মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি থেকে সরে এসে চীনের সঙ্গে দ্বন্দ্বের পরিবর্তে প্রতিযোগিতাকে প্রাধান্য দিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বুধবার আমেরিকান কংগ্রেসে তার প্রথম বক্তৃতায় বাইডেন জানান, তার সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের কথা হয়েছে এবং তিনি শি-কে জানিয়েছেন প্রতিযোগিতা স্বাগত, দ্বন্দ্ব-বিরোধ চাইছি না। বাইডেন বলেন, আমেরিকা যাতে বিশ্ব বাজারে তার আধিপত্য ধরে রাখতে পারে, সে ব্যাপারেই সচেষ্ট হবে তার প্রশাসন। আগামী ১০০ দিনের মধ্যে নতুন করে আমেরিকার উত্থান শুরু হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারে বারবারই দাবি করতেন, বাইডেন ক্ষমতায় এলে চীনের প্রতি নরম নীতি নেবেন। তাতে আমেরিকার জাতীয় স্বার্থক্ষুণ্ণ হবে। কমলা হ্যারিস এবং ন্যান্সি পেলোসিকে সঙ্গে নিয়ে বাইডেন কিন্তু তার ৬৫ মিনিটের বক্তৃতায় আমেরিকার জাতীয় স্বার্থের উপরেই জোর দিলেন। আমেরিকার অর্থনীতি এবং পরিকাঠামো নিয়ে তার পরিকল্পনা, বিদেশনীতিতে তার লক্ষ্য এবং অতিমারি আবহে জনস্বাস্থ্য নিয়ে তার ভাবনা— এই তিনটি বিষয়েই কথা বলেন বাইডেন। বিরোধ এড়িয়ে প্রতিযোগিতার বাজারে চীন যাতে টেক্কা দিতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করার কথা বললেন। বাইডেনের কথায়, ‘চীন এবং অন্যান্য দেশ খুব দ্রুত উঠে আসছে। আমাদের পণ্য এবং প্রযুক্তি যাতে তার আধিপত্য ধরে রাখতে পারে, সেটা আমাদের দেখতে হবে’। গত মাসেও বাইডেন জানিয়েছিলেন, চীন যাতে আমেরিকাকে সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশের আসন থেকে টলাতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করাই হবে তার কাজ।
শি-র সঙ্গে তার প্রায় দীর্ঘ দু’ঘণ্টা কথা হয়েছে বলে জানিয়ে এ দিন বাইডেন বলেন, ‘তিনি চীনকে সবচেয়ে প্রভাবশালী রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে খুবই একাগ্র। তিনিও অন্যান্য স্বৈরতন্ত্রীর মতোই মনে করেন, একুশ শতকে স্বৈরতন্ত্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় গণতন্ত্র টিকতে পারে না। কারণ গণতন্ত্রে ঐকমত্যে পৌঁছতে অনেকটা সময় লেগে যায়’। অর্থাৎ চীনের সঙ্গে আমেরিকার চ্যালেঞ্জ শুধু অর্থনীতির নয়, রাজনৈতিক মতাদর্শেরও— এই কথাটাও ফের জোর দিয়ে মনে করিয়েছেন বাইডেন। ভারত-প্রশান্তমহাসাগরীয় অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি যে বজায় রাখবে আমেরিকা, সে কথা শি-কেও জানিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার চীনও এই প্রশ্নেই বাইডেনকে খোঁচা দিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেছেন, চীনও আমেরিকার সঙ্গে কোনও মারণ-ডুয়েল লড়ছে না। প্রতিযোগিতা তার নিয়ম মেনে মাঠে হওয়াই শ্রেয়। সেই সঙ্গে ওয়াং বলেন, ‘কারও গণতন্ত্রের আদর্শ অন্যের উপরে চাপিয়ে দিতে গেলে কিন্তু স্থিতাবস্থার ক্ষতিই হবে, উত্তেজনা বাড়বে’। চীনের দাবি, আমেরিকাই অবাধ ও সুস্থ প্রতিযোগিতার নিয়ম মানে না। অর্থনীতিকে রাজনীতির বিষয় করে তোলে।
বাইডেন অবশ্য তার বক্তৃতায় আমেরিকার অর্থনীতির জন্য ‘অচ্ছে দিন’ও ঘোষণা করেছেন। অতিমারি থেকে অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে স্বপ্ন দেখিয়েছেন। বলেছেন, ‘আমেরিকা ওড়ার জন্য তৈরি। ঠিক ১০০ দিন পরে আমি জাতিকে জানাব, আমেরিকা আবার এগোচ্ছে তরতর করে। সে বিপদকে বদলে নিয়েছে সম্ভাবনায়, সঙ্কটকে সুযোগে, আঘাতকে শক্তিতে’। নতুন লগ্নি এবং কর-কাঠামোর পরিমার্জনার হাত ধরেই আমেরিকার গণতন্ত্র মানুষের আস্থা ফের অর্জন করে নেবে বলে দাবি করেন বাইডেন। সূত্র : রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।