Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবশেষে মাওলানা আব্দুল আউয়ালের পদত্যাগের ঘোষনা

নারায়ণগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০২১, ৫:২৫ পিএম

সকল ব্যর্থতার দায় নিজ কাঁধে নিয়ে অবশেষের পদত্যাগের ঘোষনা দিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা হেফাজতে ইসলামের আমীর মাওলানা আবদুল আউয়াল। তিনি জেলা আমীরের পদে আর থাকবেন না। তবে হেফাজতে ইসলামের একজন কর্মী হিসেবে তিনি সংগঠনে থাকবেন। হরতাল ইস্যুতে মহানগর নেতাদের অতি বাড়াবাড়ি ও পরদিন দোয়া মাহফিল ভিন্নস্থানে করার অভিযোগ এনে আমীরের পদে থাকতে অনীহা প্রকাশ করেছেনআবদুল আউয়াল।
তিনি জানান, ২৮ মার্চ হরতালের দিন সকালে মসজিদে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, ডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ছুটে আসেন। তারা মসজিদের গেটের সামনে তিনটি কামান, সাজোয়া যান পুলিশের গাড়ি দিয়ে বেরিকেড দিয়ে রাখেন। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা আমাকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন মিছিল বের করতে চাইলে অ্যাকশনে যাবেন। প্রয়োজনে গুলি খাবেন। তখন আমি সকলের জানমালের স্বার্থে মসজিদের গেটের বাইরে যেতে বারণ করি। কারণ আমাদের তো অস্ত্র নাই। কিন্তু মহানগরের অতি উৎসাহী নেতারা মিছিল করতে চেয়েছিল। যদি সেদিন মিছিল করতে গিয়ে আমাদের উপর গুলি ছোড়া হতো, কেউ লাশ হতো তখন তো এ আবদুল আউয়ালকে দোষারোপ করা হতো। মসজিদে গুলি ছুড়লে ঝাঝরা হয়ে যেত। এ কারণে আমাদের উপর অনেকেই ক্ষুব্ধ। তারা আজকে ডিআইটি মসজিদে বাদ আছর দোয়া না করে দেওভোগে করেছে। কারণ আমাকে তো বাদ দিয়েই দিছে। তাই আমি আর দল করবো না। ভবিষ্যতে আর নেতৃত্ব দিব না। মসজিদ মাদ্রাসা নিয়েই থাকবো। আমার এখন বার্ধক্য বয়স তাই আমি ভবিষ্যতে আর নেতৃত্বে থাকবো না।
সকাল সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড, সানারপাড়, মাদানীনগর, শিমরাইল উত্তপ্ত থাকলেও নারায়ণগঞ্জ শহর ছিল একেবারে শান্ত। ভোর থেকে শহরের ডিআইটি জামে মসজিদের সামনে হেফাজত নেতারা অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। তবে বেলা সাড়ে ১০টার পর থেকে একে একে নেতাকর্মীরা চলে যান।
শহরের ডিআইটি এলাকায় ভোর সকাল থেকে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা রেলওয়ে ডিআইটি মসজিদের ভেতরে অবস্থান নেন। ভোর থেকেই ডিআইটি মসজিদে পুলিশ, বিডিআরসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘিরে রাখে। সকাল ৭টার দিকে পুলিশ বেষ্টনীর মধ্যেই হেফাজতের নেতাকর্মীরা মসজিদের বারান্দা ও আঙ্গিনার মধ্যে হরতালের পক্ষে স্লোগান দেন।
পরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মসজিদে ঢুকে হেফাজতের জেলার সভাপতি মাওলানা আব্দুল আউয়ালের সঙ্গে কথা বলেন। পরে মসজিদের ভেতরে কিছু নেতাকর্মী অবস্থান নেন এবং বাকিরা বের হয়ে বাড়ি ফিরে যান।



 

Show all comments
  • মুহাম্মদ হাসিবুল ইসলাম শান্ত ৩০ মার্চ, ২০২১, ৬:১৬ পিএম says : 0
    দায়িত্বশীল নেতাদের আরো দায়িত্বশীল ভুমিকা আশা করে সাধারণ মানুষ।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Mehedi ৩০ মার্চ, ২০২১, ৬:১৮ পিএম says : 0
    শায়েখ কিছু মানুষের কথা শুনে যদি পদত্যাগ করেন তাহলে ইসলাম নিয়ে কে কাজ করবে?
    Total Reply(0) Reply
  • S.m. Plabon ৩০ মার্চ, ২০২১, ৬:১৮ পিএম says : 0
    সাম্প্রতিক কালে ছাত্রলীগ নেতারা পদত্যাগ করে ইসলামের দিকে আসছে। আর আপনি হেফাজত থেকে পদত্যাগ করলেন। বাহ!
    Total Reply(0) Reply
  • সম্রাট ৩০ মার্চ, ২০২১, ৬:২০ পিএম says : 0
    হেফাজত থে‌কে মাওলানা আব্দুল আউয়াল সা‌হে‌বের পদত‌্যাগঃ কর্মী যখন নেতা‌কে চালায় কিয়াম‌তের তখন বা‌কি থা‌কে না! নেতার নি‌র্দেশনা ছাড়া কর্মী তার ই‌চ্ছেমত কাজ কর‌লে বা‌হ্যিক বিজয় ম‌নে হ‌লেও তা স্পষ্ট পরাজয়। উহু‌দের ই‌তিহাস আমা‌দের কা‌ছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। নেতা যখন নেতৃত্ব চ‌লে যাবার ভ‌য়ে কর্মীর ই‌চ্ছে মা‌ফিক কর্মসূ‌চি দেন, তখন বুঝ‌তে বা‌কি থা‌কে না নেতৃত্বটা অ‌যোগ‌্য অথর্ব ও মাথা‌মোটা‌দের হা‌তে। মাওলানা আব্দুল আউয়াল‌দের মত চৌকস ও বু‌দ্ধিদীপ্ত নেতৃত্ব যারা হারায় সেসব আ‌বেগীরা হতভাগা ছাড়া আর কী হ‌তে পা‌রে?
    Total Reply(0) Reply
  • নওরিন ৩০ মার্চ, ২০২১, ৬:২১ পিএম says : 0
    উনার বক্তব্যে বুঝা যায় উনি অভিমান করেই পদত্যাগ করেছেন।অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে উনি অবহেলার স্বীকার হয়েছেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Junayed ৩০ মার্চ, ২০২১, ৭:৩২ পিএম says : 0
    আমাদের আরো অনেক কৌশলী ও সতর্ক হওয়া দরকার।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পদত্যাগ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