পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিধান সভার নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে এসে বিজেপির সাবেক সভাপতি এবং ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্ বাংলাদেশ সম্পর্কে এমন সব মন্তব্য করেছেন, যেগুলিকে এককথায় বলা যায় আউটরেজিয়াস (Outrageous)। অর্থাৎ অত্যন্ত আপত্তিকর ও ঘৃণ্য। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের মানুষ খেতে পায় না। তাই তারা ভারতে অনুপ্রবেশ করছে। এই মন্তব্য তো তিনি এই সেদিন ১৩ এপ্রিল করলেন। কিন্তু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিষোদগার তিনি অব্যাহতভাবে করে যাচ্ছেন। ২০১৯ সালের শেষে এবং গত বছরের প্রথমে তিনি বাংলাদেশের মানুষ সম্পর্কে বল্গাহীন উক্তি করেন। পশ্চিমবঙ্গে নাগরিকপঞ্জী এবং নাগরিকত্ব সংশোধন করতে গিয়ে তাঁর এইসব লাগামছাড়া উক্তি বাংলাদেশের মতো একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রাপ্য ডিপ্লোম্যাটিক এটিকেট বা সভ্যতা-ভব্যতার সীমা ছাড়িয়ে যায়। বাংলাদেশের মানুষকে তখন তিনি উইপোকা বলে তাচ্ছিল্য করেন। তখনও বাংলাদেশ সরকারিভাবে বা অন্যান্য রাজনৈতিক দল থেকে দাঁতভাঙ্গা জওয়াব দেওয়া হয়নি বলে তার জিহবা আরও লম্বা হয়েছে এবং ক্রমাগত তিনি অপমানসূচক বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।
অমিত শাহ্ যে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে যাচ্ছেন, সেটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। ২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি করেছেন, ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে করেছেন। এখন ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিধান সভার নির্বাচনী প্রচারণায় এসে করলেন। অমিত শাহ্ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সবচেয়ে বিশ^স্ত ব্যক্তি এবং ভারতের বড় বড় পত্রিকা তাকে প্রধানমন্ত্রীর দক্ষিণহস্ত বলে মনে করেন। এর আগে রাজনাথ সিং বিজেপির সভাপতি ছিলেন। তিনি নরেন্দ্র মোদির প্রথম মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এরপর রাজনাথ সিংয়ের পরিবর্তে অমিত শাহ্কে বিজেপির সভাপতি করা হয় এবং নরেন্দ্র মোদি তার দ্বিতীয় মেয়াদের মন্ত্রিসভায় রাজনাথ সিংকে সরিয়ে অমিত শাহ্কে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেন। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এসব বিষোদগার শুধুমাত্র অমিত শাহের ব্যক্তিগত নয়, এগুলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মোদি সরকারের কনসার্ট। ভারতের মতো বিশাল রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী হয়ে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অপর একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিষোদগার শোভা পায় না। তাই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ্কে দিয়ে মোদি সরকার বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করছে।
