মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বাদশাহ আবদুল্লাহ ও সাবেক ক্রাউন প্রিন্স হামাজার মধ্যে বিরোধের জেরে সম্প্রতি তোলপাড় হয়েছে জর্ডানের রাজনীতি। এবার জর্ডানের প্রিন্স হামজা জানিয়ে দিলেন, তিনি বাদশাহর প্রতি সম্পূর্ণ অনুগত থাকবেন। মানবেন রাজকীয় ব্যবস্থাকেও।
প্রিন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি বাদশাহর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন। কিন্তু প্রিন্স হামজা একটি সই করা চিঠিতে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বাদশাহর এবং রাজকীয় ব্যবস্থাকে মেনে চলবেন। প্রিন্স হামজা লিখেছেন, ‘আমি নিজেকে বাদশাহর হাতে সমর্পণ করলাম। আমি আমার প্রিয় জর্ডানের সংবিধানের প্রতি বিশ্বস্ত থাকব। আমি বাদশাহ ও ক্রাউন প্রিন্সকে সমর্থন করে যাব। আমার দেশের স্বার্থ আমার কাছে সর্বোচ্চ। আমাদের সকলের উচিত বাদশাহর পাশে দাঁড়ানো। এবং জর্ডানকে রক্ষা করা এবং তার স্বার্থ দেখা।’
প্রিন্স হামজার আইনজীবী জানিয়েছেন, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা সফল হয়েছে। হামজা হলেন সাবেক ক্রাউন প্রিন্স। তিনি সোমবার রাজার কাকা প্রিন্স হাসান এবং অন্য রাজপুত্রদের সঙ্গে বৈঠক করেন। জর্ডানের রয়্যাল প্যালেস সোমবার জানিয়েছিল, রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ পরিবারের এক সদস্যকে বলবেন তার সৎ ভাই হামজার সঙ্গে আলোচনা করতে। তিনি এই দায়িত্ব তার কাকার উপর দেন। হামজার আইনজীবীও জানিয়েছেন, মধ্যস্থতা সফল হয়েছে।
হামজাকে কিছুদিন আগে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছিল। তিনি তখন বলেছিলেন, তার গতিবিধির উপর কোনো বিধিনিষেধ তিনি মানবেন না। ৪১ বছর বয়সী প্রিন্স বলেছিলেন, জর্ডানের নিরাপত্তা বাহিনী তাকে হুমকি দিচ্ছে। সরকারের অভিযোগ ছিল, হামজা চক্রান্ত করছেন। তাই প্রচুর কর্মকর্তার সঙ্গে তাকে নিজের প্যালেসে গৃহবন্দি করে রাখা হয়। হামজা বলেছিলেন, তিনি কোনো চক্রান্ত করছেন না। কিন্তু তিনি এই ধরনের নির্দেশ মানবেন না। জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অভিযোগ ছিল, হামজা এই সব রেকর্ড করা কথা ফাঁস করেছেন। কারণ, তিনি বিদেশ থেকে সাহায্য চান। যুক্তরাষ্ট্র ও আরব দেশগুলি অবশ্য আবদুল্লাহকে সমর্থন করেছিল। সূত্র: এএফপি, এপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।