পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
বিশ্বের মোট জনসংখ্যার অর্ধেক নারী, আর অর্ধেক পুরুষ। সে মতে, সুখ-শান্তি, উন্নতি, কৃতিত্ব তথা সব কিছুরই অর্ধেক ভাগীদার নারী। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায় ‘পৃথিবীতে যা কিছু চির কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারীÑ অর্ধেক তার নর’। কিন্তু বাস্তবে কি নারীর সে অবদানের কথা স্বীকার করা হয়? তার যথাযথ মর্যাদা ও অধিকার দেয়া হয়? খুব কমই দেয়া হয়। একবিংশ শতকে এসেও নারী ন্যায্য অধিকারসমূহ থেকে বঞ্চিত। এছাড়া, নির্যাতন, বঞ্চনা, হত্যা, ধর্ষণ, শোষণ এখনও আদিযুগ-মধ্যযুগের পর্যায়েই রয়েছে! করোনা মহামারি কালে এসব আরও বেড়েছে বিশ্বব্যাপী। অথচ, নারী সংসার পরিচালনা ও সন্তান লালন-পালন করা ছাড়াও রাজনীতি, শিক্ষা, বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, সাহিত্য, বিনোদন, শান্তি, উন্নতি, সামরিক, প্রশাসন, ব্যবসা, ক্রীড়া, সাংবাদিকতা তথা সব ক্ষেত্রেই সুযোগ পেলে অসামান্য সাফল্য অর্জন করছে। মানুষ যে চাঁদে, মঙ্গলে, মহাকাশে যাচ্ছে, বাসস্থান গড়ার চেষ্টা করছে, তাতেও ব্যাপক অবদান রাখছে নারী। ক্ষেত্র বিশেষে নেতৃত্ব দিচ্ছে সফলভাবে। তবুও বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষের মনোভাব-নারীকে ঘরে আবদ্ধ রাখার। এই মানসিকতা অশিক্ষিত, গরীব ও ধর্মান্ধদের মধ্যেই বেশি। বিশ্বব্যাংকের ‘উইমেন, বিজনেস অ্যান্ড দ্য ল ২০২১ ইনডেক্স’ শীর্ষক প্রতিবেদন মতে, ১৯০টি দেশের আটটি সূচকের আলোকে প্রণীত প্রতিবেদনের মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর ৭৫ শতাংশই গড় পয়েন্ট অর্জন করতে পারেনি। শিক্ষা থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই মুসলিম নারীদের অবস্থা কম-বেশি এরূপই। এছাড়া, নির্যাতন, নিগৃহ, হয়রানি, হত্যা, ধর্ষণ, বাল্য বিবাহ, বঞ্চনা ইত্যাদির ক্ষেত্রেও তাই। আর তালাকের তো ইয়ত্তা নেই। বিবাহের মোহরানা ও পিতার সম্পদের অধিকারও খুব কম মুসলিম নারীর ভাগ্যেই জোটে। অথচ, পবিত্র কোরআন শরীফের বিভিন্ন আয়াত ও হাদিসে নারীর অধিকার, মর্যাদা ও তার মূল্যায়ন সম্পর্কে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। ইসলাম নারীর ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছে। দিয়েছে নারীর জানমালের নিরাপত্তা ও সর্বোচ্চ সম্মান। অবশ্য অন্য সব ধর্মাবলম্বীদের মধ্যেও নারীবিরোধী কর্ম ব্যাপক। সাম্প্রতিক কিছু আন্তর্জাতিক তথ্য দিলেই বিষয়টি প্রমাণিত হবে।
গত ৯ মার্চ প্রকাশিত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণা প্রতিবেদন মতে, সারাবিশ্বে প্রতি তিন নারীর একজন জীবনে কখনও না কখনও শারীরিক বা যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছে। করোনার মধ্যে এ নৃশংসতা আরও বেড়েছে। বেশি সহিংসতার শিকার দেশের মধ্যে বাংলাদেশের নাম রয়েছে।স্ত্রী নির্যাতনের ক্ষেত্রে বিশ্বের ১৬১টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে বাংলাদেশ চতুর্থ। ২০০০-২০১৮ সালের মধ্যে এই জরিপ করা হয়েছে।গত ১১ মার্চ বিশ্বব্যাংক বলেছে, বিশ্বের ৩৮টি দেশে গর্ভবতী নারীদের চাকরি হারানোর ঝুঁকি রয়েছে। ফলে করোনা মহামারির কারণে নারীদের দরিদ্রতা থেকে বের হওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।
