গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
একসঙ্গে এত মৃত্যু আগে দেখেনি রায়েরবাজার কবরস্থান কর্তৃপক্ষ। দিন যত যাচ্ছে মৃত্যু ততই বাড়ছে। করোনায় মৃত্যুর সারি দীর্ঘ হওয়ায় বাড়তি চাপ পড়েছে কবরস্থানে কর্মরত ব্যাক্তিরা। একসঙ্গে করোনায় এতো মৃত্যু প্রথম ঢেউ এর সময়ও দেখা যায়নি। হাতে কবর খুঁড়ে কুলাতে না পেরে এখন মেশিনে কবর খুঁড়ছে রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থানের কর্মীরা।
সরেজমিনে রায়েরবাজার কবরস্থানে গিয়ে দেখা যায়, সারি সারি তিন হাত মাটির কবর। লাশবাহী গাড়িগুলো সাইরেন বাজিয়ে একে একে ঢুকছে। রায়ের বাজার কবরস্থানে এমন চাপ আগে দেখেননি কর্মীরা। কোভিড-১৯ এ মারা যাওয়ার পর দাফনের জন্য নির্ধারিত এই কবরস্থানে এপ্রিলের শুরু থেকেই চাপ বাড়তে থাকে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে করোনায় আক্রান্ত জামাতা ও শ্বশুরের লাশ দাফন করতে এসেছেন স্বজনরা। এ পরিবারের ২৫ সদস্য কোভিড এ আক্রান্ত। করোনায় প্রিয়জনকে হারানো আরও অনেক স্বজনকে দেখা গেল কবরস্থানে।
এ সমস্যার বিষয়ে কবরস্থানের কর্মী হুমায়ুন জানান, আগে এমন ছিল না। ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে হঠাৎ করে এখন বেশি লাশ আসছে। করোনায় মৃত্যু বাড়ায় প্রতিদিন কবর খুড়তে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি। তাই হাতের বদলে মেশিনে কবর খুড়তে হচ্ছে।
এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ প্রথমটির চেয়েও প্রাণঘাতী। লকডাউনে সবাই যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে দুই সপ্তাহ পর হয়তো সংক্রমণ কিছুটা কমবে। তবে মৃত্যুহার কমতে আরও সময় লাগবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।