Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আমরা যুদ্ধে জিতেছি হেরেছে আমেরিকানরা

আফগানিস্তানে তালেবান যা বলছে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০২ এএম

উত্তরের মাজার-এ-শরীফ শহর থেকে তালেবান নিয়ন্ত্রিত এলাকায় গাড়িতে পৌঁছতে সময় লাগে মাত্র ৩০ মিনিটের মত। বোমা বিস্ফোরণে রাস্তার ওপর তৈরি বড় বড় গভীর গর্ত পেরিয়ে তালেবান নিয়ন্ত্রিত বালখ্ জেলায় পৌঁছতে আমাদের স্বাগত জানালেন হাজি হেখমাত, ওই এলাকায় তালেবানের ছায়া মেয়র।
মাথায় কালো পাগড়ি, গায়ে আতরের খুশবু- দলের প্রবীণ সদস্য হেখমাত তালেবানে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৯০-এর দশকে, যখন দেশের বেশিরভাগ এলাকায় তারা তাদের শাসন কায়েম করেছিল। তালেবান আমাদের দেখাল তাদের এখনো কতটা পরাক্রম। রাস্তার দুই পাশে সারি দিয়ে দাঁড়ানো ভারী অস্ত্রে সজ্জিত তাদের সদস্যরা। একজনের হাতে রকেট চালিত গ্রেনেড উৎক্ষেপক, আরেকজনের হাতে আমেরিকান বাহিনীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া এম-ফোর বন্দুক।

বালখ্ একসময় দেশের অপেক্ষাকৃত স্থিতিশীল একটি এলাকা ছিল। এখন এটি দেশের অন্যতম সবচেয়ে সহিংস এলাকা। স্থানীয় সামরিক কমান্ডার বারিয়ালাইয়ের নামে এলাকার সবাই খুবই ভীত সন্ত্রস্ত থাকে। তিনি বললেন, ‘সামনে মূল বাজারের ওখানেই সরকারি বাহিনী রয়েছে। কিন্তু তারা তাদের ডেরা থেকে বের হতে পারে না। এই এলাকার মালিক হল মুজাহেদীনরা।’

আফগানিস্তানের বেশিরভাগ অংশের চিত্র একইরকম। সরকার শহর এবং বড় বড় শহরতলীগুলো নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু তাদের চারপাশ ঘিরে রয়েছে তালেবান। আশপাশের বিস্তীর্ণ গ্রাম এলাকা জুড়ে রয়েছে তালেবানের নিয়ন্ত্রণ। প্রধান সড়কগুলোয় বিক্ষিপ্ত চৌকিতে তালেবান জঙ্গিরা তাদের উপস্থিতি জানান দেয়। তালেবান সদস্যরা গাড়ি থামায়। যাত্রীদের প্রশ্ন করে এবং বুঝিয়ে দেয় এই এলাকায় কর্তৃত্ব তাদেরই। তালেবানের গোয়েন্দা বিভাগের স্থানীয় প্রধান আমীর সাহিব আজমল আমাদের বললেন, তারা খোঁজ নিয়ে জানতে চেষ্টা করে সরকারের সাথে কাদের যোগাযোগ আছে। আমরা খোঁজ পেলে তাদের গ্রেফতার করব, বন্দী করব। তারপর আমাদের আদালতে তাদের সোপর্দ করব। তারাই ঠিক করবে এরপর তাদের ভাগ্যে কী আছে।

তালেবান মনে করে তারাই জয়ী হয়েছে। গ্রিন টি’র পেয়ালা হাতে নিয়ে হাজি হেখমাত ঘোষণা করলেন, ‘আমরা যুদ্ধে জিতেছি, হেরেছে আমেরিকানরা।’ আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আফগানিস্তান থেকে শেষ মার্কিন সৈন্যদের প্রত্যাহারের তারিখ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পিছিয়ে দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর অর্থ হল, সেখানে মার্কিন সেনারা মে মাসের পরও থাকছে।