দুই
বাংলাদেশ সম্পর্কে এই ধরনের স্পর্ধিত উক্তি করা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের জনগণ দাঁতভাঙ্গা জওয়াব দিতে বাধ্য হবে। কারণ, অমিত শাহ্ তথা নরেন্দ্র মোদির সরকার ভীমরুলের চাকে ঢিল দিয়েছেন। বেশ কিছুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফর করে ফিরে এসে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছিলেন, বাংলাদেশ ভারতকে যত কিছু দিয়েছে, সেটি ভারত চিরদিন মনে রাখবে। এর পরেও হয়তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আরো কিছু বলার ছিল। হয়তো বাংলাদেশ-ভারত বন্ধুত্ব এবং ক‚টনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রেখে প্রধানমন্ত্রী হয়ে এর বেশি কিছু তিনি বলেননি। কিন্তু অপর পক্ষ অর্থাৎ ভারতীয় পক্ষ, বিশেষ করে বিজেপির কেন্দ্রীয় এবং প্রাদেশিক নেতারা শিষ্টাচারের ধার ধারছেন না।
এদেশের জনগণ দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চায় যে, বাংলাদেশ বিগত ১২ বছরে যা করেছে তার ফলে ভারতের ভৌগোলিক অখন্ডতা রক্ষা পেয়েছে। বাংলাদেশ ভারতের যতবড় উপকার করেছে তত বড় উপকার আর কোনো দেশ করেনি। বিগত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা বিরতিহীনভাবে বলা হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় ভারতের অবদান কেউ অস্বীকার করে না। যার যেটা প্রাপ্য তাকে সেটা দেয়াই শিষ্টাচার। তাই বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণ সব সময় সেটা স্বীকার করে এসেছে। কিন্তু তার উল্টা পিঠে আরেকটি চিত্র আছে। সে কথা কিন্তু কেউ বলে না। বাংলাদেশকে কি ভারত একেবারে দাতা হাতেম তাই হয়ে স্বাধীনতা অর্জনে সাহায্য করেছে? অবশ্যই করেনি। বরং বাংলাদেশকে স্বাধীন করায় ভারতের সবচেয়ে বড় স্বার্থ অর্জিত হয়েছে। সেটা হলো, পাকিস্তান ভেঙ্গে যাওয়া। আমাদের স্বার্থ ছিল স্বাধীনতা অর্জন। ভারতের স্বার্থ ছিল পাকিস্তানকে দুই টুকরা করা। পাকিস্তান দুইভাগে বিভক্ত হওয়ার ফলে ভারত প্রশ্নাতীতভাবে আঞ্চলিক পরাশক্তি হিসাবে উত্থিত হয়। ১৯৭১ সালের আগে পরাশক্তিসমূহ, বিশেষ করে আমেরিকা এবং পশ্চিমা বিশ্ব ভারত ও পাকিস্তানকে এক পাল্লায় মাপতো। কিন্তু ১৯৭১ এর পর তারা ভারতকে মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরাশক্তি হিসাবে মেনে নেয়।
আজ নয়, পন্ডিত নেহ্রুর বাসনা ছিল, বিশে^ অন্যতম পরাশক্তি হিসাবে ভারত উত্থিত হবে। ভারতের সেই মনোবাঞ্ছনা হয়তো পূর্ণ হয়নি, কিন্তু পাকিস্তান বিভক্ত হওয়া এবং বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার ফলে ভারত এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। এশিয়ার বৃহত্তম শক্তি হলো গণচীন। দ্বিতীয় বৃহত্তম হলো ভারত। বৈশি^কভাবে ভারত চতুর্থ বৃহত্তম শক্তি। