শেখ ফজলুল করিমের জীবন ও সাহিত্য
বাঙ্গালী মুসলমানদের লুপ্ত গৌরব ও ইতিহাস ঐতিহ্য নিয়ে যে কয়জন খ্যাতনামা মুসলিম সাহিত্যিক স্মরণীয় বরণীয়
আনোয়ারুল ইসলাম
কঠিন পথে হাঁটছি কেবল করছি তালাশ একটি মুখ
যে মুখপানে চাইলে আমার জুড়ায় হৃদয় রয় না দুখ।
লতায় ঘেরা গুলবাগিচায় স্বপ্ন ছড়ায় কোন্ সে জন
তার ইশারায় ছন্দে দুলি উথাল পাথাল হয় যে মন।
কল্পলোকের রঙিন ফানুস উড়ছে দ্বিধায় নিত্যদিন
কেউ জানে না কেউ বোঝে না জমছে কতো ব্যথার ঋণ।
আর কতোকাল শূন্য খেয়া বাইবো আমি পাল তুলে
দেয়া নেয়ার বৃথাই হিসাবÑ দ্বন্দ্ব ঘুঁচুক দ্বীল খুলে।
ফাগুন বলে আগুন জ্বলুক, বর্ষা বলে থামবো না
ভালোবাসার শিখর চুমি এই মাটিতে নামবো না
পাষাণ গুহায় পা রেখেও চাইছি কোমল আকাশ নীল
ধু-ধু মরুর বুকের চাতাল প্রেম সোহাগে মতির ঝিল।
দূরকে কাছে টানতে পারে চিত্তলোকের গুঞ্জনে
বালির প্রাসাদ সবাই ভাঙে, গড়ে কে আর আনমনে!
ললাট লিখন খ-াবে কে সাধ্যি আছে এমন কারÑ
তাই বুঝি কি সামনে হেঁটেও পিছন ফিরি বারংবার?
তোমার কাছে হাত পেতেছি বিফল যেন হয় না সাধ
ফুল না দিলেও দুঃখ তো নেইÑ কাঁটায় আছে তৃপ্তি, স্বাদ।
পিউ পাপিয়ার মাতাল সুরে ছিন্ন বীণায় সুর সাধি
পেলাম কি না খোঁজ রাখি না পাওয়ার নেশায় তাই কাঁদি।
কোথায় ছিলাম কোথায় এলাম আবার কোথায় থামবে রথ
আঁধার কেটে আলোর দিশা ফুটবে ঠিকই জাগবে পথ।
হয়তো সেদিন পাবোই দেখা খুঁজছি যে মুখ জীবন ভ’র
যার বিহনে দুঃখের সাগর দিলাম পাড়ি অনন্তর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।