গত বছর ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তালেবানের চুক্তি হয়েছিল যে ১ মে’র মধ্যে সব সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। বাইডেনের সিদ্ধান্তে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তালেবানের রাজনৈতিক নেতৃত্ব। তার পরও তালেবানের মনোবল চাঙ্গা রয়েছে। হাজি হেখমাত বললেন, আমরা সব কিছুর জন্য প্রস্তুত। আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত এবং জিহাদের জন্যও পুরো তৈরি। এ সময় হেখমাতের পাশে বসা একজন সামরিক অধিনায়ক বললেন, ‘জিহাদ ধর্মাচরণেরই অংশ। আল্লাহর পথে সংগ্রাম, আপনি যতই করুন না কেন, কখনই ক্লান্ত হবেন না।’
গত বছর তালেবানের ‘জিহাদ’ নিয়ে আপাতদৃষ্টিতে কিছু পরস্পর-বিরোধিতা দেখা গেছে। আমেরিকার সাথে চুক্তি সই করার পর তারা আন্তর্জাতিক বাহিনীর ওপর হামলা চালানো থেকে বিরত ছিল। কিন্তু আফগান সরকারের সাথে লড়াই তারা থামায়নি। হাজি হেখমাত অবশ্য কোনরকম পরস্পর-বিরোধিতার কথা আদৌ স্বীকার করেন না। আমরা চাই ইসলামী সরকার যা শরিয়া আইন মোতাবেক দেশ শাসন করবে। আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত আমরা জিহাদ অব্যাহত রাখব।

তালেবান আফগানিস্তানের অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে ক্ষমতার ভাগাভাগিতে আগ্রহী কি না? এ প্রশ্নের উত্তরে হাজি হেখমাত কাতারে দলের রাজনৈতিক নেতৃত্বের কথা উল্লেখ করে বললেন, ‘তারা যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা মেনে নেব।’
তালেবান নিজেদের শুধু একটা বিদ্রোহী গোষ্ঠী বলে মনে করে না। মনে করে তারা সরকারের দায়িত্ব নেবার অপেক্ষায় একটি দল। তারা নিজেদের ‘ইসলামিক আমিরাত অফ আফগানিস্তান’ বলে উল্লেখ করেন। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতার দখল নেবার পর এই নামই তারা ব্যবহার করতেন। ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর হামলার পর তাদের আফগানিস্তানের ক্ষমতা থেকে উৎখাত করা হয়।

এখন তারা একটা আধুনিক ‘ছায়া’ সরকারের কাঠামো গড়ে তুলেছে। তারা যেসব এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে, সেসব এলাকায় বিভিন্ন দৈনন্দিন সেবার দায়িত্ব সুনির্দিষ্টভাবে তাদের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
তালেবান মেয়র হাজি হেখমাত আমাদের এলাকা ঘুরিয়ে দেখালেন। আমাদের দেখালেন একটি প্রাথমিক স্কুল। সেখানে জাতিসংঘের দান করা বই নিয়ে লেখাপড়া করছিল অল্পবয়সী ছেলে ও মেয়েরা। ১৯৯০ দশকে ক্ষমতায় থাকাকালীন তালেবান নারী শিক্ষা নিষিদ্ধ করেছিল। যদিও সেকথা তারা প্রায়ই অস্বীকার করে। এমনকি এখনো অন্যান্য এলাকায় একটু বেশি বয়সী মেয়েদের ক্লাস করার অনুমতি দেয়া হয় না বলে খবরে শোনা যায়। কিন্তু অন্তত এই এলাকায়, তালেবান বলছে, তারা সক্রিয়ভাবে নারী শিক্ষায় উৎসাহ দিচ্ছে।

