মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
‘ট্রাম্পের উচিত গলফ খেলা বন্ধ করা এবং হার মেনে নেয়া,’ টুইটারে দেয়া এক পোস্টে এমনটিই বলেছেন এ রিপাবলিকান গভর্নর।
স্ত্রী, মেয়ে ও জামাতার পর এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পরাজয় মেনে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তার নিজ দল রিপাবলিকান পার্টির প্রভাবশালী নেতারাও। ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বাইডেনের কাছে হারের ফল পাল্টে দেয়ার চেষ্টা থেকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
তাদের মধ্যে একজন মেরিল্যান্ডের গভর্নর ল্যারি হোগান। তিনি সিএনএনকে বলেছেন, নির্বাচনের ফল উল্টে দিতে ট্রাম্প শিবিরের ধারাবাহিক চেষ্টায় ‘মনে হওয়া শুরু হয়েছে যে আমরা একটি ব্যানানা রিপাবলিক’।
এদিকে নিউজার্সির সাবেক গভর্নর ট্রাম্প ঘনিষ্ঠ ক্রিস ক্রিস্টিও ট্রাম্পকে একই পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি ভোটে কারচুপির অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হওয়া প্রেসিডেন্টের আইনি দলকে ‘জাতীয় লজ্জা’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
ক্রিস ক্রিস্টি এবিসি টিভি চ্যানেলকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, যদি খোলাখুলি বলি তা হলে ট্রাম্পের আইনজীবীরা যা করছেন তা একদম জাতীয় পর্যায়ের বিব্রতকর কার্যকলাপ।
‘কোর্টরুমের বাইরে সারাক্ষণ নির্বাচনে জালিয়াতির কথা বলে যাচ্ছে ট্রাম্পের দল। কিন্তু কোর্টরুমের ভেতরে তারা জালিয়াতির যুক্তি দেখাচ্ছে না। আমি অনেক দিন ধরে প্রেসিডেন্টের সমর্থক। তাকে আমি দুবার ভোট দিয়েছি। কিন্তু যা ঘটেনি তবু অনবরত সেটিই ঘটেছে বলে যেতে পারি না আমরা।’
ক্রিস ক্রিস্টি বিশেষ করে ট্রাম্পের আইনজীবী সিডনি পাওয়েলের কড়া সমালোচনা করেছেন।
গত বৃহস্পতিবার পাওয়েল বলেছেন, ইলেক্ট্রনিক পদ্ধতির ভোটের মাধ্যমে লাখ লাখ ভোট বাইডেনের পক্ষে বদলে দেয়া হয়েছে। যার পক্ষে কোনো যুক্তি তিনি দেখাতে পারেননি। তিনি আরও বলেছেন, জো বাইডেন 'কমিউনিস্টদের টাকায় জিতেছেন'।
মিশিগান থেকে নির্বাচিত হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভের সদস্য ফ্রেড উপটন বলেন, তার রাজ্যের ভোটাররা বাইডেনকে বেছে নিয়ে তাদের রায় জানিয়ে দিয়েছেন।
নর্থ ডাকোটার কেভিন ক্রেমার এনবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ‘ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরুর সময় পেরিয়ে যাচ্ছে’ বলে সতর্ক করেছেন।
প্রসঙ্গত, ৩ নভেম্বরের ভোটে ইলেকটোরাল ও পপুলার দুই ভোটেই জো বাইডেন ট্রাম্পকে হারিয়েছেন। জো বাইডেন ৩০৬ ইলেকটোরাল কলেজ ভোট পেয়েছেন, আর ট্রাম্প পেয়েছেন ২৩২ ইলেকটোরাল ভোট। এই ফল না মেনে বিক্ষোভ করছেন ট্রাম্প সমর্থকরা। তবে রিপাবলিকান থিংক ট্যাঙ্করা ট্রাম্পকে পরাজয় মেনে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।