নারীর শিক্ষা, উন্নতি, সমতা ও নিরাপত্তা নিয়ে জাতিসংঘের অনেক বিধান আছে। এছাড়া, সব দেশেই নারীর অনুকূলে বহু আইন আছে। তবুও নারী যে নির্যাতন-বঞ্চনা থেকে মুক্তি পেয়েছে, অধিকার ফিরে পেয়েছে তা নয়। বরং বেশিরভাগ দেশেই নারীরা যে তিমিরে ছিল সেখানেই রয়েছে। তাই নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন দিন দিন বেগবান হচ্ছে বিশ্বব্যাপীই। অবশ্য এ ক্ষেত্রে কিছু নারী তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার নামে অনেক নারীকে উগ্রবাদীতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তথা পুরুষ বিদ্বেষী হওয়ার দীক্ষা দিচ্ছে। নারীর সংসার বিমুখ করে তুলছে। ইচ্ছামত জীবনাচরণ করতে প্ররোচিত করছে। এসব ধর্ম, দেশ ও সমাজের নীতির পরিপন্থী। তারা এক সংকট দূর করতে গিয়ে অন্য বড় সংকট সৃষ্টি করছে। নারী কর্তৃক নারী নির্যাতন, বঞ্চনা ইত্যাদিও কম নয়। বরং পুরুষের চেয়ে বেশি। স্ত্রী কর্তৃক স্বামী নির্যাতনের হারও অনেক। এ অবস্থা বিশ্বের সর্বত্রই বিদ্যমান।
পর্বত সমান বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে কিছু সংখ্যক নারী উন্নতির শিখরে পৌঁছে যাচ্ছে। তারা নিজের, সংসারের, সমাজের, দেশের, সর্বোপরি বিশ্বের কল্যাণে ব্যাপক অবদান রাখছে। ‘আন্তর্জাতিক নারী দিবস-২০২১’ উপলক্ষে করোনা মহামারি চলাকালীন সফলভাবে নেতৃত্ব দেয়া শীর্ষ তিন নারীর নাম ঘোষণা করেছে কমনওয়েলথ মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ড কিউসি। তারা হলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন ও বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া আমোর মোটলি। প্যাট্রিসিয়া বলেন, আরও অনেক নারীর পাশাপাশি এই তিন নেতা আমাকে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবার জন্যে সম্মিলিত সুন্দর ভবিষ্যৎ ও কল্যাণময় বিশ্ব গড়ে তোলার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। নাইজেরিয়ার অর্থনীতিবিদ এনগোজি ওকনজো-ইওইলা ৬৬ বছর বয়সে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার মহাপরিচালকের পদে নির্বাচিত হয়েছেন গত ১৫ ফেব্রুয়ারি। ১৬৪ দেশের প্রতিনিধিরা তাঁকে এ পদে নির্বাচিত করেছেন। সর্বকনিষ্ঠ নোবেল বিজয়ী মালালা ও সুইডিশ কিশোরী গ্রেডা থুনবার্গ নারীর শিক্ষা ও বৈশ্বিক পরিবেশ রক্ষার সফল আন্দোলন বিশ্ববাসীকে আলোড়িত করেছে। ইউনেস্কোর মতে, সারা বিশ্বে বিজ্ঞানে গবেষকদের এক-তৃতীয়াংশ নারী। এসব হচ্ছে সাম্প্রতিক ঘটনা। অতীতে অনুরূপ ঘটনা আরও অসংখ্য রয়েছে। এমনকি মুসলমানের শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) এর শাসনামলে বহু যুদ্ধে শরীক হয়েছে অনেক মুসলিম নারী। তারা সকলেই অসীম সাহস ও দক্ষতার সাথে যুদ্ধ করেছেন। অনেক মুসলিম নারী ব্যবসাসহ বিভিন্ন কর্মে লিপ্ত ছিলেন। তারা সকলেই ইসলামের নীতি ও সমাজের রীতি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন।
