মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ছেলের বিয়ের দিন জানতে পারলেন হবু পুত্রবধূ আসলে তার মেয়ে। পুত্রবধূর হাতে জন্মদাগ থেকে মহিলার মনে পড়ে গিয়েছিল, তার হাতের মুঠো থেকে ছিটকে যাওয়া একটা ছোট্ট হাত...সেখানেও যে ঠিক এমনই একটা দাগ ছিল! কালবিলম্ব না-করে ছুটে যান মেয়েটির মা-বাবার কাছে। জানতে চান, মেয়েটি কি তাদের প্রাকৃতিক সন্তান, নাকি বছর কুড়ি আগে তারা দত্তক নিয়েছিলেন কোনও শিশুকে?
এর পরের ঘটনাক্রম কোনও সিনেমার কাহিনির থেকেও চমকপ্রদ। তবে ৩১ মার্চ চিনের চিয়াংসু প্রদেশের সুচোউ শহরের সেই ঘটনার কথা জানতে হলে পিছিয়ে যেতে হবে দু’দশক। যে দিন এক মেলার ভিড়ে তার বছর তিনেকের মেয়েকে হারিয়ে ফেলেছিলেন ওই মহিলা। অনেক থানা-পুলিশ করেছেন। কিন্তু কোনও খোঁজ মেলেনি সন্তানের। তার পরে অনেক দিন পার হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি ঠিক হয় তার ছেলের বিয়ে। ভাবী পুত্রবধূর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল আগেই, কিন্তু তখন চোখে পড়েনি সেই জন্মদাগ। বিয়ের আসরে যখন চোখে পড়ল, তখন আর এক মুহূর্তও দেরী করেননি তিনি। মেয়ের মা-বাবাকে সটান প্রশ্ন করেন— ‘আপনাদের মেয়েকে কি দত্তক নিয়েছিলেন আপনারা?’
মহিলার কথা শুনে হতচকিত হয়ে যান সেই দম্পতি। হ্যাঁ, বছর কুড়ি আগে অনাথ আশ্রম থেকে শিশুটিকে নিয়ে এসেছিলেন বটে, কিন্তু সে কথা তো কেউ জানে না। এমনকি, মেয়ে নিজেও না। তা হলে? মেয়ের মা-বাবার উত্তর শুনে মহিলা বুঝতে পারেন— হবু পুত্রবধূ আর কেউ নয়, তার সেই অনেক দিন আগে হারিয়ে যাওয়া মেয়ে!
বিয়ের অনুষ্ঠান তখন লাটে উঠেছে। বর হতভম্ব। অতিথিদের মধ্যে ফিসফাস শুরু হয়ে গিয়েছে। আর হাউহাউ করে কাঁদছে মেয়েটি, হারানো মাকে ফিরে পেয়ে। কয়েক মিনিট পরে মেয়েটির হুঁশ ফেরে। এ বিয়ে তো তা হলে সম্ভব নয়। বর যে তার আপন বড় ভাই! তবে তাকে আশ্বস্ত করেন মা নিজেই। জানান, ছেলেটি তার প্রাকৃতিক সন্তান নন। মেয়েকে খুঁজে না-পেয়ে কিছু দিন পরে দত্তক নিয়েছিলেন এক বালককে। এই সে। ছেলেটিও অবশ্য জানত না যে সে দত্তক সন্তান। যে-হেতু দু’জনের মধ্যে কোনও রক্তের সম্পর্ক নেই, তাই এই বিয়েতেও বাধা নেই। আর কী! চার হাত এক করে মা বললেন— ‘কুড়ি বছর ধরে যে দুঃস্বপ্নের ভার বয়ে চলেছি, আজ তা থেকে মুক্ত হলাম।’ আর নববধূর সলাজ হাসি— ‘বিয়ে করে যত না আনন্দ হচ্ছে, তার থেকে অনেক বেশি খুশি হয়েছি মাকে খুঁজে পেয়ে।’ সূত্র: নিউইয়র্ক পোস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।