মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শেষ পর্যন্ত নিজের দেশের করোনা ভয়াবহতার কথা স্বীকার করে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একদিনে সর্বাধিক সংখ্যক করোনা আক্রান্ত হয়ে সংক্রমণের নতুন রেকর্ড করেছে দেশটি। গতকাল রোববার (২৫ এপ্রিল) দেশের সমস্ত নাগরিককে টিকা দেওয়া ও সাবধানতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ভাষণে স্বীকার করেছেন করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি রোববার দেশবাসীর উদ্দেশে তার নিয়মিত রেডিও ভাষণে বলেছেন, ভারতীয়দের ‘দুঃখ সহ্য করার ক্ষমতা কতটা’ করোনা এখন তারই পরীক্ষা নিচ্ছে। তাই সহজে হেরে গেলে চলবে না। কোভিডের প্রথম ধাক্কা সফলভাবেই সামাল দিয়েছিল দেশ। যার জন্য দেশবাসীর আত্মবিশ্বাস বেড়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ধাক্কা দেশকে কাঁপিয়ে দিয়েছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় এই মুহূর্তে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভারত। একদিনে সংক্রমণের পরিসংখ্যানে আমেরিকাকেও ছাড়িয়ে গিয়ে বিশ্বরেকর্ড করেছে। সংক্রমণ প্রতিদিনই তিন লক্ষ ছাড়াচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ না আসলে আগামী মে মাসে দৈনিক ১০ লক্ষ সংক্রমণ হতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
আক্রান্তের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে ভারতে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনায় মারা গেছেন মোট ২ হাজার ৭৬৭ জন রোগী। আগের দিন এই সংখ্যা ছিল ২ হাজার ৬২৪ জন। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত তিন দিনে ভারতে করোনায় আক্রান্ত নতুন রোগীর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ লাখ, মৃত্যু ছাড়িয়েছে ৭ হাজার ৫০০।
পরিস্থিতি সামাল দিতে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মন্তব্য করে মোদি বলেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার একমাত্র উপায় টিকাদান। ইতিমধ্যে দেশজুড়ে বিনামূল্যে টিকা দিচ্ছে কেন্দ্র সরকার। রাজ্যগুলিকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন পাঠানো হয়েছে। আগামী দিনেও এই কেন্দ্রীয় প্রকল্প চলবে।
এবার বেসরকারি সংস্থাগুলিও তাদের কর্মীদের টিকা দিতে পারবে জানিয়ে মোদি বলেন, আগামী ১ মে থেকে ১৮ ঊর্ধ্বের সকলেই টিকা পাবেন। এসময় টিকা নিয়ে গুজব থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন তিনি।
দেশের রাজধানী দিল্লি এই মুহুর্তে সবচেয়ে দুর্গত এলাকাগুলোর একটি, বেড নেই বলে সেখানে বহু হাসপাতাল রোগীদের ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে এবং শহরে প্রতিদিন অজস্র রোগী শুধুমাত্র অক্সিজেনের অভাবে মারা যাচ্ছেন।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যমতে, চলতি সপ্তাহে দিল্লিতে প্রতিঘণ্টায় গড়ে ১২ জনেরও বেশি করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গত সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল প্রতিঘণ্টায় গড়ে পাঁচজন। আর চলতি সপ্তাহেই সে সংখ্যা এখন দ্বিগুণেরও বেশি। শত শত রোগীর পরিজনরা একটা করোনা বেডের জন্য উদভ্রান্ত হয়ে ছোটাছুটি করছেন, অথচ হাসপাতালগুলো নতুন রোগী নেয়া বন্ধ করে দিয়েছে। সূত্র : এনডিটিভি
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।