বাংলাদেশের মানুষ খুবই ধর্মভীরু। কিন্তু ধর্মান্ধ নয়। তাই মুসলিম অধ্যুষিত দেশ হওয়া সত্তে¡ও নারীর শিক্ষা ও ক্ষমতায়ন হয়েছে ব্যাপক। ফলে দেশের উন্নতি হচ্ছে। ব্যানবেইসের ২০১৯ সালের প্রতিবেদন অনুসারে, ১৩ ধরনের পেশাগত শিক্ষায় ৫৪%, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক (ভোকেশনাল) শিক্ষায় ২৫%, ইংরেজি মাধ্যমে স্কুলে প্রায় ৪৪% এবং দাখিলে ৬০% শিক্ষার্থী মেয়ে। বর্তমানে এ সংখ্যা আরও বেড়েছে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বৈশ্বিক লিঙ্গ বৈষম্য প্রতিবেদন-২০২০ মতে, নারী-পুরুষের সমতার দিকে বিশ্বের ১৫৩টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৫০তম এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষে। এ বছর বিবিসি’র ১০০ নারীর তালিকায় ঠাঁই পেয়েছেন বাংলাদেশের রিনা আক্তার ও রিমা সুলতানা রিমু। স¤প্রতি জাতিসংঘের বিচারপতি হয়েছেন বাংলাদেশি ৪ নারী। বহুদিন থেকেই এ দেশের অনেক নারী জাতিসংঘের শান্তি মিশনে অত্যন্ত সাহসিকতা ও দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের বহু নারী কৃতিত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। এমপি ও মন্ত্রীও হয়েছেন অনেক। সর্বোপরি ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বিভিন্ন গণ ও সামাজিক আন্দোলন ইত্যাদিতে নারীদের অবদান ব্যাপক। দেশের বৃহৎ দুই রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বর্ষীয়ান দুই নারী। তারা সফলভাবে সরকারও পরিচালনা করছেন গত ৯০ দশক থেকে। আমেরিকার প্রখ্যাত সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকার এবং দু’বার পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী নিকোলাস ডোনাবেট ক্রিস্টোফ বাংলাদেশের স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তীকে সামনে রেখে বাংলাদেশের অগ্রগতিকে আমেরিকার জন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে নেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। নিউ ইয়র্ক টাইমসে সাম্প্রতিক প্রকাশিত এক নিবন্ধে তিনি আমেরিকার দারিদ্র্য দূরীকরণে বাংলাদেশের পদক্ষেপের দিকে নজর দিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। ক্রিস্টোফ তার নিবন্ধে বলেছেন, কীভাবে সমৃদ্ধি অর্জন করতে হয় তা বিশ্বকে শিখাতে বাংলাদেশের কাছে যথেষ্ট কিছু আছে। বাংলাদেশের এই গোপন রহস্য কী? বাংলাদেশের ৯৮% শিশু স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে। হাইস্কুলগুলোতে ছেলেদের তুলনায় মেয়ের সংখ্যা বেশি। বাংলাদেশ যেহেতু নারীদের শিক্ষিত এবং ক্ষমতায়িত করেছে, এর ফলে ওই সব নারী বাংলাদেশের অর্থনীতির স্তম্ভ হয়ে উঠেছেন। গ্রামীণ ব্যাংক, ব্র্যাক এবং উচ্চ মাত্রায় স্বীকৃতি প্রাপ্ত উন্নয়নমূলক সংগঠনে অলাভজনক পদে কাজ করছেন শিক্ষিত নারীরা। তারা বাচ্চাদের টিকা দিচ্ছেন। তারা টয়লেট ব্যবহারকে উদ্বুদ্ধ করছেন। কীভাবে পড়াশোনা শিখতে হবে তা শিখাচ্ছেন। গর্ভ নিরোধকের বিষয়ে তারা ব্যাখ্যা করছেন। বাল্য বিয়েকে তারা নিরুৎসাহিত করছেন। বাংলাদেশ হ্যাজ নট হ্যাড গ্রেট পলিটিকাল লিডারস। কিন্তু মানবের পিছনে এর যে বিনিয়োগ তা একটি গতিশীলতা সৃষ্টি করেছে, যেখান থেকে আমরা সবাই শিক্ষা নিতে পারি।
