মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ১০০ দিনের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন মানুষকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়ার যে লক্ষ্য ছিল তা ৮২ দিনেই বাস্তবায়ন হয়েছে। চলতি বছর ২০ জানুয়ারি শপথ নেয়ার পর তিনি পুরো যুক্তরাষ্ট্রে ১০০ দিনে ১০০ মিলিয়ন মানুষকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার ক্ষমতা গ্রহণের ১০০ দিন হতে এখনও দু’সপ্তাহ বাকি। কিন্তু স্থানীয় সময় শুক্রবার পর্যন্ত মাত্র ৮২ দিনেই ১০০ মিলিয়ন করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। জানা গেছে, দেশের মোট প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের প্রায় অর্ধেককে টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন চাকরি তৈরিরও রেকর্ড হয়েছে। শিথিল হয়েছে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষকে টিকা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। অবকাশযাপন ও এ সংক্রান্ত শিল্পের পুনরুজ্জীবন নতুন করে চাকরির তৈরির ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিচ্ছে জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম মন্ত্রণালয় সম্প্রতি জানিয়েছে যে, গত মার্চ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে আরও ৯ লাখ ১৬ হাজার চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বেশ কিছু এলাকায় মহামারি এই ভাইরাসের সংক্রমণ এখনো ঊর্ধ্বমুখী। ফলে আমেরিকানদের মাস্ক পরা ও অন্যান্য বিধিনিষেধ মেনে চলার আহবান জানাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। সবাইকে শেষ সময় পর্যন্ত সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। বাইডেন শুক্রবার বলেছেন, ‘আপনাদের সবার প্রতি অনুরোধ, আমরা সবাই মিলে এতদিনে যে অগ্রগতি অর্জনের জন্য এত কঠিন লড়াই করলাম তা বৃথা যেতে দেবেন না। আমাদের এই কাজটা শেষ করতে হবে। দৃঢ়চিত্তে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করে শেষ সময় পর্যন্ত সব আমেরিকানের সতর্ক থাকাটা খুবই প্রয়োজন।’ এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি) তাদের নির্দেশনা হালনাগাদ করে জানিয়েছে, যারা টিকার দুটি ডোজ নিয়েছেন তারা কোয়ারেন্টিন ছাড়া ভ্রমণ করতে পারবেন। তবে তাদেরকে মাস্ক পরতে হবে। মহামারি করোনাভাইরাসে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ হলো যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির সাড়ে ৫ লাখের বেশি মানুষের কেড়েছে করোনা। বাইডেনের পূর্বসূরি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিধিনিষেধ জারিতে অনীহা থাকায় দেশটির করোনা পরিস্থিতি এক সময় ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল। এজন্য বিশ্বজুড়ে সমালোচিতও হয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন, তার ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম মাসগুলোতে হয়তো মহামারি শেষ হয়ে যাবে না। তবে কিছু কৌশলের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রমণের গতিপথ পরিবর্তন করে দেবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। চলতি বছর ২০ জানুয়ারি শপথ নেয়ার পর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বলেছিন, ‘আমার প্রথম ১০০ দিনে কোভিড-১৯ ভাইরাস শেষ হয়ে যাবে না। সেটা আমি ওয়াদা করতে পারবো না। আমরা হঠাৎ করেই এই বিপদে জড়াইনি, আর তাই হঠাৎ করেই উঠেও আসা যাবে না।’ তিনি আরও বলেন, প্রথম ১০০ দিনে আমরা রোগের গতিপথ বদলে দিতে পারি এবং আরও ভালো কিছুর জন্য আমেরিকার জীবন পাল্টে দিতে পারি। সেই সঙ্গে শিশুদের স্কুলে ফিরিয়ে নেয়াটাও অগ্রাধিকারের মধ্যে থাকবে। প্রেসিডেন্ট বাইডেন সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কংগ্রেস যদি দ্বিপক্ষীয় আলোচনার সমাপ্তি টেনে জরুরি ভিত্তিতে তহবিলের ব্যবস্থা না করে তাহলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের সব প্রচেষ্টা ‘মন্থর আর আটকে’ যেতে পারে। সিএনএন, রয়টার্স।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।