মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
দুশানবেতে হার্ট অফ এশিয়া-ইস্তাম্বুল সম্মেলনে পাকিস্তান ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠক করতে পারেননি, তবে মঙ্গলবার শীর্ষ কূটনীতিকরা তাদের বক্তৃতায় একে অপরের দিকে আঙুল তোলা এড়িয়ে যান, যাতে স্পষ্ট ইঙ্গিত মিলে যে, দুই প্রতিবেশী পরস্পরের প্রতি রোষের মাত্রা কমিয়েছে।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি এবং তার ভারতীয় প্রতিপক্ষ এস জয়শঙ্কর উভয়েই তাদের বক্তব্যে পূর্ববর্তী আক্রমণাত্মক ভাষা ব্যবহার থেকে দূরে ছিলেন। হার্ট অফ এশিয়া সম্মেলনের আগের অধিবেশনগুলোর বিপরীতে, এবার উভয় পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে আকাক্সক্ষা প্রকাশে এ প্ল্যাটফর্মটির ব্যবহার এড়িয়ে চলল।
ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে পাকিস্তানের কথা উল্লেখ করেননি যা মূলত শান্তির প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার দিকে মনোনিবেশ করে। কুরেশিও কেবল ‘আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে এবং বাইরে উভয়দিকেই বিদ্বেষকারীদের’-এর সংক্ষিপ্ত রেফারেন্স দেন, তবে তিনি তার বক্তৃতায় ভারতের নাম নেননি।
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে যে, বাকবিতন্ডা কমাতে এ দুই দেশের মধ্যে বোঝাপড়ার একটি অংশ ছিল। কুরেশি পরে দুশানবেতে সাংবাদিকদের বলেন যে, পাকিস্তান, ভারতের সম্পর্ক নিয়ে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে।
তিনি বিশেষ করে ২৫ ফেব্রæয়ারি নিয়ন্ত্রণ রেখার (এলওসি) যুদ্ধবিরতি পুনঃপ্রতিষ্ঠা নিয়ে দুই দেশের মহাপরিচালক পর্যায়ে সমঝোতার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এটি কাশ্মীরের জনগণের উপকারে আসবে।
কুরেশি আরও উল্লেখ করেন যে, ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার বক্তব্যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক অভিযোগ করেননি। তিনি বিশ্বাস করেন, এটি একটি অভিনন্দনযোগ্য অগ্রগতি। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন যে, জয়শঙ্করের সঙ্গে তার কোনো সাক্ষাৎকার বা যোগাযোগ ছিল না। তিনি আরও যোগ করেন, ‘পাকিস্তান কখনোই আলোচনা থেকে পিছপা হয় না, তবে এর জন্য ভারতকে অনুক‚ল পরিবেশ তৈরি করতে হবে’।
হার্ট অফ এশিয়া সম্মেলনের আগে প্রচুর প্রচারণা হয়েছিল, অনেকেই ধারণা করেছিলেন যে, এ দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাত হতে পারে। উভয়পক্ষই অস্বীকার করেছিল যে, কোনো বৈঠকের দিনক্ষণ নির্ধারিত ছিল বা কোনো পক্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে আলোচনা করতে চেয়েছিল।
তবে দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে অপরের দেশকে দোষারোপের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ায় পর্যবেক্ষকরা মনে করেন যে, দু’দেশের মধ্যে কিছুটা আন্তরিকতা গড়ে উঠতে পারে। সূত্র : এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।