কেন্দ্রিয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর
বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু বলেছেন,
বিএনপি নেতা বাবুল কাজি হত্যার বিচার খুলনার মাটিতেই হবে। পুলিশ প্রশাসনের যারাই এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তাদের আইনের মুখোমুখি হতে হবে। খুলনার পুলিশ প্রশাসন তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব ভুলে আওয়ামী ক্যাডারে পরিণত হয়েছে। তারা
বিএনপি নেতা বাবুল কাজিকে হত্যা করেছেন।
২৯ মার্চ পুলিশের পিটুনিতে মারাত্মক আহত
বিএনপি নেতা বাবুল কাজি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার রাতে মৃত্যুবরন করেন। সোমবার দুপুরে
বিএনপি নেতা বাবুল কাজির মরদেহ সামনে রেখে হত্যার বিচার দাবি করলে মঞ্জু নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, অস্ত্রের মুখে কেউ চিরদিন ক্ষমতায় থাকতে পারেনি,
শেখ হাসিনাও পারবেন না। ভিডিও ফুটেজ দেখলেই খুনিদের খুঁজে বের করা সম্ভব। কারা নির্দেশ দিয়েছেন; কারা তাকে রক্তাক্ত করেছেন, কারা তাকে হত্যা করেছেন। মঞ্জু বলেন, আদালতে মামলা করবো বিচারের দাবিতে। জানিনা এ সরকারের আমলে বিচার পাবো কিনা। তবে বাবুল কাজি হত্যার বিচার হবেই খুলনার মাটিতে। সভা সমাবেশ করা আমাদের সাংবিধানিক অধিকার কিন্তু খুলনার পুলিশ প্রশাসন গত ২৯ মার্চের কর্মসুচিতে বাধা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি। অতি উৎসাহি কিছু সংখ্যাক পুলিশ সদস্য
বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অর্তকিত হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ২০জন নেতাকর্মীকে রক্তাক্ত করেছেন। বাবুলের মৃত্যুর শোককে শক্তিতে পরিনত করে হাসিনা হটাও আন্দোলন জোরদার করার আহবান জানান মঞ্জু।
সোমবার দুপুর ১২ টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে বাবুল কাজির মরদেহ আসলে এক হৃদয় বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়। নেতাকর্মীদের অশ্রুসজল চোখে বাবুল কাজির মরদেহে দলীয় পতাকা ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন জেলা
বিএনপির সভাপতি এড. শফিকুল আলম মনা, নগর
বিএনপির
সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনি, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম। পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মরহুমের প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। দলীয় নেতাকর্মীদের অংশগ্রহনে জানাজা শেষে মরহুমের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার বাসভবনে। বাদ জোহর দক্ষিন মোল্লাপাড়া জামে মসজিদে মরহুমের দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে হাজী মালেক কতবরস্থানে মরহুমের দাফন সম্পন্ন করা হয়।