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হলো যথাক্রমে আমেরিকা, রাশিয়া ও চীন। বাংলাদেশের তৎকালীন সাড়ে ৭ কোটি মানুষ যদি স্বাধীনতা না চাইত এবং ভারতীয় সামরিক সাহায্যকে যদি ওয়েলকাম না করত তাহলে শুধুমাত্র সামরিক শক্তির জোরে ভারত পাকিস্তানকে ভাঙ্গতে পারতো না। বাংলাদেশ দিনের মধ্যে যতবার করে ভারতীয় ভ‚মিকাকে স্মরণ করে, ভারত কি একবারও বাংলাদেশের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন স্বীকার করে? বরং ভারতের অনেক পত্রিকা এবং দুই চারটি সিনেমাতেও ’৭১ সালের যুদ্ধকে বাংলাদেশ যুদ্ধ না বলে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বলে আখ্যায়িত করা হয়।
তিন
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া তথা পাকিস্তান ভাঙ্গার ফলে ভারতের ওপরে উল্লেখিত বিরাট মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরেও দেশটির একটি বিরাট বিপদ থেকে যায়। সেটি হলো উত্তর-পূর্ব ভারতের সাতটি রাজ্য, যা সেভেন সিস্টারস নামে খ্যাত। এই সাতটি রাজ্য হলো আসাম, ত্রিপুরা, অরুণাচল, নাগাল্যান্ড, মিজোরাম, মেঘালয় ও মনিপুর। এই সাতটি রাজ্যের মধ্যে ত্রিপুরা ছাড়া অবশিষ্ট ছয়টি রাজ্য সশস্ত্র স্বাধীনতা তথা বিচ্ছিন্ন তৎপরতায় প্রচন্ড অশান্ত ছিল। এদের মধ্যে উলফা নামক সশস্ত্র দল এবং তার নেতা পরেশ বড়–য়া ভারতের স্বাধীনতার জন্য ছিলেন এক মূর্তিমান ত্রাস। এই ৭টি রাজ্যের স্বাধীনতা আন্দোলনের পেছনে প্রত্যক্ষ মদদ যোগাচ্ছিল একটি বড় বিদেশি শক্তি, যার নাম তথ্যাভিজ্ঞ মহলের অজানা নয়। এসব সশস্ত্র স্বাধীনতাকামী বা বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভারতীয় বাহিনী যখন তাড়া করতো তখন বাংলাদেশসহ ভারতের আরো ছোট ছোট দু’একটি সীমান্তবর্তী রাষ্ট্র তাদেরকে সেল্টার দিত। এসব বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন করার জন্য ভারতকে এই ৭টি রাজ্যে প্রায় ৪ লাখ সৈন্য মোতায়েন রাখতে হতো। বাংলাদেশ সরকার এদের বড় বড় নেতাদের ভারতের হাতে তুলে দেয় এবং ভারতীয় বাহিনীর তাড়া খাওয়ার পর বাংলাদেশে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। ১৭ বছর পরে উলফার অন্যতম শীর্ষ নেতা অনুপ চেটিয়াকে ভারতের নিকট হস্তান্তর করা হয়। এইভাবে বাংলাদেশ ভারতের ৭টি রাজ্য অর্থাৎ উত্তর-পূর্ব ভারতের বিরাট একটি অঞ্চলে বিচ্ছিন্নতা আন্দোলন দমনে সহায়তা করে। এভাবে ভারতের স্বাধীনতা এবং ভৌগোলিক অখন্ডতা রক্ষায় বাংলাদেশ যে অবদান রাখে সেটি প্রধানমন্ত্রীর কথায় ভারতের জীবনেও ভোলার কথা নয়। ভারতও ঐ ৪ লক্ষ সৈন্য প্রত্যাহার করে চীন ও পাকিস্তান সীমান্তে মোতায়েন করে।
চার
বাংলাদেশের চার ধার ভারতীয় সীমান্ত হওয়া যেমন বাংলাদেশের জন্য একটি মাইনাস পয়েন্ট, তেমনি ভারতের পশ্চিম ও উত্তর পশ্চিমাঞ্চল এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে স্থল পথে সরাসরি কোনো সংযোগ নাই। এটি ভারতের একটি মাইনাস পয়েন্ট। ভারতে পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে বাংলাদেশ। ভারতের পশ্চিমাঞ্চল থেকে পূর্বাঞ্চলে সরাসরি যোগাযোগের কোনো পথ নাই। একমাত্র