Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোযায় পানি শূন্যতা

| প্রকাশের সময় : ৯ এপ্রিল, ২০২১, ১২:০৭ এএম

রোযাতে পানি শূন্যতা প্রায়শঃ দেখা যায়। তার উপর এবারের রোযা অর্থাৎ রমজান মাস চলবে বৈশাখ মাস জুড়েই। তাই এখন থেকেই পানি শূণ্যতা প্রতিরোধে যত্নশীল হতে হবে। আমাদের শরীরে পানি ও লবণের ঘাটতি হয় অতিরিক্ত শ্বাস কার্যের মাধ্যমে, শরীরের ঘামে, পায়খানা ও প্রসাবে। পানি শূন্যতা নির্ভর করে আবহাওয়ার উপর, রোজা শুরুর আগে কি পরিমাণ পানি পান করেছি তার উপর, শারিরীক কার্যকারিতা ও বৃক্কের পানি এবং লবণ ধারনের ক্ষমতার উপর ।

“রোগ হতে না দেওয়া, রোগের চিকিৎসা থেকে সব সময় উত্তম।” যা হোক,যদি রোযা রাখার আগে ঠিক মত পানীয় পান না করা হয়, তাহলে পানি শূন্যতার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বয়স্ক ও যারা ডায়ইউরেটিক ওষুধ খান তাদের সম্ভাবনা আরো বেশী। পানি শুন্যতার কম বেশির উপর বিভিন্ন শারীরিক সমস্যাও নির্ভর করে। যেমন নিজের অসুস্থ্যতা বোধ, শক্তিহীন মনে হওয়া , মাংশপেশিতে ব্যথা, মাথা ঝিমঝিম করা, পারিপার্শিক অবস্থার সাথে সম্পর্ক হারানো এমন কি অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।

যদি মাথা ঝিমঝিমের কারণে আপনি দাঁড়াতে না পারেন, পারিপার্শিক অবস্থারতার সাথে সম্পর্ক হারান অর্থাৎ সময়, পরিচিত মানুষ বা স্থানকে বুঝতে না পারেন তা হলে তড়িঘড়ি পর্যাপ্ত পরিমাণ পানীয় গ্রহণের ব্যবস্থা করতে হবে। সেটা পানি, ওরস্যালাইন, ডাবের পানি বা চিনি লবণ সমৃদ্ধ যে কোন পানীয় হতে পারে। এর পরও কোন উন্নতি না হলে শরীরের শিরায় ইনফিউশন বা স্যালাইন নেয়ার জন্য ডাক্তারের শরনাপন্ন হতে হবে।
অতি অবশ্যই পূর্ণ সুস্থবোধ না করা পর্যন্ত এ অবস্থায় রোজা রাখা ঠিক হবে না।

প্রফেঃ ডাঃ এ,কে,এম, মোখলেছুজ্জামান
কনসালটেন্ট ইন্টারনাল মেডিসিন।
মোবাইলঃ০১৭৮৭৬৮৩৩৩৩



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোযা

২৫ এপ্রিল, ২০২১
৯ এপ্রিল, ২০২১

আরও
আরও পড়ুন