Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

উত্তেজনা সত্ত্বে ও নয়াদিল্লির সাথে যোগাযোগ ছিল

ইসলামাবাদে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০১ এএম

প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের পররাষ্ট্র দফতর জানালো যে, উত্তেজনা সত্ত্বে ও পাকিস্তান ও ভারত একে অপরের সাথে যোগাযোগ করেছিল। পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র জাহিদ হাফিজ চৌধুরী গত শুক্রবার তার সাপ্তাহিক নিউজ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘যুদ্ধের সময়ও যোগাযোগ অব্যাহত রাখার জন্য রাষ্ট্রগুলোর উপায় রয়েছে। সুতরাং, পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যে কোনো আলোচনা হচ্ছে তা গুরুত্বপূর্ণ নয়’, ‘গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হ’ল: এক, ভারতের সাথে পাকিস্তানের কথা বলা উচিত কিনা; দুই, উভয় পক্ষের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা করা উচিত; এবং তিন, অর্থবহ এবং ফলপ্রসু সংলাপের জন্য অনুক‚ল পরিবেশকে কী বলে’, চৌধুরী ব্যাখ্যা করেন।

তিনি পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে যে কোনো আলোচনার বিষয়ে একাধিক প্রশ্নের জবাব দিচ্ছিলেন। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ইসলামাবাদ সফরকালে এ ধারণা দিয়েছিলেন যে, দু’দেশের মধ্যে আলোচনা আবার শুরু হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তান কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে আলোচনার কথা স্বীকার করেনি বলে এগুলো অনেকের ভ্রু-উত্থান ঘটেছিল।

জানতে চাইলে মুখপাত্র আলোচনার বিষয়টি অস্বীকার করার পক্ষে অবস্থান নেননি। পরিবর্তে তার উত্তর একটি ধারণা দেয় যে, দুটি দেশ একে অপরের সাথে যোগাযোগ করেছে। দু’দেশের মধ্যে যোগাযোগের কোন পদ্ধতিটি ব্যবহার করা হয়েছিল তা মুখপাত্র উল্লেখ করেননি।
পর্যবেক্ষকরা বিশ্বাস করেন যে, ২৫ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ডিজিএমওদের মধ্যে সমঝোতা হওয়া চ্যানেল চেষ্টার ফলাফল হতে পারে। একে অপরের বিপরীতে ভারত ও পাকিস্তানের সুর ও টেনারেও দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে। ভারত ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে সা¤প্রতিক চিঠির আদান-প্রদানকেও স্বর নিম্নমুখী লক্ষণ হিসাবে দেখা গেছে।

‘আলোচনার কথা বলতে গেলে পাকিস্তান কখনই ভারতের সাথে আলোচনার সুযোগ হাতছাড়া করেনি এবং জম্মু-কাশ্মীর বিবাদসহ সব অসামান্য বিরোধের শান্তিপূর্ণ সমাধানের প্রয়োজনীয়তা বজায় রেখেছিল’।
‘আমরা বিশ্বাস করি যে, জম্মু ও কাশ্মীরের দীর্ঘস্থায়ী বিরোধ মীমাংসার জন্য এ অঞ্চলে টেকসই শান্তি, সুরক্ষা এবং উন্নয়ন ঝুলে রয়েছে’।

হাফিজ বলেছেন, ভারত পরিবেশকে বিরূপ করে দিয়েছে এবং দু’দেশের মধ্যে আলোচনার জন্য একটি সক্রিয় ও সহায়ক পরিবেশ তৈরির ভারতকেই নিতে হবে। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, হাই কমিশনারদের নিয়োগের বিষয়টি উদ্বেগের, এখনও তেমন কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বছরের শেষে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আঞ্চলিক সম্মেলনে ইসলামাবাদ সফর করবেন কিনা এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান সার্ক সম্মেলনের আয়োজক প্রস্তুত ছিল’ ‘কৃত্রিম প্রতিবন্ধকতা’ অপসারিত হয়েছে।

সব অসামান্য বিষয় সমাধানের জন্য পাকিস্তান ও ভারতের সরাসরি আলোচনার উচিত আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের বক্তব্য প্রসঙ্গে মুখপাত্র বলেন, এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা অর্জনে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা সম্পর্কিত বিষয়ে আমরা বিশ্বাস করি যে, এ অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতার ঝুঁকি প্রতিরোধে এবং জম্মু ও কাশ্মীর বিরোধের ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী সমাধানের সুবিধার্থে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব অনুসারে আন্তর্জাতিক স¤প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে’।
মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে মুখপাত্র বলেছেন, আফগানিস্তান থেকে ‘সুশৃঙ্খল’ এবং ‘দায়িত্বশীল’ বিদেশী সেনা প্রত্যাহার পাকিস্তান সমর্থন করেছে’। ‘আফগান শান্তি প্রক্রিয়া গত বছর উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। আমরা বিশ্বাস করি যে, আফগানিস্তানের শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক বন্দোবস্তের তার উল্লিখিত লক্ষ্য অর্জনের জন্য শান্তি প্রক্রিয়াতে যে অগ্রগতি হয়েছে তা বজায় রাখা এবং আরও গড়ে তোলা কঠিন’। মুখপাত্র বলেন, ‘সব দলকে একটি সমন্বিত, ব্যাপক ভিত্তিক এবং বিস্তৃত রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য একসাথে কাজ করতে হবে’। সূত্র : দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাকিস্তান-ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