তালেবানের স্থানীয় শিক্ষা কমিশনের দায়িত্বে থাকা মওলাওয়ি সালাহউদ্দীন বললেন, ‘তাদের লেখাপড়া শেখা গুরুত্বপূর্ণ। তারা হিজাব পরলে কোন সমস্যা নেই। মাধ্যমিক স্কুলে নারী শিক্ষিকার পড়ানোর অনুমতি রয়েছে, তবে তার হিজাব পরা বাধ্যতামূলক। তারা শরিয়া মানলে কোন সমস্যাই নেই।’ স্থানীয় সূত্রগুলো আমাদের বলেছে যে, তালেবান পাঠ্যক্রম থেকে শিল্প এবং নাগরিকত্ব বিষয়ক ক্লাসগুলো বাদ দিয়েছে। সে জায়গায় ইসলামি বিষয়ে ক্লাস নেয়া হচ্ছে। এছাড়া জাতীয় পাঠ্যক্রম মেনেই ক্লাস চালানো হচ্ছে।

সালাহউদ্দীন বলেন, তালেবান নিজেদের কন্যাকে কি স্কুলে পাঠায়? আমার মেয়ে খুবই ছোট, কিন্তু সে একটু বড় হলে আমি তাকে স্কুলে এবং মাদ্রাসায় পাঠাব। যদি সেখানে শরিয়া মানা হয় এবং হিজাব পরতে দেয়া হয়। সেখানে কর্মীদের বেতন দেয় সরকার। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ তালেবানের হাতে। সারা দেশ জুড়ে দুটি ধারার পদ্ধতি চলছে।

কাছেই ত্রাণ সংস্থা পরিচালিত একটি স্বাস্থ্য ক্লিনিকেও একই ব্যবস্থা চলছে। তালেবান নারী কর্মীদের কাজ করতে দিচ্ছে। কিন্তু রাতের বেলা তাদের সাথে একজন পুরুষ অভিভাবক থাকা আবশ্যক। নারী ও পুরুষ রোগীদের আলাদাভাবে দেখা হয়। তবে জন্মনিয়ন্ত্রণ এবং পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ে তথ্য চাইলেই পাওয়া যায়। তালেবান অবশ্যই চেয়েছে যে আমরা যেন তাদের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে দেখি।

স্কুল থেকে ঘরে ফেরা এক ঝাঁক স্কুল ছাত্রী যখন আমাদের গাড়ির পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল, তখন হাজি হেখমাত বেশ উত্তেজিত ভঙ্গিতে তাদের হাত নাড়লেন। আমাদের বলার চেষ্টা করলেন- আমরা যা দেখব বলে আশা করেছিলাম বাস্তব সেটা নয়। তবে নারী অধিকার নিয়ে তালেবানের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে উদ্বেগ এখনো রয়ে গেছে। তাদের দলে কোন নারী প্রতিনিধিত্ব নেই। ১৯৯০ দশকে নারীদের ঘরের বাইরে কাজ করার অনুমতি ছিল না।
বালখ্ জেলার গ্রামগুলোর ভেতর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যাবার সময়, আমাদের চোখে পড়ল অনেক নারী। তাদের অনেকেই বোরকা না পরেই ঘোরাফেরা করছিলেন। তবে স্থানীয় বাজারে কোন নারী দেখলাম না। হাজি হেখমাত জোর দিয়ে বললেন, তাদের বাজারে যাবার ওপর কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। তবে রক্ষণশীল সমাজে মেয়েরা সাধারণত বাজারে যায় না।

আমাদের ঘোরাফেরার সময় তালেবান সদস্যরা সাথে সাথে ছিলেন। যে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার সাথে আমাদের কথা হয়েছে, তারা সকলেই বলেছেন তারা তালেবানকেই সমর্থন করেন। তারা বলেছেন নিরাপত্তা এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে তালেবান যেভাবে কাজ করেছে তাতে তারা কৃতজ্ঞ।
প্রবীণ এক বাসিন্দা বলেন, ‘সরকার যখন এলাকা নিয়ন্ত্রণ করত, তখন আমাদের লোকজনকে তারা জেলে পুরতো। তাদের ছাড়িয়ে আনার জন্য ঘুষ দাবি করত। আমাদের মানুষ প্রচুর ভোগান্তির শিকার হয়েছে। এখন আমরা অনেক স্বস্তিতে আছি।’

