Inqilab Logo

সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

ওদের কেউ নেই

জাকের উল্লাহ চকোরী, কক্সবাজার থেকে : | প্রকাশের সময় : ১৯ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

তিন বছর আগে লবণ চাষি মো. ইসমাইল মাঠ থেকে বাড়িতে এসে মৃত্যুবরণ করেন। গত সপ্তাহের আগে এতিম তিন শিশু কন্যার একমাত্র মা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেন। এতে এতিম হয়ে গেল এ দম্পতির ঘরের তিন শিশু কন্যা।
কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ইউনিয়নের মা-বাবা হারানো তিন শিশু কন্যাদের যেন অক‚ল পাথার পড়েছে। পরিবারে এখন আর কেউ নেই তাদের। আত্মীয়স্বজনেরাও গরীব। এ অবস্থায় ওই তিন শিশুর ভরণপোষণের কী হবে, তা নিয়ে ভেবে আকুল হচ্ছেন স্বজন ও প্রতিবশিরা। ওই তিন শিশু কন্যারা হলেন, মাইমুনা আক্তার, তানিয়া সোলতানা ও বাপ্পী। তাদের বাবার নাম মো. ইসমাইল ও মা রুপা আক্তার। বাড়ি লেমশীখালী ইউনিয়নের ওয়ার্ড নং ৪, আলী বাপের গ্রাম। শিশুরা বাবা-মাকে হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। সব সময় অসহায় দৃষ্টিতে মানুষের দিকে তাকিয়ে থাকে তারা। এ দৃশ্য দেখে অনেকে আপ্লুত হয়ে পড়ছেন। আর স্বজনরা তাদের নিয়ে দুচিন্তায় রয়েছেন। তিন শিশু কন্যায় এখন দাদী নুরুন্নাহার জিম্মায় রয়েছে।
প্রতিবেশীরা জানান, মো. ইসমাঈল ও রূপা আক্তার খুবই দরিদ্র। লবণ চাষি ছিলেন মো. ইসমাঈল। আত্মীয়স্বজনরাও দরিদ্র। মো. ইসমাঈল ও রূপা আক্তার মারা যাওয়ায় তাদের তিন শিশু সন্তানের ভরণপোষণ ও দেখাশোনা করার মতো অবস্থা কারও নেই। এব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আমজাদ হোসেন জানান, এতিম তিন শিশু কন্যাদের ব্যাপারে আগে কেউ বলেনি। আগামীতে নতুন কোন সুযোগ হলেই অবশ্য তাদেরকে ব্যবস্থা করে দেয়া হবে বলে জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: এতিম

১৯ এপ্রিল, ২০২১
৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