পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
লকডাউনের কঠোরতা তেমন নেই। এই ধরনের লকডাউনে করোনার বিস্তার সারাদেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া ছাড়া এর বিস্তার রোধ কোনভাবেই সম্ভব নয়। দেশে করোনা রোগী প্রথম সনাক্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার এই লকডাউনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে এবং প্রত্যেকবার দেখা গেছে, লকডাউন ঘোষণার সাথে সাথে বেশিরভাগ মানুষের ভিতর উৎসবের আনন্দ শুরু হয়ে যায়। শহর থেকে গ্রামে যাওয়ার ধুম পড়ে যায়। রাজধানী, বিভাগীয় শহর, জেলা শহর থেকে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার ধুম। দূরপাল্লার পরিবহন বন্ধ থাকলেও মানুষ যে যেভাবে পারে গ্রামে যাওয়ার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পথে বের হয়। এই লকডাউন কি আসলেই করোনা রোধে সফল হবে নাকি বিস্তারে সহায়ক হবে? আমাদের মনে হয়, এটাতে করোনা আরও জেঁকে বসবে। কেননা করোনাকে আমরা হেঁটে পথ দেখিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাচ্ছি। লকডাউনের চিত্র কখনোই এমনটা হওয়ার কথা নয়।
লক ডাউনের সময় আমাদের দেশের সবকিছু ঠিকঠাক চললেও গণপরিবহনের চলাচলের ক্ষেত্রে বিশাল কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। গণপরিবহনের ভাড়া দ্বিগুণ করে সীমিত করা হয় আসন সংখ্যা। কর্তৃপক্ষের ধারণা, করোনা ভাইরাস শুধুমাত্র গণপরিবহনের ভিতরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং ভাইরাস শুধুমাত্র গণপরিবহনে যে সকল যাত্রী চলাফেরা করে তাদের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে। ধরে নিলাম, তাদের মাধ্যমেই বেশিরভাগ ভাইরাস ছড়াচ্ছে। তাহলে লকডাউন ঘোষণার আগে শহর থেকে গ্রামমুখী মানুষের স্রোত ঠেকাতে অবশ্যই যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া উচিৎ ছিল।
চীনে থাকার সুবাদে বাস্তব অভিজ্ঞতার আলোকে বুঝেছিলাম লকডাউন কাকে বলে। লকডাউন ছাড়া চীনারা কোন কিছুকে প্রাধান্য দেয়নি। এদের প্রধান উৎসব ‘চীনা নববর্ষ’। চীনা বর্ষপঞ্জীতে দিনটি চন্দ্রমাসের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় শীতের বিদায় এবং বসন্তের আগমনী শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রতি বছর জানুয়ারির শেষের দিকে, না হলে, ফেব্রæয়ারির প্রথমে, সামান্য এদিক-সেদিক হয়ে এদের নববর্ষ পালিত হয়। পরিসংখ্যান ঘাঁটলে দেখা যায়, ওই সময়টাতে চীনের ভিতরে বা অন্য দেশ থেকে চীনে, যে মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষের আনাগোনা হয়, সেটা বিশ্বের মধ্যে খুবই বিরল একটি দৃষ্টান্ত। অনুষ্ঠান জাঁকজমকপূর্ণভাবে পালন করতে সরকার ওই সময়টাতে লম্বা ছুটি ঘোষণা করে। তাই সবাই সবার সাধ্য অনুযায়ী নববর্ষ আনন্দফুর্তি করে তবেই ক্ষ্যান্ত হয়।