তালেবানের চরম রক্ষণশীল মূল্যবোধের সাথে বেশিরভাগ গ্রামীণ এলাকায় কোন সঙ্ঘাত নেই। কিন্তু বিশেষ করে অনেক শহর এলাকায় এমন একটা আশঙ্কা রয়েছে যে, তারা ১৯৯০ দশকে যে কট্টর ইসলামিক আমিরাত প্রতিষ্ঠা করেছিল, ক্ষমতায় এলে সেটা তারা আবার ফিরিয়ে আনবে। বহু তরুণ গত দুই দশক ধরে যে স্বাধীন পরিবেশে বড় হচ্ছিল তারা সেই স্বাধীনতা হারাবে বলে তাদের আশঙ্কা রয়েছে।

একজন স্থানীয় বাসিন্দা পরে আমাদের সাথে কথা বলেন তার নাম পরিচয় গোপন রাখার শর্তে। তিনি আমাদের বলেন, তালেবান আমাদের সাথে সাক্ষাৎকারে যা বলেছে, বাস্তবে তারা তার চেয়ে অনেক বেশি কট্টর। দাড়ি কাটার কারণে তারা গ্রামবাসীদের চড় মেরেছে, বা মারধর করেছে, বা গানবাজনা শোনার জন্য তারা স্টিরিও সেট ভেঙে দিয়েছে। তাদের কথা শোনা ছাড়া মানুষের কাছে আর কোন বিকল্প নেই। এমনকি ছোটখাট ব্যাপারেও তারা গায়ে হাত তোলে। মানুষ ভয় পায়।

হাজি হেখমাত ১৯৯০ দশকে তালেবানের অংশ ছিলেন। তালেবানের তরুণ যোদ্ধারা আমাদের সাথে যদিও খোলামেলা ভাবে মিশছিল এবং ছবি ও সেলফি তুলছিল খোলা মনে। কিন্তু হেখমাত প্রথমদিকে আমাদের ক্যামেরা দেখেই পাগড়ি দিয়ে তার মুখ ঢেকে ফেললেন। তারপর হেসে বললেন পুরনো অভ্যাস। পরে আমাদের ছবি তুলতে বাধা দেননি। তালেবানের পুরনো শাসনামলে ছবি তোলা নিষিদ্ধ ছিল। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম, আগে ক্ষমতায় থাকাকালীন তারা কোন ভুল করেছিলেন? আবার ক্ষমতায় এলে তারা কি একই ভাবে কাজ করবেন?
হেখমাত বললেন, তালেবান আগে যেমন ছিল, এখনও ঠিক তেমনই আছে। তুলনা করতে চাইলে বলব কিছুই বদলায়নি। তবে, অবশ্যই ব্যক্তি বদলেছে। তাদের কেউ আগের চেয়েও কঠোর, কেউ আগের চেয়ে নরম। এটাই তো স্বাভাবিক।

যে ‘ইসলামিক সরকার’ তারা গড়তে চান, সেটা বলতে তারা কী বোঝাচ্ছেন। সে বিষয়ে তালেবান ইচ্ছাকৃতভাবেই কিছুটা অস্পষ্টতা দেখালেন। কিছু বিশ্লেষক এটাকে দেখছেন, দলের ভেতর কট্টরপন্থী এবং কিছুটা উদারপন্থীদের মধ্যে অন্তর্দ্ব›দ্ব হিসাবে। দল কী দুই ধরনের মতাদর্শের সহাবস্থান মেনে নিতে পারবে? ক্ষমতায় গেলেই সেটা দলের জন্য একটা বিরাট পরীক্ষা হয়ে দাঁড়াবে বলে তারা মনে করছেন।

