Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শত্রুর দুঃস্বপ্নের কারণ হবে চীনা ৫ম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান জে-২০

উপকুলরক্ষী বাহিনীর ক্ষমতা বাড়িয়েছে চীন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০২১, ১২:০২ এএম

চীনের পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমান জে-২০তে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে দুই আসনবিশিষ্ট এ যুদ্ধবিমান হামলার কাজে নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকা কিছু ড্রোনও ব্যবহার করতে পারবে যা শত্রæর জন্য ‘প্রকৃত দুঃস্বপ্ন’ হয়ে উঠবে। চীনা দৈনিক সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বরাত দিয়ে রুশ বার্তা সংস্থা স্পুটনিক এ খবর দিয়েছে। দৈনিকটিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, “পাইলটবিহীন বিমান বা ড্রোনগুলো শত্রæর যুদ্ধবিমানগুলোকে ফাঁদে ফেলার জন্য চমৎকার টোপ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।” সেই সাথে এসব ড্রোন শত্রæ পক্ষের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ এবং শত্রæর আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার ওপর হামলা চালাতে পারবে। ফলে আকাশ যুদ্ধে ড্রোন ব্যবহার করে শত্রæর ওপর শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করা সম্ভব হবে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট আরো জানিয়েছে, এখন থেকে দুই বছর পর জে-২০ যুদ্ধবিমানে রুশ ইঞ্জিনের পরিবর্তে চীনে তৈরি ইঞ্জিন বসানো হবে। চীনা দৈনিকটি এ সম্পর্কে বিস্তারিত আর কোনো তথ্য জানায়নি। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট এ খবর জানিয়েছে। অপর এক খবরে বলা হয়, উপক‚লরক্ষী বাহিনীর ক্ষমতা বাড়িয়েছে চীন। স¤প্রতি দেশটির উপক‚লরক্ষী বাহিনীর ক্ষমতা বাড়াতে নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইয়ের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার নিজেদের উপক‚লরক্ষী বাহিনীর ক্ষমতা বাড়াতে নতুন আইন প্রণয়ন করেছে চীন। বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের এক বৈঠকে ওই সর্বশেষ আইনটি পাস হয়েছে। সেপ্টেম্বর থেকেই এই আইন কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে। এই নতুন আইনে আন্তর্জাতিক পানিসীমায় চীনের দাবি করা অংশ থেকে ‘বিদেশি’ জাহাজ বা নৌকাগুলোকে বেরিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিতে পারবে কমিউনিস্ট দেশটির উপক‚লরক্ষী বাহিনী। প‚র্ব চীন সাগরে জাপানের সেনকাকু দ্বীপকে বরাবরই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে বেইজিং। এবার নতুন আইন পাস হওয়ায় সেখানে চীনের উপক‚লরক্ষী বাহিনী আগ্রাসী হয়ে উঠবে বলে আশঙ্কা প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকদের। গত ফেব্রæয়ারি মাসে ‘অনুপ্রবেশ’ করলে বিদেশি যানগুলোর ওপর হামলা চালানোর অধিকার দিয়ে নিজেদের উপক‚লরক্ষী বাহিনীকে আরও আগ্রাসী করে তুলেছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। সাগরে চীনা নৌবহরের আগ্রাসী কার্যকলাপের কথা মাথায় রেখে গত মার্চে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের উপক‚লরক্ষী বাহিনীর মধ্যে। তাইওয়ানে যুক্তরাষ্ট্রের ডি ফ্যাক্টো দ‚তাবাস ‘আমেরিকান ইন্সটিটিউট’ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিতে উপক‚লরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা, তথ্যের আদানপ্রদান ও কৌশলগত সহযোগিতার বিষয়টি রয়েছে। গত বছর চীনের ওপর চাপ বাড়িয়ে তাইওয়ানকে মিসাইল দেওয়ার কথা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। সেসময় ১০০টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র বা কোস্টাল ডিফেন্স সিস্টেম বিক্রির সিদ্ধান্তে সিলমোহর দেয় তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এই অস্ত্র চুক্তি যে চীনের উপর চাপ বাড়িয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এর আগে গত ১০ আগষ্ট চীনের আপত্তি থাকলেও তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজার। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, এনএনআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