সব আয়োজন এবং প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার সত্তে্ও চীনে গেল বছর এই নববর্ষ উদযাপনের তেমন কোনো আমেজ-আয়োজনই ছিল না। উহান তখন করোনা ভাইরাসের দাপটে কাঁপছিল। প্রশাসন কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে লকডাউন শুরু করেছিল। ঘোষণা ছিল এমন ‘যে যেখানে আছে, তাকে সেখানেই থাকতে হবে’। যেমন কথা তেমন কাজ। দীর্ঘ তিন মাস কেউ কোথাও যায়নি। আমার খুবই কাছের এক চীনা বন্ধু ‘ইজরা’ তার স্ত্রী এবং আট মাসের বাচ্চা রেখে সে আটকা পড়েছিল অন্য প্রদেশে। তিন মাস পরেই ইজরা তার পরিবারের সাথে দেখা করার সুযোগ পায়। ইজরার মতো এমন লক্ষ লক্ষ চীনা নাগরিক আটকে পড়েছিল বিভিন্ন জায়গায়। আর সবক্ষেত্রেই তারা বন্দিদশার মতো লকডাউন শেষ হওয়ার পরেই নিজ নিজ প্রদেশে ফেরার অনুমতি পায়। লকডাউনে চলাচলের ওপর এতটাই কড়াকড়ি বলবৎ ছিল যে, আমি মাঝে মধ্যে বহু কষ্টে আমাদের বসবাসের কমিউনিটি কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে কিছু দরকারি কাজে বাইরে বের হয়ে দেখেছিলাম, এদের লকডাউন কতটা কঠোর হয়। সবখানেই জনমানবশূন্য একটা ভূতুড়ে পরিবেশ বিরাজ করত। মেইন রোডের পাশেই আমাদের বাসা। যখন বাইরে দেখতাম পুরো থমথমে পরিবেশ তখন নিজেদের খুবই ভয় লাগত। দিনের বেলায় হাতে গোনা দুই একজনের চলাচল লক্ষ করলেও সন্ধ্যার পর থেকে একেবারে জনমানবহীন জনপদ পড়ে থাকত। নিজেদের মনে হতো, হয়তো জেলখানায় বন্দি জীবন পার করছি। শুধুই ভাবতাম, এই বন্দিদশা থেকে আমরা কবে মুক্তি পাব। সব কিছুই আগের জায়গায় ছিল শুধু মানুষ আর যানবাহন ছাড়া। এমন ভূতুড়ে পরিবেশ ছিল যে, মাঝেমধ্যে দিনের আলোতেও নিজের কাছে ভয় লাগত। পনেরো-বিশ দিনে হয়ত একবার নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে বাইরে বের হয়েছি। কিন্তু সেটার জন্যও ছিল অনেক বেশি কঠোরতা। বিশেষ আইডি কার্ড দেওয়া হয়েছিল আমাদের। সেটা করতেও অনেক কাগজপত্র জমা দেওয়া লেগেছিল। আইডি কার্ড থাকা সত্তে¡ও দরকারি প্রয়োজন মিটিয়ে ফেরার পরে মাঝে মধ্যে কমিউনিটি কর্তৃপক্ষ ভিতরে ঢুকতে দিতে চাইত না। এমনও হয়েছে বাসার মালিক গিয়ে আমাকে ভিতরে প্রবেশ করতে সাহায্য করেছে। ফুজিয়ান প্রদেশ করোনা আক্রান্তের দিক দিয়ে ‘রেড জোন’ হিসেবে চিহ্নিত ছিল না। তারপরেও এখানে যে সতর্কতা ছিল সেটাতেই আমরা অনেক ঘাবড়ে গিয়েছিলাম।
চীনারা বুঝেশুনেই ভবিষ্যতের করণীয়, জরুরি বিষয়গুলোতে কী করণীয় সেগুলো মাথায় রেখেই লকডাউন ঘোষণা করেছিল। এদের উদ্দেশ্য ছিল যতদিন পর্যন্ত করোনা শূন্যের কোঠায় না নামবে ততদিন লকডাউন বলবৎ থাকবে। ছিল ও তাই। ফলে কী হয়ছে? চীন সফলভাবে করোনাকে হার মানাতে পেরেছে। খুবই বাধ্য হয়ে শুধুমাত্র নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের প্রয়োজন ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্যে কাউকেই চলাফেরা করতে দেখা যায়নি। এই ধরনের কঠোর লকডাউনের ফলেই চীন সফল হয়েছে করোনাকে মোকাবেলা করতে। কিন্তু আমাদের দেশের ঘোষিত বর্তমান এই লকডাউনে করোনার সংক্রমণ বাড়া ছাড়া কমবে, এমটা ভাবা যায় না। লকডাউন যদি লকডাউনের মতো না হয় তাহলে তার প্রয়োজন কী? ইতোমধ্যে এটা প্রমাণিত হয়েছে, লকডাউন কোনভাবেই কার্যকর হচ্ছে না। হতে পারে যদি সরকার খুবই কড়া পদক্ষেপ নেয়। কিন্তু আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে হয়ত সেটা সম্ভব নয়। তাই নিয়মনীতি মেনে চলা ছাড়া করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি খুবই কঠিন। এজন্য বিশেষজ্ঞরা চিন্তাভাবনা করে লকডাউনের বিকল্প হিসেবে কিছু নিয়মনীতি চালু করতে পারেন। যেটা অন্ততপক্ষে করোনা ভাইরাস সম্পূর্ণ নির্মূল সম্ভব না হলেও বিস্তার রোধে সহায়ক হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। চীনাদের ভিতরে এসব নিয়মনীতিগুলো খুবই সুচারুভাবে পালন করতে দেখা যায়। বিশ্বের অন্যান্য দেশ চীনাদের দেখে এসব নিয়মনীতি সম্পর্কে কিছুটা শিক্ষা নিতে পারে।
চীনাদের সহজ কিছু নিয়মনীতির ভিতরে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য মাস্ক বিহীন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা। মাস্ক এই ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে খুবই কার্যকর। সেই সাথে যতটা সম্ভব পারা যায় জনসমাগম এড়িয়ে চলা। মাস্ক সহজ লভ্য, দামে সস্তা এবং পরার পরে নিজেদের বেশ কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা আছে, যেটা ভেবেই চীনারা প্রতিটি জনবহুল এলাকায় মাস্কবিহীন কাউকেই চলাচল করতে দেয় না। মাস্ক ব্যবহার, চলাচলে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখা করোনা সংক্রমণ রোধে বিশেষ কার্যকর, সেটা এরা ভালোভাবে বুঝে গেছে। তাই সর্বক্ষণই চীনাদের ভিতরে মাস্ক পরার একটা প্রবণতা চলে এসেছে। যেটা প্রথম হতে চীনে করোনা বিস্তার রোধে কার্যকর ভূমিকা রেখে আসছে।
করোনার বিস্তার রোধে চীনাদের আরও একটা জিনিস ভালোভাবেই কাজে এসেছে বলে মনে করি। সেটা হলো, চীনাদের আর্থিক লেনদেন ১০০% মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে হয়ে থাকে। যেখানে ‘আলিপে’ এবং ‘উইচ্যাট’ নামক দুইটি অ্যাপসের মাধ্যমে যাবতীয় আর্থিক লেনদেন হয়। অনলাইন কেনাকাটা থেকে শুরু করে সবধরনের কেনাকাটায় অ্যাপস দুইটির সার্বক্ষণিক এবং সর্বোচ্চ ব্যবহার হয়। এই অ্যাপস দুইটি সরাসরি ব্যাংকের সাথে যুক্ত। এছাড়া অ্যাপস দুইটিতে স্ব স্ব ব্যক্তিদের সংরক্ষিত একাউন্টে যেকোন পরিমাণ টাকা জমা রাখা যায়। যেটা আমাদের দেশের বিকাশ, রকেট, নগদ একাউন্টে করা যায়। কিন্তু ওগুলো থেকে চীনা অ্যাপস দুইটির বেশ বড় ধরনের পার্থক্য রয়েছে। প্রতিটা সুপার মল, খুচরা দোকান, গণপরিবহন, ট্রেন, বিমান, হোটেল বুকিংসহ সবক্ষেত্রে এই অ্যাপস দুইটি দিয়ে কোন বাড়তি চার্জ ছাড়াই আর্থিক লেনদেনের সুবিধা আছে। যাতে কারও কোন হাতের স্পর্শ ছাড়া তড়িৎ গতিতে আর্থিক লেনদেন হয়ে যাচ্ছে। করোনা বিস্তার রোধে চীনাদের বহু পূর্ব হতে ব্যবহৃত এই অ্যাপস দুইটি প্রত্যক্ষ ভূমিকা রেখেছে। আমাদের দেশের বিকাশ, রকেট, নগদে কিছু আর্থিক লেনদেন হলেও সেটা খুবই সীমিত পর্যায়ে। এছাড়া এসব একাউন্ট থেকে আর্থিক লেনদেনেও কর্তৃপক্ষকে দিতে হয় বাড়তি ফিস। কিন্তু চীনাদের ক্ষেত্রে অ্যাপস দুইটি দিয়ে লেনদেনে বাড়তি ফিসের পরিবর্তে কিছুটা ছাড় দেওয়া হয়। তৎক্ষণাৎ যাকে তাকে ইচ্ছা মতো যেকোন পরিমাণ অর্থ কোন রকম ফিস ছাড়াই ট্রান্সফার করা যায়। আমাদের কর্তৃপক্ষ এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখতে পারে। কেননা আর্থিক লেনদেন অনলাইনে হলে নিঃসন্দেহে করোনার বিস্তার রোধে সেটা ভালো ভূমিকা রাখবে। আক্রান্ত ব্যক্তির হাতের ছোঁয়ায় টাকার মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঘটে এমন তথ্য বহু আগেই বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন। তাই গ্রামাঞ্চলে না করা গেলেও অন্তত রাজধানী এবং বিভাগীয় শহরগুলোতে খুচরা দোকান থেকে সব ধরনের বিপণি বিতানে এই ব্যবস্থা চালু করা খুব বেশি কঠিন কাজ নয়।