আমরা দুপুরে খেতে বসে শুনলাম দূর থেকে অন্তত চারটে বিমান হামলার শব্দ। হেখমাত বললেন, ‘ওটা অনেক দূরে, চিন্তার কারণ নেই।’ আমেরিকান বাহিনী তালেবানের অগ্রযাত্রা ঠেকিয়ে রাখতে গত কয়েক বছর তাদের বিমান শক্তি ব্যবহার করেছে। যদিও গত বছর তালেবানের সাথে চুক্তি সই করার পর থেকে আমেরিকা তার সামরিক অভিযান উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমিয়ে দিয়েছে। অনেকেরই আশঙ্কা আমেরিকান সৈন্য পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেয়ার পর তালেবান সামরিক পথে দেশের ক্ষমতা গ্রহণ করবে।

হাজি হেখমাত বলেন, আফগানিস্তানের সরকার, যাকে তালেবান ‘কাবুল প্রশাসন’ বলে উল্লেখ করে, তারা দুর্নীতিবাজ এবং অ-ইসলামিক। তার মত তালেবান নেতারা আফগানিস্তানের বর্তমান প্রশাসনের সাথে কতটা আপোষ করতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ আছে, যদি না তালেবানের শর্ত সরকার মেনে নেয়।
হেখমাতের পরিস্কার বক্তব্য, এটা জিহাদ, এটাই ধর্মপালন। আমরা ক্ষমতার জন্য লড়ছি না, আল্লাহ এবং তার বিধান কায়েমের জন্য লড়ছি। আমরা এই দেশে শরিয়া প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমাদের পথে যেই বাধা সৃষ্টি করবে, আমরা তার বিরুদ্ধে লড়ব। সূত্র : বিবিসি বাংলা।



 

