলির উপর দিয়ে ঘুরছে।

তিনি বলেন, ‘‘রকেটের ধ্বংসাবশেষটি স্থলভাগের উপর ধসে পড়ার আশঙ্কা খুবই কম। কারণ, পৃথিবীর ৭০ ভাগ অঞ্চল জুড়ে রয়েছে পানি। আর এমন জ্বলন্ত কিছু পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢুকে পড়ার পর সেটির পানিতে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি।”

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নভোযানের ধবংসাবশেষটি এখন পৃথিবী প্রদক্ষিণ করছে এবং এটি পৃথিবীর চারিদিকে বৃত্তাকারে ঘুরতে ঘুরতে নীচের দিকে নেমে আসছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আরো বলা হয়েছে, ধ্বংসাবশেষের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তবে সেটিকে গোলা ছুড়ে নীচে নামিয়ে আনার কোনো পরিকল্পনা আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের নেই।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা আশা করছি যে এটি এমন জায়গায় ধসে পড়বে যেখানে কারও কোনো ক্ষতি হবে না। আশা করি সমুদ্র বা এমন কোথাও পড়বে।’

২০২০ সালের মে মাসে চীনের একটি নভোযানে একই ঘটনা ঘটেছিল। সেবার পশ্চিম আফ্রিকার আইভরি কোস্টে গ্রামীন এলাকায় ওই নভোযানটির ধ্বংসাবশেষ আছড়ে পড়েছিল। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে ১২ মিটার (৩৯ ফুট) দীর্ঘ একটি ধাতব পাইপও ছিল। তবে ওই ঘটনায় কেউ আহত হননি। সূত্র: বিবিসি বাংলা



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