সাথে আছে চীনাদের সুষম খাদ্যাভ্যাস। যেখানে কার্বোহাইড্রেট সীমিত রেখে প্রচুর সবজি, ফল মূল, মাছ মাংস অন্তর্ভুক্ত থাকে। আমাদের দেশের তুলনায় এখানে সবুজ শাকসবজির দাম বেশ চড়া কিন্তু যেকোন ফলের দাম অনেক কম। সবজির দাম চড়া হওয়া সত্তে¡ও চীনারা প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় স্থান পায় প্রচুর শাকসবজি। সাথে সহজ লভ্য ফ্রেশ ফলমূল। রোগ প্রতিরোধে সুষম খাবারের জুড়ি নেই, সেটা আমরা সবাই জানি। আর চীনারা প্রথম থেকে এই নীতিতে চলে নিজেদের শরীরকে ফিট রাখে বলে আমার মনে হয়। আমাদের দেশের চিত্র অবশ্য চীনাদের বিপরীত। যেহেতু খাদ্যাভ্যাস সহজে পরিবর্তন সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে নিয়ম মেনে কার্বোহাইড্রেট কিছুটা কমিয়ে বেশি পরিমাণ শাক সবজি খাওয়া যেতে পারে। আমাদের দেশে সবার ফল খাওয়ার সামর্থ্য না থাকলেও সবজি খাওয়ার সামর্থ্য আছে। যেটা শরীররে রোগ প্রতিরোধে দারুণ কার্যকর। সাথে দৈনন্দিন কিছু শারীরিক ব্যায়াম ও রোগ প্রতিরোধে ভালো কাজ দিতে পারে।
পরিশেষে শুধু এটুকু বলতে চাই, লকডাউন দেওয়ার আগে প্রশাসনের উচিত কাগজে-কলমে নিয়মনীতি না রেখে বাস্তবে তা যথাযথ প্রয়োগ করা। না হলে করোনার বিস্তারের লাগাম কোনভাবেই আটকানো সম্ভব নয়। প্রতিবার লকডাউনের শুরুতে এবং শেষে মানুষের স্রোত থাকে রাস্তাঘাটে। প্রশাসন এ সব বিষয়ে নিশ্চয়ই অবগত। তাহলে অবশ্যই লকডাউনের ঘোষণার সাথে বা তার আগে গৃহমুখী মানুষের স্রোতকে বন্ধ করার কার্যকর পদক্ষেপ মাথায় নিয়েই তবে পরবর্তী ঘোষণা দেওয়া উচিত। সেইসাথে লকডাউন ঘোষণার শুরুতে বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের বিক্ষোভমুখী কর্মকান্ডও হাস্যকর। প্রশাসনের উচিত ক্ষুদ্র স্বার্থের দিকে না তাকিয়ে বৃহৎ স্বার্থকে সামনে রেখে দৃঢ় মনোবলে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া। তাহলেই কেবলমাত্র লকডাউন সফল হবে।
অনেকের মুখে একটা কথা খুবই ফলাও করে বলতে শোনা যায় ‘আমাদের দেশে লকডাউন দিলে গরিব না খেয়ে মরবে’। কথা কিছুটা সত্য। তবে আগেই গরিবদের জন্য খাদ্য সংস্থানের ব্যবস্থা নিলে সে আশঙ্কা থাকার কথা নয়। নামকাওয়াস্তে লকডাউন এবং জনচলাচল অবাধ রেখে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঠেকানো যাবে না। এভাবে বারবার ভোগান্তির চেয়ে একটু কষ্ট করে একেবারে এই বিপদ থেকে মুক্তি পাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। যেটা চীন করেছে। আমরাও নিয়মনীতি মানলে অবশ্যই পারব সেটা নিশ্চিত করেই বলা যায়।
লেখক: গবেষক, ফুজিয়ান এগ্রিকালচার এন্ড ফরেস্ট্রি ইউনিভার্সিটি, ফুজো, ফুজিয়ান, চীন।
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।