Show all comments
  • শাহাদাত সাদমান ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৭ এএম says : 1
    আফগানিস্তানে-ইরাকে মুসলমানদের উপর যে জুলুম আমেরিকা করেছিল, তার প্রতিশোধ তালেবান নিতে পারবে কী?
    Total Reply(0) Reply
  • Mizan Mahmud ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৭ এএম says : 1
    ইরাকে প্রাণঘাতী পারমাণবিক অস্ত্র আছে বলে দাবি করে পুরো ইরাকে ধংস করে দিল পরবর্তীতে তার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নাই, কিন্তু ইসরায়েল এ পারমাণবিক অস্ত্র আছে সে কথা কেউ বলে নাই।
    Total Reply(0) Reply
  • Anamul Haque ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৮ এএম says : 1
    আমেরিকার অনৈতিক যুদ্ধের ফলাফল শুন্য এক লাদেন কে মারতে পুরো আফগান ধংস করলো মারা গেলা লক্ষ লক্ষ মানুষ এবং পরিশেষে লেজ গুটিয়ে যেতে হচ্ছে আর তালেবানদের আরও সংস্কার করা উচিত তাদের অনেক নিতি বর্তমান বাস্তবত সম্মত নয় ।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Maruf Billah ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৮ এএম says : 1
    আফগানিস্তান হয়ে উঠুক মধ্য এশিয়ার একটি শান্তিপূর্ণ, সুখী সমৃদ্ধ দেশ। ইসলামী মূল্যবোধ ও পারস্পরিক সহাবস্থানের মধ্যে দিয়ে প্রকৃত অর্থে একটি জনগণের নেতৃত্ব দেশটি পরিচালনা করুক! নিজেদের মধ্যে বিরোধ মিটিয়ে তারা হয়ে উঠুক ঐক্যবদ্ধ জাতি। এই দোয়া ও শুভকামনা
    Total Reply(0) Reply
  • Belal Hossain ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ১২:৫৯ এএম says : 1
    সত্য সব সময় সত্য। তালেবান কে ধ্বংস করা জন্য কত চক্রান্ত হয়েছে, কিন্তু মহান আল্লাহ তালেবান কে বিজয় দান করেছে।তালেবান কে ধ্বংস করা জন্য আল কায়েদা পরে আইএস সৃষ্টি করা হয়েছিল কিন্ত লাভ হয়নি।আল কায়েদ আর আইএস হল জঙ্গি গোষ্ঠী আর তালেবান হল মুক্তিকামী স্বাধীনতা কামী সংগঠন। জয় হোক মানবতার।
    Total Reply(0) Reply
  • It'z Shagor ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ১:০০ এএম says : 1
    তালেবান আসলে জঙ্গি সংগঠন নয় । আমেরিকা অন্যায় ভাবে তালেবান সরকারের উপর হামলা ও অত্যাচার শুরু করে । তারই পাল্টা আঘাত হিসেবে আমেরিকান সেনাদের উপর তালেবান হামলা করে । আমেরিকান প্রায় ২ হাজারের বেশি সেনা নিহত হয় । মূলত তালেবানকে দমানোর জন্য তাদেরকে জঙ্গি ঘোষনা করে । ২০ বছর পর আমেরিকা বুঝতে পেরেছে তারা মোটেও জঙ্গি নয় ।
    Total Reply(0) Reply
  • Tawhidul Islam ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ১:০০ এএম says : 1
    অবশ্যই তালেবানরা বিজয়ী।এখন তাদের দরকার ইসলামের মধ্যপন্থার দিক অনুসরণ করে সেই অনুযায়ী উদারতার সাথে শাসন করা।
    Total Reply(0) Reply
  • Môhâmmâd Âbû Sâêêd ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ১:০০ এএম says : 1
    আফগানদের জন্য ভালোবাসা রইলো। এখন আশা করি সন্ত্রাসী কার্যকালাপ হবে না। শান্তিতে থাকুক আফগানরা।
    Total Reply(0) Reply
  • Mahedi Hasan ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ১:০১ এএম says : 1
    মানে ২০ বছর ধরে আমেরিকা, রাশিয়া হাজার হাজার নিরপরাধ আফগানদের নির্বিচারে হত্যা করল, সমস্ত খনিজ সম্পদ চুরি করে নিঃস্ব করল এতে তারা কেউ জঙ্গি হইলো না, আর যখন আফগানেরা তাদের প্রতিরোধ করতে গেল, নিজের দেশকে রক্ষা করতে গেল, তখন তারা জঙ্গি হয়ে গেল , বাহ বুদ্ধি প্রতিবন্দী আর মুনাফিকের দল বাহ !!!!!
    Total Reply(0) Reply
  • Sawrab Chowdhury ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ১:০১ এএম says : 1
    তালেবানরা তো মুক্তিযোদ্ধা। ওনাদের সাথে শান্তি চুক্তির সময় আমেরিকার তাদের এই খেতাব দিয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • MD BILLAL HUSSAN ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ১:০১ এএম says : 1
    কিছু কিছু সুশীলরা বলে বাংলাদেশ নাকি আফগানিস্তান হয়ে যাবে,,।। আরে ভাই থামেন, যেখান থেকে বিশ্বের সর্বোচ্চ শক্তিধররা লেজ গুটিয়ে পালায় এমন আফগানিস্থান হওয়াটাও গর্বের ব্যাপার,,।।
    Total Reply(1) Reply
    • farhan ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ৯:৩৬ এএম says : 0
  • শামসুল আলম ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ৮:১৩ এএম says : 0
    মুসলিম যখন মসজিদ মুখী ছিল তখন তারা ছিল শাসক আর মুসলিম যখন বাজার মুখি তখন শাসিত হে আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক হেদায়েত দান করুন আমীন
    Total Reply(0) Reply
  • শাব্বির আহমদ ১৭ এপ্রিল, ২০২১, ১১:০৬ এএম says : 0
    আল্লাহ যেন আবার আফগানিস্তানে পূর্ণ শরীয়ত সম্মত ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠা করেন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আফগানিস্তান


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