অবশ্য, এ দেশের নারীদের জন্য প্রতিক‚লতাও আছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনসের নারীর ক্ষমতায়ন সূচক-২০২০ মতে, ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ৩১। এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের স¤প্রতি প্রকাশিত প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশের পোশাক খাতে কর্মরত নারী শ্রমিকদের মধ্যে প্রতি বছর মা হন ৮.৩%। কিন্তু তাদের মধ্যে মাতৃত্বকালীন ছুটি ও ভাতা পান মাত্র ৩.১% নারী শ্রমিক। অন্য এক গবেষণা প্রতিবেদন মতে, বাংলাদেশে নারী উদ্যোক্তা তৈরিতে ব্যাংকের অর্থায়নে অবদান মাত্র ২৩%। বিশ্বব্যাংকের ‘নারী, ব্যবসা ও আইন-২০২১’ শীর্ষক প্রতিবেদন মতে, ১৯০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ১৭৩তম, স্কোর ৪৯.৪ (২০২০ সালে ছিল ১৭১তম)। জরিপ প্রতিবেদন মতে, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫৩% নারী হয়রানি ও সহিংসতার শিকার হয়েছেন। ‘দ্য মাস্টার কার্ড ইনডেক্স অব ওমেন এন্ট্রাপ্রেনিওর্স ২০২০’ তালিকায় ৫৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৫৮তম (গত বছর ছিল ৫৭তম)। দেশের সব রাজনৈতিক দলের সব কমিটিতে ৩৩% নারী রাখার বিধান করেছে ইসি অনেক দিন আগে। কিন্তু কোন দলই দীর্ঘদিনে তা পালন করতে পারেনি।আ’লীগ ও বিএনপি এর কাছাকাছি পর্যায়ে গেছে। বাকী দলগুলো এর ধারে কাছেও যেতে পারেনি। এছাড়া, বাল্য বিবাহ, যৌতুক, তালাক, পুরুষের বহু বিবাহ ইত্যাদির অন্ত নেই দেশে। এসব ব্যাপারে কঠোর বিধান থাকলেও তা ঠিকমত প্রয়োগের অভাবে কমছে না, বরং উত্তরোত্তর বাড়ছে। এছাড়া, ঘরে-বাইরে তথা সর্বত্রই নারীদের নিরাপত্তার অভাব রয়েছে।
সম্প্রতি ব্লুমবার্গের অর্থনীতিবিদরা এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলেছেন, নারীরা যদি পুরুষদের মতো একই স্তরের শিক্ষিত হন এবং একই সংখ্যক চাকরি পান, তাহলে ২০৫০ সাল নাগাদ বিশ্ব অর্থনীতিতে ২০ ট্রিলিয়ন ডলার যোগ হতে পারে। অবশ্য এ ক্ষেত্রে ব্লুমবার্গের গবেষণা রিপোর্টের দরকার নেই। এর প্রমাণ আমরা হাতে হাতে পেয়েছি ২-৩ দশকেই, যা মার্কিন সাংবাদিক ক্রিস্টোফের রিপোর্টে উঠে এসেছে। দেশের এই উন্নতি হয়েছে স্বল্প সংখ্যক মেয়ের ক্ষমতায়নেই। আর দেশের সব নারীর ক্ষমতায়ন হলে কী হবে তা সহজেই অনুমেয়। অবশ্য, নারীর ক্ষমতায়ন মানে শুধু শিক্ষা ও চাকরিই নয়, সেই সাথে ব্যয় করার ক্ষমতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা ও নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ইত্যাদি মিলেই ক্ষমতায়ন। তাই দেশে নারীবিরোধী যত কর্ম-কান্ড রয়েছে, তা কঠোরভাবে বন্ধ করে নারীর ক্ষমতায়নের পথ সুগম করা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে কিছু দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। যেমন: ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড করা। এই আইন অনেক দেশেই আছে এবং তাতে ব্যাপক সুফল পাওয়া গেছে। নারীর শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে এবং নারী বিরোধী সব কর্ম বন্ধ করার জন্য সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক। কারণ, নারীর ক্ষমতায়নই তার উন্নতির স্তম্ভ, পরিবারের উন্নতির স্তম্ভ, সমাজের উন্নতির স্তম্ভ। সার্বিকভবে দেশের উন্নতির স্তম্ভ। তাই নারীর ক্ষমতায়ন হলেই স্বল্প দিনের মধ্যেই। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ও উন্নতির ক্ষেত্রে নারীরই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে এবং তা ধর্ম ও দেশীয় সংস্কৃতি পালন করে।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।