পথ হলো বাংলাদেশ। পশ্চিমবঙ্গ থেকে আগরতলা বা নাগাল্যান্ড, মিজোরাম অথবা আগরতলা থেকে কলকাতা যাতায়াত করতে হয় তাহলে তাদের একমাত্র পথ হলো শিলিগুড়ি করিডোর। এটি মাত্র ২৭ কিলোমিটার বা ১৭ মাইল চওড়া। শিলিগুড়ি করিডোরের অপর নাম চিকেন নেক। শিলিগুড়ি করিডোরের পশ্চিমে নেপাল, পূর্বে ভুটান এবং উত্তরে সিকিম। এই শিলিগুড়ি করিডোরের পাশেই রয়েছে অত্যন্ত স্পর্শকাতর চুম্বিভ্যালী। চুম্বিভ্যালী পার হয়ে মাত্র ১৭ মাইল শিলিগুড়ি করিডোর দখল করলে ভারতের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। গণচীন ১৯৬২ সালের চীন-ভারত যুদ্ধে এই ঘটনাটি ঘটিয়েছিলো। চুম্বিভ্যালী পার হয়ে তারা চিকেন নেক দখল করে আসামের তেজপুর পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছিলো।
শিলিগুড়ি করিডোর বা চিকেন নেকের অসাধারণ স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব ছাড়াও রয়েছে অসাধারণ অর্থনৈতিক গুরুত্ব। ভারতের পশ্চিম থেকে পূর্বে বা পূর্ব থেকে পশ্চিমে যেতে হলে সোজা উত্তর দিয়ে শিলিগুড়ি পার হয়ে পশ্চিমে যেতে হয় অথবা সোজা উত্তরে উঠে শিলিগুড়ি করিডোর পার হয়ে পূর্বে নামতে হয়। এর ফলে তাদের পরিবহনের সময় লাগে প্রায় ১৪ ঘণ্টা এবং পাড়ি দিতে হয় প্রায় ১২ শত মাইল পথ। এই পরিবহনের ক্ষেত্রে বিরাট অন্তরায়ের জন্যই ভারতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই সাতটি রাজ্য অন্যান্য অংশের তুলনায় অনুন্নত ছিলো।
ভারতের এতবড় বাধা দূর করেছে বাংলাদেশ। পশ্চিমাঞ্চল থেকে পূর্বাঞ্চলে যেতে ভারতকে করিডোর তথা ট্রানজিট হিসাবে বাংলাদেশকে ব্যবহার করতে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে ভারতের সামনে বিরাজমান বিদেশি রাষ্ট্রের সামরিক হুমকি যেমন অনেক কমে গেল, তেমনি পরিবহন ক্ষেত্রেও সময় এবং দূরত্ব তিন ভাগের দুই ভাগ কমে গেল। এখন কলকাতা থেকে বাংলাদেশ হয়ে আগরতলা যেতে হলে ভারতের সময় লাগে ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা এবং দূরত্ব অতিক্রম করতে হয় সর্বোচ্চ ৩৫০ মাইল। ১৯৪৮ সাল থেকে ভারত এই সুবিধা চেয়ে আসছিল। কিন্তু বিগত ৬০ বছরে তাদেরকে সেই সুবিধা দেওয়া হয়নি। বিগত ৪৫ বছর ধরে তারা ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করার আবদার করে আসছিলো। এতদিন পর সেটাও দেওয়া হয়েছে।
অথচ বাংলাদেশ ভারতের যে এতবড় বিরাট উপকার করলো তার কোনো মূল্য দিলো না ভারত। বরং বাংলাদেশের মানুষকে উইপোকা বললো। বললো, বাংলাদেশিরা নাকি নিরন্ন। খেতে পায় না। কৃতজ্ঞতার বিপরীত শব্দ হলো কৃতঘ্নতা। বাংলাদেশকে বাধ্য হয়ে বলতে হবে যে, ভারত সামান্যতম কৃতজ্ঞতারও পরিচয় দেয়নি। আর আমাদের তথাকথিত প্রগতিবাদীরা? মুক্তমনারা? ভারত বাংলাদেশকে গরু মেরে জুতা দান করছে। তারপরেও বাংলাদেশের ভারতপ্রেমীদের মুখে কোনো রা নাই। ওরা শুধু ভারতের কাছে ওদের দেহই বিক্রি করেনি, আত্মাও বিক্রি করেছে।
Email: [email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।